মসিউর-আবুলের ক্ষমতা আরো খর্ব হলো

একে একে সব সরকারি কাজ থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা মসিউর রহমান এবং সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে। গত বুধবার তাঁদের বাদ দিয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।


এ ছাড়া শিগগিরই মসিউর রহমানকে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মসিউর রহমান ও সৈয়দ আবুল হোসেন দুজনই পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক উত্থাপিত দুর্নীতির জন্য সমালোচনার মুখে রয়েছেন। মসিউর রহমান ও সৈয়দ আবুল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট আরো কয়েকজনকে ছুটিতে পাঠানোর শর্তে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু অর্থায়নে ফিরেছে। দেশের সবচেয়ে বড় এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনতে শর্ত পূরণের অংশ হিসেবে আবুল হোসেন ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং পদ্মা সেতু প্রকল্পের ইন্টিগ্রিটি অ্যাডভাইজর মসিউর রহমানকেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও ছুটিতে গেছেন বলে সরকারি সূত্র নিশ্চিত করলেও উপদেষ্টা নিজে দাবি করেছেন, তিনি ছুটিতে যাওয়ার কোনো আবেদন করেননি।
সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠনের পর মসিউর রহমান এবং আবুল হোসেনের স্থানে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর এবং রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। পুনর্গঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অর্থমন্ত্রী মুহিতই যথারীতি আহ্বায়ক হয়েছেন। সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে- পরিকল্পনামন্ত্রী এ. কে. খন্দকার, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিমানমন্ত্রী ফারুক খান, খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক ও রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক।

No comments

Powered by Blogger.