'হুল দিছে কো-নে...' by মোফাজ্জল করিম

পদ্মা সেতু বানাতে পারলে আওয়ামী লীগকে ভোটাররা আগামী নির্বাচনে নির্ঘাত প্রচুর ভোট দিত- একেবারে গামছা দিয়ে বেঁধে কাঁড়ি কাঁড়ি ভোট, ধামাভর্তি ঝুড়ি ঝুড়ি ভোট। অন্তত সেইসব এলাকার লোকজন, যাদের নাকের ডগায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে পদ্মা সেতু নামক মুলা ঝোলানো হয়েছিল। কথাটি আমি বলছি আমার কৈশোরের একটি অভিজ্ঞতা থেকে। শুনুন তাহলে।
ক্লাস নাইনের শেষের দিকে আমি ভর্তি হই নোয়াখালী জিলা স্কুলে, আমার আব্বার চাকরির বদলিজনিত কারণে। প্রায় বছর দুই মাইজদীকোর্ট শহরে অবস্থানকালে, বিশেষ করে জিলা স্কুলে লেখাপড়া করার কারণে ওই বয়সেই আমার জীবনে বেশ কিছু মজার মজার অভিজ্ঞতা হয়। তার বেশির ভাগই আবার লাভ করেছিলাম পল্লী অঞ্চল থেকে আসা আমার সহপাঠীদের কাছ থেকে।
একবার জানতে পারলাম, ওই এলাকার দ্বীপাঞ্চলে ও চরে- যেমন হাতিয়া-সন্দ্বীপ-চর জব্বর-চর আলেকজান্ডার ইত্যাদিতে নাকি সামন্ততান্ত্রিক ভূস্বামীদের প্রতাপ-প্রতিপত্তি তখনো খুবই প্রবল। তাদের ভয়ে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে পানি খায়। সাধারণ রাইয়ত শ্রেণীর গরিব-গুরবোরা তাদের এমন সম্মান দেখায় যে তাদের সামনে জুতো পায়ে দিয়ে যায় না, তাদের বাড়ির কাছে গিয়ে মাথা থেকে ছাতা নামিয়ে ফেলে, এমনকি তাদের নাম পর্যন্ত কখনো মুখে আনে না। কথা বলে উনি-তিনি দিয়ে।
তা একবার এ ধরনের এক প্রবল প্রতাপান্বিত জমিদার সাহেব ইলেকশনে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর লোকজন তাঁর পক্ষে ভোট চাইতে বিশাল মিছিল বের করেছে। সেই মিছিলে যেসব হতদরিদ্র মানুষ শরিক হয়েছে, তাদের স্লোগানের ভাষা নাকি ছিল এ রকম- 'ভোট দিবেন কা-রে?/হেতে-নরে (উনাকে); হেতেনে কি-চ্ছে? (উনি কী করেছে?)/হুল দিছে (পুল দিয়েছে); হুল দিছে কো-নে? (পুল দিয়েছে কে?)/হেতে-নে; হেতেন কি/জয়; হেতেন কি/জয়...।'
এ কাহিনীর সত্য-মিথ্যার মালিক আমার ১৯৫৪-৫৬ সময়কালের স্কুলের বন্ধুরা, আমি নই, আমি তো শুধু আজ অর্ধশতাব্দীরও অধিক কাল পর গল্পটি বলেই খালাস।
তবে আওয়ামী লীগ তাদের পূর্বপ্রতিশ্রুতিমতো পদ্মা সেতুটি নির্মাণ করতে পারলে আগামী নির্বাচনের সময় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে 'হুল দিছে কো-নে?/হেতে-নে; হেতেন কি/জয়' মাকা স্লোগান হয়তো শোনা যাবে। অবশ্য স্লোগানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে কোথাও হয়তো বলা হবে, হুল দিছে আ.লী. সরকারে, কোথাও ম.জো. সরকারে, আবার কোনো কোনো এলাকায় হয়তো সৈ.আ.হো সাহেবে বা ও.কা. সাহেবে বলা হবে। আর এদিকে জলজ্যান্ত পাঁঠাটিকে কুকুর বলে চালাতে 'ভটচায্যি মশায়, ওটা তো পাঁঠা না, কুকুর' বলে সারাক্ষণ চেঁচিয়ে গলা ফাটাচ্ছেন যে অর্থমন্ত্রী-পররাষ্ট্রমন্ত্রী- তাঁরা হয়তো দেখবেন, তাঁদের এলাকায় তাঁদের নামে পুলবিষয়ক কোনো স্লোগানই নেই। এমনকি সম্মানার্থে 'হেতেন' সম্বোধন করেও তাঁদের কথা কেউ বলছে না। আমার রাজশাহীর ভাতিজা প্রফেসর আনোয়ার (অব. পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর) এসব ক্ষেত্রে সুন্দর একটা ছড়া আওড়ায় : 'মজা মারল ফজু ভাই/আমাদের ঘুম কামাই।'
বিশ্বব্যাংক যে নিজে একটা দুশ্চরিত্র, লম্পট, তার বাহুমূলে যে কত দুর্গন্ধ, এসব কথা কিছুদিন যাবৎ শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে, এটা যেন আমাদের গ্রামের গেন্দু চোরা চুরিতে ধরা পড়ে সবাইকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলছে : 'ওই বড়বাবু খুব তো আমাকে ধরতে এসেছেন, উনি নিজে যে ঘুষ ছাড়া পানিটুকুও খান না, তার কী হবে? অকাট্য যুক্তি! ঘুষখোর দারোগার কোনো 'রাইট' নেই আমাকে টাইট দেওয়ার। তুমি নিজে দুর্নীতিবাজ হয়ে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা চুরির মামলা কর কিভাবে? ...ব্যাটা ফাজিল কোথাকার।'
অনির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোয়ালিক নাকি ছাত্রজীবনে শিবির করত, সে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না, প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে নাকি তার হেভি খাতির। আমাদের অঘটনঘটনপটীয়সী শার্লক হোমসের 'তালতো ভাই' (তালই বা তালুইতুতো ভাই; সূত্র : নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা) গোয়েন্দাকুল এও জানতে পেরেছে, এই লোকটি নাকি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশের পাক-সাফ কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ আদায়ের চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমাদের ফুলের মতো (কী ফুল? ধুতুরা?) পবিত্র চরিত্রের স্যাররা নাকি বলেছেন, সেতু না হলে না হবে, তবু ঘুষ দিয়ে ইমান নষ্ট করব না। আর আমাদের পাবলিকের বাড়িতে তো ডেইলি কয়েক বেলা বাজার হয়, তারা না হয় 'একবেলা' বাজার কম করবে। (সত্যি, বক্তা ও তার সমগোত্রীয়দের মুখেই এ রকম দম্ভোক্তি শোভা পায়!) আর এতে যে সাশ্রয় হবে, তা দিয়েই আমরা বানিয়ে ফেলব পদ্মা সেতু।
সেতু নিয়ে তাই অহেতুক দুশ্চিন্তা করার কোনো হেতু নেই। যেহেতু একবার যখন মুখ দিয়ে আমরা পদ্মা সেতু বানাব বলেছি, সেই হেতু 'বেগ, বরো অর স্টিল'- যে করে হোক, সেতু বানিয়ে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। মরদ্ কি বাত, আউর হাতি কা দাঁত, যব নিকলা তো নিকলা। (এখানে 'মরদ্' শব্দটি উভলিঙ্গ, আইনের বইয়ে যেমন 'হি' বলতে 'শি'ও বোঝায়।) তবে হ্যাঁ, জোয়ালিক ঘুষ চেয়েছিল- এই অভিযোগটা আনুষ্ঠানিকভাবে আনা যায় কি না তা বোধ হয় আমাদের বিজ্ঞ কর্তৃপক্ষ এখনো ভেবে দেখতে পারে। আর মামলা ঠুকে ব্যাটাকে একবার রিম্যান্ডে আনতে পারলে হয়...।
একটা বিষয়ে আমার কাছে কেমন ধন্দ লাগে। আচ্ছা, সদাশয় সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির বিষয়টাতে একটু ঝেড়ে কাশে না কেন? আসলে বিশ্বব্যাংক কী কী তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে, তা জানার কোনো অধিকার কি দেশবাসীর নেই? অবশ্য যদি মনে করেন, দেশের সব লোকই 'হুল দিচ্ছে কো-নে' টাইপের, এরা এসবের কী বুঝবে- বেশ তো, তাহলে আপনাদের ওয়াক-ওভার পাওয়া 'মাঠে' নিজেদের মধ্যেই এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করুন, দেশবাসী দেখুক, আপনারা কেমন স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ, আপনাদের চরিত্র শাপলা ফুল, গোলাপ ফুল না ধুতুরা ফুলের মতো পবিত্র। তা না, আপনারা শুরু থেকেই নেমে পড়েন ডিফেন্স লয়ারের ভূমিকায়। সব কেসেই। তা চুরি-ডাকাতি-খুন-গুম-খুন- যা-ই হোক না কেন। এতই যদি বুকের পাটা, তাহলে সংশ্লিষ্ট হুজুররা বলেন না কেন, আসুন, বিশ্বব্যাংক-এডিবি-জাইকা-বাংলাদেশ- সবাই মিলে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্তদল গঠন করি, তারপর যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে তার মাথায় ঘোল ঢেলে, মুখে চুনকালি মেখে টেকনাফ টু তেঁতুলিয়া ডবল মার্চ করাই। আর যদি দেখা যায় অভিযোগ মিথ্যা, তাহলে আগামী নির্বাচনে দেশবাসী অবশ্যই 'ভোট দিবেন কা-রে/হেতে-ন রে' স্লোগানে আপনাদের পক্ষে গলা মেলাবেন।
কিন্তু আর যা-ই করুন, পদ্মা সেতুকে প্রেস্টিজ ইস্যু বানিয়ে, দোহাই আপনাদের, দেশবাসীর গলায় চিরকালের মতো ফাঁস পরিয়ে দেবেন না। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না, যাতে এক শ টাকার পারানি হাজার টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। এখন অনেক দেশি-বিদেশি চান্স মহাম্মদরা আপনাদের নানা রকম মুলা দেখাবে : 'আজই ব্রিজ বানাইয়া দিতাছি, টিঁয়া-হইসা, কোনো ব্যাপারই না, অর্ধেক দামে-সিকি দামে ব্রিজ হইয়া যাইব, মোটেই টেনশন নিয়েন না'- এ ধরনের মিষ্টি মিষ্টি অনেক কথাই শোনাবে তারা। কিন্তু সাবধান! এসব 'মুখে শেখ ফরিদ বগলে ইট' মার্কা লোক একবার আপনাদের গাছে তুলতে পারলে হয়, তারপর নিজেদের ন্যায্য-অন্যায্য মাখন মালাইটুকু তুলে নিয়ে শাঁ করে মইটা সরিয়ে নেবে। আর আপনাদের জেদের মাশুল যুগ যুগ ধরে শোধ করতে হবে এ দেশের মানুষকে।
কোনো কোনো মহা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সাফাই গাইছেন, কাজই শুরু হয়নি তো দুর্নীতি হলো কোথায়? এদের সরলতা বা সরলতার ভান দেখে বিস্মিত হই। এরা কি দেশের সব মানুষকে গাধা মনে করেন? কে না জানে, কাজ শুরু হওয়ার পর তো লুটপাটে ঝাঁপিয়ে পড়বে আমলা-কামলা সবাই; কিন্তু তার আগে কাজটা পেতে হবে তো। তার জন্য খরচাপাতি আছে না? ওটা যাবে কার পকেটে? তা ছাড়া আইনের চোখে ঘুষের টাকা পকেটে ঢোকানো, আর ঘুষ চাওয়া বা ঘুষ অফার করা- সবই সমান অপরাধ।
বিশ্বব্যাংকের কথা বাদ দিন, আমাদের দেশে কোনো টেন্ডার ফয়সালা করার আগে যদি কোনো মন্ত্রী বা আমলা কারো কাছে 'ইন ক্যাশ অর ইন কাইন্ড' কিছু চেয়ে বসেন; কিংবা কোনো পার্টি যদি কিছু দিতে চায় সুবিধা পাওয়ার জন্য, তাহলে সেটা সরাসরি দুর্নীতির পর্যায়ে পড়ে। এখন প্রশ্ন হলো, এ ধরনের কিছু ঘটেছে কি না। বিশ্বব্যাংক বারবার বলছে, তাদের কাছে প্রমাণাদি আছে, অনেক তথ্য-উপাত্ত তারা ইতিমধ্যে হস্তান্তরও করেছে দুদকের কাছে। তা-ই যদি হয়, তবে বিশ্বব্যাংক-সরকার-দুদক- সবাই মনে হয় সব কিছু জানে, জানে না শুধু মূঢ়-ম্লান-মূক মুখের অন্ধ-বধির পাবলিক। তাদের মনেও হয়তো খটকা আছে- তাইতো, কাজই শুরু হয়নি, তাহলে দুর্নীতি হয় কিভাবে?
শুনুন তাহলে। গল্পটা শুনিয়েছিলেন ডক্টর ত্রিবেদী বলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অত্যন্ত স্মার্ট, সুদর্শন, তরুণ শিক্ষক, সেই ১৯৮৬ সালে; যখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কোর্সে যোগদান করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। গল্পটি আমি বোধ হয় বহুকাল আগে আমার কোনো এক লেখায় ব্যবহার করেছি। প্রাসঙ্গিক বলে আজকে আবার বলছি।
বলিভিয়ার পূর্তমন্ত্রী প্রতিবেশী পেরুর পূর্তমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সরকারি সফরে গেছেন সেই দেশে। সফরের শেষদিন দুপুরে হোস্ট মন্ত্রীর নিজের বাড়িতে ছিল একান্তে পানাহার। মন্ত্রীর আলিশান বাড়ি, বাড়ির সুদৃশ্য বাগান, মহামূল্যবান আসবাবপত্র ইত্যাদি দেখে গেস্টের তো চক্ষু ছানাবড়া হওয়ার উপক্রম। তিনি মিনমিন করে জানতে চাইলেন, ব্রাদার, এটা আপনার নিজের বাড়ি? হোস্ট বিনয়ে গলে গিয়ে স্মিত হেসে বললেন, এই আর কী। 'কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার আগে এই সেদিনও তো শুনেছি আপনি ছিলেন একজন দরিদ্র স্কুলশিক্ষক। এই দুই বছরে কী করে কী করলেন?' হোস্ট জবাব না দিয়ে অতিথির হাত ধরে নিয়ে গেলেন বাড়ির ছাদে। তারপর বললেন, বলুন তো, কী দেখতে পাচ্ছেন? অতিথি বললেন, আপনার বাড়ির সুন্দর বাগান, তারপর সীমানা প্রাচীর, আর তারপর রাস্তা। 'আরেকটু দূরে?' হ্যাঁ, একটা বিরাট নদী। নদীর ওপর জাহাজ চলছে, নৌকা চলছে...।
'আর কিছু?' 'হ্যাঁ, একটা বিশাল সেতু দেখতে পাচ্ছি।' 'টেন পারসেন্ট'- হাসতে হাসতে বললেন হোস্ট।
এর এক বছর পর ফিরতি সফরে পেরুর মন্ত্রী গেছেন বলিভিয়া। একই ধরনের সফর এবং আগের মতো হোস্টের নিজস্ব বাসভবনে একান্তে বিদায়ভোজ। এবার পেরুর মন্ত্রীর চক্ষু চড়কগাছ তাঁর হোস্টের বাড়ি দেখে। এ বাড়ির কাছে তাঁর প্রাসাদ তো নস্যি। তিনি তখন জানতে চাইলেন, এই বাড়ি করলেন কী করে? দুই বছর আগেও তো শুনেছি আপনি ছিলেন এক সরকারি অফিসের কেরানি।
'আসুন তাহলে আপনাকে দেখাই কী করে কী হলো।' এ কথা বলে তিনিও গেস্টকে ছাদে নিয়ে গিয়ে জানতে চাইলেন, 'কী দেখতে পাচ্ছেন?' সেই আগের মতো বাগান-রাস্তা-গাড়ি-ঘোড়া ইত্যাদি উল্লেখ করার পর বললেন, একটা বিশাল নদী দেখতে পাচ্ছি। এটাই তো আপনাদের বিখ্যাত শ্রদ্ধানদী বোধ হয়?
হোস্ট বললেন, 'হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। কিন্তু নদীর ওপর কী দেখতে পাচ্ছেন?' অতিথি চোখে বাইনোকুলার লাগিয়ে বললেন, জাহাজ-নৌকা-নৌকার মাঝি-ফেরি- এসব দেখছি।
'একটা বিরাট লম্বা ব্রিজ দেখতে পাচ্ছেন না?' হোস্ট জানতে চাইলেন।
'কই, না তো, ব্রিজ-ট্রিজ তো কোথাও দেখছি না, ব্রাদার।'
'হান্ড্রেড পার্সেন্ট', হাসতে হাসতে বললেন বলিভিয়ার মন্ত্রী।
এপিটাফ : আমাদের কপাল খারাপ। বলিভিয়া শব্দটির জায়গায় বোধ হয় বাংলাদেশের নামটা উঠি উঠি করেও উঠল না। যাকগে। যেতে দিন। নেঙ্ট্ টাইম, বেটার লাক!

১১.০৭.২০১২
mkarim06@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.