হুমায়ূনের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাতে পারে রোববার

হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ নিউইয়র্কের জ্যামাইকার স্থানীয় একটি ইসলামিক ফিউনেরাল হোমে রাখা হয়েছে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর তাঁর জানাজা হবে বাঙালি অধ্যুষিত এই এলাকার একটি বাংলাদেশি মসজিদে। বুকিং নিশ্চিত হলে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রয়াত লেখকের মরদেহ ঢাকার উদ্দেশে পাঠান হবে।


আগামী রোববার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাতে পারে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এম এ মোমেন জানিয়েছেন, হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় পাঠানোর চেষ্টা চলছে। সম্ভব হলে শুক্রবার জানাজার পর বিমান যোগে পাঠানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন তাঁরা।
বন্ধু মাজহারুল ইসলাম জানালেন, সম্ভব হলে একই বিমানে দেশে ফিরবেন শাওন ও তাঁদের দুই শিশুপুত্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২০ মিনিট) শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ। এ সময় তাঁর শয্যা পাশে ছিলেন স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ভাই মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, শাশুড়ি তহুরা আলি ও অন্য ঘনিষ্টজনেরা।
জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ দেশে আনার জন্য জেট এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে বুকিং দেওয়া হয়েছে। বুকিং নিশ্চিত (কনফার্ম) হলে আজ শুক্রবার নিউইয়র্কের সময় বিকেল সাড়ে ছয়টায় ফ্লাইটটি মুম্বাইয়ের উদ্দেশে যাত্রা করবে। সব কিছু সময় মতো হলে মুম্বাই থেকে রোববার বেলা ১২টায় বরেণ্য এ লেখকের মরদেহ দেশে পৌঁছাবে। একই ফ্লাইটে প্রয়াত লেখকের স্ত্রী ও সন্তানদের দেশে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। জাফর ইকবাল ফিরবেন এমিরেটসের ফ্লাইটে।

No comments

Powered by Blogger.