ব্যাংকিং খাত-ঋণ শ্রেণীকরণের নতুন নীতিমালা by ফারুক মঈনউদ্দীন

প্রতিটি নির্বাচনের আগে দেখা যায়, মনোনয়নপ্রার্থী ঋণখেলাপিরা ব্যাংকের খেলাপি খাতা থেকে নাম কাটানোর জন্য তড়িঘড়ি করে পুরোনো খেলাপি ঋণ শোধ করে দিচ্ছেন কিংবা ন্যূনতম অংশ পরিশোধ করে পুনঃ তফসিলীকরণ করিয়ে নিচ্ছেন। এ সময় নির্বাচন কমিশন থেকে ব্যাংকগুলোর উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, যাতে কোনো প্রার্থী ব্যাংকের ঋণ


খেলাপ রেখে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পারেন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে যদি এ রকম কোনো প্রার্থী পার পেয়ে যান, তাহলে সেই কর্মকর্তা তার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।
এখানে বলা প্রয়োজন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হওয়ার পর তারকা খেলাপি বড়-ছোট রাজনৈতিক নেতারা ব্যাংকগুলোতে ধরনা দিতে থাকেন। ক্ষমতাসীন বিরোধী দলনির্বিশেষে বিভিন্ন মাপের ঋণখেলাপি নেতারা, যাঁদের কাছাকাছি যাওয়াও কঠিন ছিল, তাঁরা ব্যাংকের কর্মকর্তা, নির্বাহী কিংবা ম্যানেজারদের কাছে গিয়ে ধরনা দেন, যদি ব্যাংকের ওপরের মহলের কাউকে দিয়ে কোনো প্রভাব খাটাতে না পারেন। ব্যাংকাররাও এই সুযোগে ঋণের অবস্থাভেদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক-নির্ধারিত নির্দিষ্ট হারে ডাউন পেমেন্ট নিয়ে ঋণ হিসাবটি পুনঃ তফসিলীকরণ (রিশিডিউলিং) করে দিতে পারেন। এতে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার কিছুটা নামিয়ে আনা সম্ভব হয়, আবার একজন ভবিষ্যৎ জনপ্রতিনিধিকে ঋণখেলাপের বদনাম থেকে রক্ষা করে কৃতার্থ হতে পারে ব্যাংক। কারণ, ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারীও হতে পারেন এই প্রার্থী।
উল্লেখ করা প্রয়োজন, ব্যাংকের ঋণখেলাপিদের মধ্যে দুটো ভাগ আছে। একদল আছে স্বেচ্ছা খেলাপি—এঁরা মনে করেন, ব্যাংকের ঋণের টাকা ফিরিয়ে না দিয়ে অল্প কিছু দিয়ে রিশিডিউল করিয়ে নেওয়ার সুযোগ যখন আছে, তখন আর সব টাকা একসঙ্গে পরিশোধ করার দরকার কী? এসব খেলাপি ব্যক্তি ঋণের টাকা প্রদর্শিত ব্যবসা থেকে সরিয়ে নিয়ে অন্য ব্যবসায় খাটান, শেয়ারে বিনিয়োগ করেন, জমি কিংবা ঢাকা শহরে অ্যাপার্টমেন্ট কিনে রেখে দেন। ফলে তাঁর স্বল্পমেয়াদি ঋণের টাকা পরিণত হয় দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী সম্পদ দায়ে। গত বছর থেকে ব্যাংকগুলোর একটা বড় অঙ্কের টাকা আটকে আছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের কাছে। এই আটকে থাকা অর্থের মধ্যে আছে ২০০৮ সাল-পরবর্তী বিশ্ববাজারের দরপতনের ফলে সৃষ্ট সংকটে স্থানীয় বাজারে ধসের নিচে চাপা পড়ে থাকা ব্যাংকঋণ, ২০১০ সালে শেয়ারবাজারের বুদ্বুদ বিস্ফোরণে ছিটকে পড়া বিনিয়োগ এবং সর্বোপরি জমি-বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট ইত্যাদিতে বিনিয়োজিত ঋণের টাকা। ফলে রিশিডিউল করে টিকিয়ে রাখা এই ঋণ ব্যাংকগুলোর মন্দ তথা শ্রেণীবিন্যাসিত ঋণের হারের সঙ্গে যোগ করেছে বিশাল বড় বোঝা। এই বোঝা টেনে যাওয়া একসময় ব্যাংকগুলোর জন্য দুষ্কর হয়ে পড়বে।
ঋণখেলাপিদের আরেকটি দল আছে, যাদের স্বেচ্ছা খেলাপি বলা যায় না। কারণ, তারা স্বেচ্ছায় খেলাপি হয় না। তাদের খেলাপের কারণ ব্যবসায়িক ক্ষতি, নানা দুর্যোগ, বাজারের প্রতিকূল অবস্থা ইত্যাদি। এরা খেলাপি হলেও বিবেকতাড়িত হয়ে ব্যাংকের টাকা শোধ দিতে আসে সুদ মওকুফের শর্তে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, ছোট ও মাঝারি ঋণগ্রহীতারা ভালো গ্রহীতা হয়ে থাকেন, অর্থাৎ ঋণখেলাপের ঘটনাটি তাঁদের বেলায় কম ঘটে। তবে আজকালের জমানায় ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে, নিত্যনতুন ঋণসুবিধা বাজারে আসার কারণে এবং ব্যাংক-নিয়োজিত ঋণ বাজারজাতকারী এজেন্টদের দৌরাত্ম্যে বহু ছোট ও নিম্ন-মাঝারি ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ঋণ নেওয়ার পর উধাও হয়ে যান। বাংলাদেশের বাস্তবতায় দুর্বল প্রশাসনিক কাঠামোর কারণে এদের ধরার মতো কোনো ব্যবস্থা ব্যাংকগুলোর হাতে নেই।
ঋণ সময়মতো পরিশোধকারীদের দলে আর একটা শ্রেণী আছে, যারা অন্য কোনো ব্যবসা অথবা শিল্পোদ্যোগে নতুন ব্যাংকঋণের জন্য আবেদন করার আগে সিআইবির (ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো) রিপোর্টে পরিষ্কার থাকার জন্যও স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে পুরোনা খেলাপি ঋণ শোধ করতে উদ্যোগী হয়। তবে এদের সংখ্যা খুব বেশি নয়।
উল্লিখিত শ্রেণীকরণ, ডাউন পেমেন্ট ও ঋণ পুনঃ তফসিলীকরণের ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোনো ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে সেটি সেই তারিখ থেকে ছয় মাস পর শ্রেণীবিন্যাসিত (ক্লাসিফায়েড) ঋণে পরিণত হয় এবং গণ্য হয় খেলাপি ঋণ হিসেবে। আইনের এ ধারাটি অনুসরণ করে এত দিন ব্যাংকগুলো ছয় মাসের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণকে খেলাপি বলে চিহ্নিত করেছে। খেলাপি হয়ে গেলে ঋণগ্রহীতার নামধাম, ঋণের বিবরণ ইত্যাদি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে রিপোর্ট করতে হয়। উল্লেখ্য, সিআইবি হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি শাখা। সিআইবিতে কোনো শ্রেণীকৃত ঋণ নেই, এই মর্মে রিপোর্ট সংগ্রহ না করে কোনো ঋণ বিতরণ করা বেআইনি।
অবশ্য মেয়াদোত্তীর্ণের কাল বিবেচনায় যে কেবল ঋণ শ্রেণীকরণ করা যায় তা নয়, ঋণের গুণগত মান বিচারেও ঋণ শ্রেণীকরণ করা যায়। কোনো ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে যদি কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা বা সন্দেহ দেখা দেয়, সেই ঋণকে গুণগত মান বিচারে শ্রেণীকরণ করতে হবে, এমনকি মেয়াদোত্তীর্ণ না হলেও। ঋণের কোনো শর্ত যদি লঙ্ঘিত হয়, ঋণগ্রহীতার মূলধন যদি বিলুপ্ত হয়ে যায়, কিংবা ঋণের বিপরীতে রাখা জামানতের মূল্য যদি কোনো বিরূপ কারণে মারাত্মকভাবে হ্রাস পায় এবং তাতে ঋণ পরিশোধে গ্রহীতার সক্ষমতা সম্পর্কে যদি কোনো সন্দেহ দেখা দেয়, তাহলেও সেই ঋণকে শ্রেণীকরণ করতে হবে।
এই খেলাপি ঋণ যদি নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে খেলাপির তালিকা তথা শ্রেণীকৃত ঋণ থেকে বের হয়ে আসার জন্য ঋণ হিসাবকে নতুন মেয়াদে পরিশোধের সুযোগ করে দেওয়া হয়। আর ঋণ পরিশোধের জন্য নতুন তারিখ ও কিস্তি করে দেওয়া হলে সেটিকে বলা হয় পুনঃ তফসিলীকরণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী পুনঃ তফসিলীকরণ করার জন্য ঋণের পরিমাণভেদে নির্দিষ্ট এককালীন টাকা জমা করতে হয়। এই এককালীন জমা দেওয়া টাকাই হচ্ছে ডাউন পেমেন্ট। পুনঃ তফসিলীকরণ করার পর সেই ঋণগ্রহীতাকে টেকনিক্যালি আর খেলাপি বলা যায় না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি সেলে তাকে বিশ্রেণীকরণ (ডিক্লাসিফাই) করতে হয়।
আমাদের আইনে মেয়াদোত্তীর্ণের ১৮০ দিন পর ঋণ শ্রেণীকরণ করা হলেও আন্তর্জাতিক মানে এই মেয়াদ ছিল ৯০ দিনের। ফলে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো ১৮০ দিনের হিসাব করলেও আন্তর্জাতিক দাতা ব্যাংকগুলো নিজেদের মান অনুযায়ী সব সময় ৯০ দিনেই শ্রেণীকরণ করে আমাদের খেলাপি ঋণের হিসাব করত। ফলে বর্তমান বছরের জুন মাসে জারি করা নতুন নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকেও ৯০ দিনে ঋণ শ্রেণীকরণ করতে হবে। নতুন এই নীতিমালা অনুসারে কোনো ঋণ তিন থেকে ছয় মাসের কম সময় পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ থাকলে সেটি নিম্নমান বা সাব-স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে শ্রেণীকৃত হবে, ছয় থেকে নয় মাসের কম সময় পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ থাকলে শ্রেণীকৃত হবে সন্দেহজনক বা ডাউটফুল হিসেবে এবং নয় মাসের বেশি সময় মেয়াদোত্তীর্ণ থাকলে গণ্য হবে মন্দ বা ব্যাড/লস হিসেবে। শ্রেণীকরণের এই নতুন নীতিমালায় শ্রেণীকরণ পদ্ধতি চালু হবে চলতি বছরের শেষ ত্রৈমাসিক থেকে।
সন্দেহ নেই, নতুন নীতিমালায় ব্যাংকগুলোর শ্রেণীকৃত ঋণের হার হঠাৎ বেড়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকিং খাতে যথেষ্ট উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, শুধু শ্রেণীকরণের নিয়মগুলো কঠোর করা হয়নি, কঠোরতর করা হয়েছে ঋণ পুনঃ তফসিল করার নীতিমালাও। আগে শ্রেণীকৃত ঋণ পুনঃ তফসিলীকরণের নিয়ম ও মেয়াদকাল ছিল যথেষ্ট শিথিল। ফলে এ সুযোগ গ্রহণ করা হতো অনাবশ্যক দীর্ঘ সময়ের জন্য। তাই শ্রেণীকরণের নতুন নিয়মের সঙ্গে পুনঃ তফসিলীকরণের নিয়ম এবং মেয়াদকালেও আনা হয়েছে কঠোরতা। এখন থেকে পুনঃ তফসিলীকরণের মেয়াদকাল হবে এ রকম:
নিম্নমান ঋণ প্রথমবার পুনঃ তফসিল করা যাবে শ্রেণীকরণের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ১২ মাসের জন্য, সন্দেহজনক ঋণের ক্ষেত্রে এই শ্রেণীকরণের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ নয় মাসের জন্য এবং মন্দঋণের ক্ষেত্রে প্রথম পুনঃ তফসিল করা যাবে মন্দ মানে শ্রেণীকরণের তারিখ থেকে ছয় মাসের জন্য। দ্বিতীয়বার পুনঃ তফসিল করা যাবে নিম্নমান ঋণ প্রথম পুনঃ তফসিলের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ নয় মাসের জন্য, সন্দেহজনক ঋণ করা যাবে প্রথম পুনঃ তফসিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য। তৃতীয়বার পুনঃ তফসিল করা যাবে নিম্নমান ঋণ দ্বিতীয় পুনঃ তফসিলের মেয়াদ শেষের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য। সন্দেহজনক ও মন্দঋণ—উভয় ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় পুনঃ তফসিলের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ তিন মাসের জন্য। এই নিয়ম অবশ্য চলমান (ওভারড্রাফট ইত্যাদি) ঋণের জন্য, অন্যান্য ঋণ, যথা—তলবি ঋণ, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ইত্যাদির জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নীতিমালা। ঋণভেদে পুনঃ তফসিলীকরণের জন্য ডাউন পেমেন্টের আলাদা হারও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। পুনঃ তফসিলীকরণের তিনটি ধাপের প্রতিটির সঙ্গে বাড়তে থাকবে ডাউন পেমেন্টের হার। তৃতীয়বার পুনঃ তফসিলীকরণের জন্য ডাউন পেমেন্টের হার মোট ঋণের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারিত আছে। সময়সীমা বেঁধে দেওয়া, ডাউন পেমেন্টের অগ্রসরমাণ হার নির্ধারণ করে দেওয়া এবং সর্বোচ্চ তিনবার পুনঃ তফসিলীকরণের সুযোগ বেঁধে দেওয়ার ফলে বিবেচনাহীনভাবে যথেচ্ছাচার করে পুনঃ তফসিল করার সুযোগটা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনায় একটা শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে আশা করা যায়।
বিভিন্ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণের টাকার বেশির ভাগ অংশ আটকে আছে গ্রহীতার কৃতকর্মের ফলে। কারণ, এক প্রকল্প বা ব্যবসার টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে সরিয়ে ফেলাই অধিকাংশ খেলাপের মূল হেতু। নতুন নীতিমালায় দীর্ঘ মেয়াদে খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলীকরণের সুযোগ থাকবে না বিধায় আশা করা যায়, স্বেচ্ছা খেলাপিরা আরও সংযত আচরণ করবেন। এই নতুন নীতিমালার ফলে ব্যাংকের কর্মকর্তারাও কিছু স্বস্তিতে থাকতে পারবেন। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতিমালায় তিনবারের বেশি ঋণ পুনঃ তফসিলীকরণ করা সম্ভব হবে না। একসময় অনেক তারকা খেলাপি ১০ থেকে ১২ বার পর্যন্ত পুনঃ তফসিলীকরণ করিয়ে নিতে পেরেছিলেন। অবশ্য ডাউন পেমেন্টের যে হার নির্ধারণ করা আছে, তাতে তিনবার নির্ধারিত হারে পরিশোধ করলে মোট খেলাপি ঋণের প্রায় ৮০ শতাংশ আদায় হয়ে যায়।
নতুন এই নীতিমালা বাস্তবায়নের পর ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি ঋণগ্রহীতারাও প্রথম দিকে বিপাকে পড়তে পারেন। তবে ব্যবসায় ও ঋণ ব্যবহারে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা গেলে দেশের অর্থবাজার অনেক সুসংহত হবে। এটির কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের চেয়েও বেশি প্রয়োজন ঋণগ্রাহকের সচেতনতা। কারণ, ঋণগ্রহীতারা সচেতন হলেই ঋণের বাজারে সুস্থতা ও শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপিত হবে।
ফারুক মঈনউদ্দীন: লেখক ও ব্যাংকার।
fmainuddin@hotmail.com

No comments

Powered by Blogger.