রমজান আসছে তাই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা!

রমজান শুরু হতে এখনো মাসখানেক সময় বাকি। কিন্তু এর মধ্যেই জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, প্রতি কেজি ছোলার আমদানি-মূল্য ৫৩ টাকা। বাজারে সেই ছোলা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।


সয়াবিন তেলের বড় তিনটি মিলের মালিকরা ইতিমধ্যে সয়াবিনের দাম লিটারে দুই টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন। গত এক মাসে মসুর ডালের দামও বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা।
রোজার সময় প্রয়োজনীয় এসব জিনিসের দাম বাড়ার এ পরিস্থিতিতে একটু নড়েচড়ে বসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসব পণ্যের আমদানিকারক এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে আলাদাভাবে বৈঠকের আয়োজন করেছে মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রামের বৈঠকটিতে থাকবেন বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেন; আর ঢাকার বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মুর্তজা রেজা চৌধুরী।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, রমজান মাসে ছোলা, বিভিন্ন প্রকার ডাল ও মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। বাড়ে ভোজ্য তেল ও খেজুরের চাহিদাও। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের কোনো কোনোটির দাম এখনই বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রমজান মাসে এসব পণ্যের সরবরাহ স্থিতিশীল রেখে মূল্য পরিস্থিতি সহনশীল রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে বৈঠক হবে।
এদিকে, রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যের আমদানির তথ্য সংগ্রহ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কয়েকটি নিত্যপণ্যের আমদানি ও আমদানির ঋণপত্র পর্যালোচনা করছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে এ-সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করেছে মন্ত্রণালয়। এসব তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের জুলাই থেকে গত মে পর্যন্ত দেশে সয়াবিন আমদানি হয়েছে চার লাখ ৭৯৮ টন, পামঅয়েল ছয় লাখ ৩৭ হাজার ৮০৮ টন, ছোলা ৮৫ হাজার ৩৭৫ টন, খেজুর ২০ হাজার ৪৪ টন, পিঁয়াজ তিন লাখ ৫০ হাজার ৯৮৮ টন এবং রসুন আমদানি হয়েছে ৩২ হাজার ১৯৩ টন।
এ ছাড়া গত মে মাসে ২২ হাজার ৭৪৬ টন সয়াবিন, ৬৯ হাজার ২৫৭ টন পামঅয়েল, ছয় হাজার ৮২৬ টন ছোলা, এক হাজার ২৬০ টন খেজুর, ৫৫ হাজার ৬১৬ টন পিঁয়াজ এবং এক হাজার ৮০১ টন রসুন আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.