দেবদাস-পার্বতীর বেশে. by .জিয়াউর রহমান চৌধুরী

আলোঝলমল মঞ্চে হঠাৎ অন্ধকার। নিশ্চুপ হয়ে গেল ঢাকার ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনের সব দর্শক। সামনে দেখা না গেলেও সবার চোখ তখন আলোহীন মঞ্চে। ঘণ্টার কাঁটাটা সাতটার ঘর ছুঁইছুঁই করছে। উপস্থিত দর্শকদের যেন আর তর সইছে না।


কিছুক্ষণ পর, মঞ্চে তখন হালকা আলো জ্বলে উঠতে শুরু করেছে। আর হালকা হলুদাভ আলোর মধ্য দিয়ে হেঁটে আসতে লাগলেন ধুতি-পাঞ্জাবি আর শাড়ি পরা কয়েকজন। ওরা কারা? মঞ্চে প্রবেশ করতেই সবার প্রশ্নাতুর চোখ ওই আগন্তুকদের দিকে। কাছে আসতেই খোলাসা হল সব। এরা শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত চরিত্র দেবদাস-পার্বতী আর শ্রীকান্ত-রাজলক্ষী। প্রিয় লেখকের প্রিয় চরিত্রগুলোকে এভাবে চোখের সামনে পেয়ে সবাই দারুণ উচ্ছ্বসিত। এভাবে চলল বেশ কিছুক্ষণ। এরপর এলেন আরও কয়েকজন। গত ২৮ এপ্রিল ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনের অনুষ্ঠানমঞ্চে এভাবেই হাজির হলেন ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আটটি উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলো। তবে চরিত্রগুলো বাস্তবে নয়, হাজির হয়েছেন ফ্যাশন শোতে। পোশাক-আাাশাক আর সাজসজ্জায় শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত চরিত্রগুলোকে হাজির করেছেন মডেল ইমি, হিরা, মাশিয়াত, জনি, মুন, মেঘনা, লীনা, ববি, চৈতি, শাওন, মারজুক ও শায়না। রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক সনদ বিতরণী উপলক্ষে এ ফ্যাশন মেলো ড্রামার আয়োজন করা হয়। শরৎচন্দ্র রচিত চরিত্রগুলোতে অভিনীত চরিত্রগুলোর পোশাকের ডিজাইন করেন রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের। উপস্থিত ছিলেন রেডিয়েন্টের পরিচালক গুলশান নাসরীন চৌধুরী।অনুষ্ঠানে রেডিয়েন্টের ফ্যাশন ডিজাইনিং ও ইন্টেরিয়র ডিজাইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.