বিশেষ সাক্ষাৎকার-আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জন-অংশগ্রহণ দুর্নীতি কমায় by হিউগেট ল্যাবেল

বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) চেয়ারপারসন হিউগেট ল্যাবেলের জন্ম ১৯৩৯ সালে কানাডার অন্টারিও অঙ্গরাজ্যে। তিনি শিক্ষা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রিধারী, অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের দায়িত্বও পালন করছেন। জাতিসংঘের গ্লোবাল কমপ্যাক্ট, বিশ্বব্যাংকের সুশাসন ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের দুর্নীতিবিরোধী কৌশল

নির্ধারণবিষয়ক বোর্ডের সদস্য। গুরুত্বপূর্ণ নানা দায়িত্ব পালন করেছেন কানাডা সরকারের জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জনসেবা বিভাগে। কানাডার বিদেশবিষয়ক উন্নয়ন সংস্থা সিডার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
হিউগেট ল্যাবেল গত ৩০ এপ্রিল জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক টিআইয়ের বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন।
 সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মশিউল আলম ও ইফতেখার মাহমুদ

প্রথম আলো  জলবায়ু তহবিলের টাকা ছাড় হওয়ার আগেই আপনারা এই খাতে দুর্নীতির আশঙ্কা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধে আপনাদের কোনো পরামর্শ আছে কি না?
হিউগেট ল্যাবেল  জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার বিষয়টি অন্য দশটি বিষয়ের মতো নয়। এটা মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধনী দেশগুলো জলবায়ু খাতে টাকা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। এই টাকা যাতে ব্যক্তিগতভাবে কারও পকেটে না যায়, জলবায়ু তহবিলের সুবিধা যাতে সত্যিকার অর্থে ক্ষতিগ্রস্ত মানুুষের কাছে পৌঁছায়, সে জন্য আমরা এর ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিই। কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি যেন না হয়, সে ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দিয়েছি।
প্রথম আলো  কী কী পদ্ধতিতে এটা নিশ্চিত করা সম্ভব?
হিউগেট ল্যাবেল  জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যেসব প্রকল্প নেওয়া হবে, সেগুলো কোন কোন সংস্থা বাস্তবায়ন করবে, সংস্থাগুলোর উদ্যোক্তা কারা, তাদের পরিচয় কী, কোন খাতে কীভাবে তারা টাকাগুলো খরচ করছে, এসব বিবেচনায় নিতে হবে। যেমন: প্রকল্পগুলোর আওতায় প্রচুর যন্ত্রপাতি কিনতে হবে, অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে দুর্নীতির ঝুঁকি বেশি থাকে। ফলে জলবায়ু প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে পর্যবেক্ষণের জন্য স্বতন্ত্র, পেশাদার ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিতে হবে। তারা বাইরে থেকে কাজগুলো মূল্যায়ন করবে। সরকারের দায়িত্ব হবে জলবায়ু প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল যাতে অনৈতিক সুবিধা নিতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা। এ বিষয়ে সরকার যেসব নীতি ও আইন তৈরি করবে, তা ঠিকমতো অনুসরণ হচ্ছে কি না, সেদিকে সরকারকে লক্ষ রাখতে হবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে জনগণের অংশগ্রহণও বিশেষ প্রয়োজন। আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জন-অংশগ্রহণ রাখা হলে দুর্নীতি কমে আসবে।
প্রথম আলো  ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) তো সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দুর্নীতি নিয়ে কাজ করে। দুর্নীতি কি শুধু একটি অর্থনৈতিক বিষয়? সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো তো অনেক সময় দুর্নীতির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ফলে কোনো একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি দিয়ে পৃথিবীর সব দেশের দুর্নীতি প্রতিরোধ করা কি সম্ভব?
হিউগেট ল্যাবেল  আমি মনে করি না দুর্নীতি একটি সাংস্কৃতিক বিষয়। দুর্নীতির নানা ধরন আছে। ছোটখাটো দুর্নীতি যেমন হয়, বড় দুর্নীতির ঘটনাও ঘটে। যেমন: কোনো একটি দেশের সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতি দমনের কথা বলে থাকে। সরকারপ্রধান দুর্নীতির বিরুদ্ধে গরম বক্তৃতা দেন। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করবে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেবে। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর পুলিশের ঘুষ খাওয়া ও দুর্নীতি বন্ধ করতে উদ্যোগ নিল না, কাস্টমসের ঘুষ বন্ধে ব্যবস্থা নিল না। শুধু বক্তৃতা ও প্রতিজ্ঞা দিয়ে তো আর দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যাবে না। দুর্নীতি বন্ধে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও উদ্যোগ। অঙ্গীকারকে কাজে পরিণত করতে হবে। অবকাঠামো নির্মাণ, ক্রয়-প্রক্রিয়া ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্নীতিমুক্ত রাখা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা নির্বাহী দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের ওপর কোনো ধরনের চাপ ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা যাবে না। অনেকে বলতে পারেন, এটা রাতারাতি সম্ভব নয়। আমি মনে করি, অবশ্যই সম্ভব। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে দ্রুত দুর্নীতি কমিয়ে আনা যায়।
প্রথম আলো  দ্রুত দুর্নীতি কমিয়ে আনার কোনো উদাহরণ কি আছে?
হিউগেট ল্যাবেল  সম্প্রতি চিলি ও বতসোয়ানা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে দুর্নীতি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে এনেছে। এ দুটি দেশের সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে মাঠে নেমেছিল। বিশেষ করে, চিলিতে গত ১৫ বছর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য সে দেশের সরকার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি স্বাধীন প্যানেল গঠন করেছে। এই প্যানেল দুর্নীতি প্রতিরোধে যে সুপারিশগুলো করেছে, তা সংসদ, সরকার ও মন্ত্রিপরিষদ বাস্তবায়ন করেছে। দলনিরপেক্ষভাবে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করায় রাষ্ট্রযন্ত্র আগের চেয়ে অনেক বেশি দুর্নীতিমুক্তভাবে কাজ করছে। চিলির কাস্টমস বিভাগের একসময় অনেক দুর্নাম ছিল। সংস্থাটি এখন অনেক বেশি দুর্নীতিমুক্ত।
প্রথম আলো  বিশ্বের বেশির ভাগ জ্বালানি সরবরাহকারী ৪৪টি প্রতিষ্ঠান বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য প্রধানত দায়ী। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার ব্যাপারেও এ কোম্পানিগুলো এগিয়ে আসছে না। উল্টো তদবিরকারী (লবিস্ট) নিয়োগ করে তারা কর রেয়াতসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিচ্ছে। সম্প্রতি টিআই তেল-গ্যাস কোম্পানিগুলোর দুর্নীতি ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?
হিউগেট ল্যাবেল  কয়েক মাস আগে আমরা বিশ্বের ৪৪টি বৃহৎ জাতীয় ও বহুজাতিক তেল কোম্পানির ওপর একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। আমাদের সমীক্ষার বিষয় ছিল, এই তেল-গ্যাস কোম্পানিগুলো ঠিকমতো কর দেয় কি না। উৎপাদনের পরিমাণ, আয়-ব্যয় ও মালিকানার অংশীদারির বিষয়ে তারা সামগ্রিক তথ্য দেয় কি না। অনেক দেশ আছে, যাদের মোট রাজস্বের ৪০ শতাংশ আসে তেল-গ্যাস কোম্পানিগুলো থেকে। ফলে এই কোম্পানিগুলো সঠিক পরিমাণে রাজস্ব দিচ্ছে কি না, সেই তথ্যগুলো প্রকাশ করার জন্য দাবি জানিয়েছি আমরা। ভবিষ্যতে আমরা এ বিষয়ে আরও প্রতিবেদন প্রকাশ করব।
প্রথম আলো  কোম্পানিগুলোর তো অনেক টাকা। রাষ্ট্রকে প্রভাবিত করার মতো ক্ষমতা ও লবিস্ট তাদের রয়েছে। আপনারা কি তাদের সঙ্গে পেরে উঠবেন?
হিউগেট ল্যাবেল  আমরা বলেছি, তেল কোম্পানিগুলোর লবিস্ট কারা, তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে। অনেক কোম্পানি আছে যারা কর রেয়াত পায়। জনগণের জানার অধিকার রয়েছে তারা কেন এই সুবিধাগুলো পাচ্ছে। বিকল্প জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও একই ধরনের কর রেয়াত কেন দেওয়া হচ্ছে না, তা সবাইকে জানাতে হবে।
প্রথম আলো  তেল কোম্পানিগুলোর মতো ধনী দেশগুলোর কাছ থেকেও পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার কয়েক লাখ মানুষ ইতিমধ্যে স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উপকূলে সুপেয় পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। শিল্পোন্নত দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা, অঙ্গীকার অনুযায়ী সহায়তাও দিচ্ছে না।
হিউগেট ল্যাবেল  আমরা পানি, বনজ সম্পদসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার বিষয়টি খেয়াল রাখছি। ভবিষ্যতে আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করব।
প্রথম আলো  টিআই থেকে গত ৩০ এপ্রিল যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের সুন্দরবনের গাছ চুরি ও দুর্নীতির বিষয়টি উঠে এসেছে। বন থেকে রাজস্ব আহরণের পরিবর্তে বন সংরক্ষণের দিকে নজর দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। টিআই থেকে পরোক্ষভাবে সুন্দরবনকে কার্বন-বাণিজ্যে যুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গ্রিনসহ বেশ কটি পরিবেশবাদী সংস্থা সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে কার্বন-বাণিজ্যের সমালোচনা করে বলেছে, কার্বন-বাণিজ্য দরিদ্র দেশে দুর্নীতির পরিমাণ বাড়াবে।
হিউগেট ল্যাবেল  ইউরোপীয় ইউনিয়ন কার্বন-বাণিজ্যে অর্থ জোগান দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ভারত জাতীয়ভাবে এ বাণিজ্য থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। একভাবে এই অভিযোগ সত্যি। এ কারণেই টিআই প্রতিটি দেশে জলবায়ু পরিবর্তন তহবিলবিষয়ক সব কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রথম আলো  বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
হিউগেট ল্যাবেল  বাংলাদেশে দুর্নীতি কমাতে হলে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও অভিযোগ গঠনের ক্ষমতা দিতে হবে। কাজ করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে সম্পদ ও লোকবল দিতে হবে। শুধু আইন থাকলেই হবে না, তা প্রয়োগের ক্ষমতাও দিতে হবে।
প্রথম আলো  দুর্নীতি দমন কমিশনের নির্বাহী দায়িত্ব কার কাছে দেওয়া হলো, তা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা ও তহবিল থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতি দমনে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো লোকবলের বিষয়টিও অনেক ক্ষেত্রে প্রধান হয়ে যায়।
হিউগেট ল্যাবেল  দক্ষ প্রতিষ্ঠান, ভালো আইন, পর্যাপ্ত তহবিল ও ক্ষমতার পাশাপাশি দুর্নীতি দমনের দায়িত্বে নেতৃত্বেরও প্রয়োজন। সবকিছু দেওয়া হলো, কিন্তু দুদকের চেয়ারম্যানের যদি গ্রহণযোগ্যতা না থাকে, তাহলে দুর্নীতি দমন কঠিন হয়ে যাবে। সর্বোপরি সরকারে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সাহস থাকতে হবে। চিলি ও বতসোয়ানায় যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই দুর্নীতি দমন সহজ হয়েছে। সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব দুর্নীতি দমনের ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। এ জন্য বিচার বিভাগকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার, প্রশাসন, স্থানীয় সরকারসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রথম আলো  সম্প্রতি উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্য থেকে সুইস ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে মুদ্রা পাচারের যে চিত্রের আভাস পাওয়া গেছে, তা ভয়াবহ। এ বিষয়ে টিআইয়ের কোনো চিন্তাভাবনা আছে কি?
হিউগেট ল্যাবেল  আমরা ইতিমধ্যে এ বিষয়টি জি-২০-এর কাছে উত্থাপন করেছি। আমরা অভিযোগ করেছি, ব্যাংকগুলো তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে না। বিশ্বজুড়ে মুদ্রা পাচার একটি বড় সমস্যা হিসেবে সামনে চলে এসেছে। এমনও দেখা গেছে, একটি ছোট্ট দেশের জনসংখ্যা ৭০ হাজার আর সে দেশের ব্যাংকে অ্যাকাউন্টের সংখ্যা তিন লাখ। কোনো দরিদ্র দেশের রাজনৈতিক নেতা, আমলা ও ব্যবসায়ীরা এই টাকা রাখছেন কি না, তা অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। যেমন: তিউনিসিয়ার বেন আলী ও মিসরের হোসনি মোবারকের টাকা ধনী দেশগুলোর ব্যাংকে জমা আছে। দ্রুত এই টাকা জব্দ করা প্রয়োজন। তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর তাঁরা আবারও রাজনীতিতে ফিরে আসবেন। গরিব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা জনগণের টাকা লুটপাট করে ধনী দেশের ব্যাংকে জমা রাখবেন। এগুলো বন্ধ না হলে দুর্নীতি বন্ধ হবে না।
প্রথম আলো  আপনাকে ধন্যবাদ।
হিউগেট ল্যাবেল  ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.