‘মেসিকে কখনোই নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি’

২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের দুঃসহ স্মৃতিটা আবারও চেপে বসল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থকদের মনে। রোমের সেই ফাইনালে অসাধারণ দক্ষতায় একটি গোল তো করেই ছিলেন, সেই সাথে পুরোটা সময়ই নজরকাড়া পারফরমেন্স দেখিয়ে ম্যানইউর ইউরোপসেরা হওয়ার স্বপ্নটা মাটি চাপা দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। গতকালও বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন ফিফার বর্ষসেরা এই ফুটবলার। এবারও কাতালানদের ৩-১ গোলের জয়ে একটি গোল এসেছে তাঁর পা থেকে। মেসি ও বার্সেলোনার মাঝ মাঠ অন্যদের রীতিমতো সম্মোহন করে রেখেছিল বলে ম্যাচ শেষে মন্তব্য করেছেন ম্যানইউ কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন।
গতকাল ১-১ গোলে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে মাপা পায়ের শট থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। এ ছাড়া পুরো সময়ই মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তাদের শৈল্পিক ফুটবল মুগ্ধ করে রেখেছিল ওয়েম্বলির দর্শকদের। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফার্গুসন বলেছেন, ‘তারা নিখুঁত পাসের খেলা দিয়ে সবাইকে রীতিমতো সম্মোহন করে রেখেছিল। আমরা সত্যিই মেসিকে কখনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। তাঁকে পাহারা দিতে গিয়ে আমরা ভালোমতো আক্রমণেই যেতে পারিনি। আমরা সাধারণত যেভাবে খেলি, সেরকমই খেলার চেষ্টা করেছিলাম। কোনো খেলোয়াড়কেই কড়া পাহারায় রেখে খেলতে আমরা একেবারেই অভ্যস্ত নই। স্বীকার করছি যে, আমরা তাদের হারানোর মতো ভালো খেলতে পারিনি।’
গতকাল ম্যাচের শুরুটা ভালোভাবেই করেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাজয়ীরা। প্রথম ১০ মিনিটেই বেশ কিছু আক্রমণ চালিয়েছিল বার্সা রক্ষণভাগে। কিন্তু তারপর থেকে আস্তে আস্তে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে কাতালানরা। তবে ২৭ মিনিটে পেদ্রোর গোলে এগিয়ে গেলেও ৭ মিনিট পর রুনির গোলে আবারও আশা ফিরে আসে ম্যানইউ শিবিরে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তাদের আর দাঁড়াতেই দেয়নি মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তা-ভিয়ারা। ফার্গুসনও অকপটেই স্বীকার করে নিয়েছেন সে কথা। বলেছেন, ‘১-১ গোলের সমতা নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভালো খেলার আশা করেছিলাম আমরা। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত হয়নি। আর এর পুরো কৃতিত্বটাই প্রাপ্য বার্সেলোনা খেলোয়াড়দের। কারণ তারা তাদের নিজস্ব স্টাইলের ফুটবল খেলেছে, খেলাটা উপভোগও করেছে।’

No comments

Powered by Blogger.