মাল্টায় বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে গণভোট

বিবাহবিচ্ছেদ-বিষয়ক আইন চালু হবে কি হবে না, এই নিয়ে গতকাল শনিবার ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ দেশ মাল্টায় গণভোট হয়েছে। চার লাখ মানুষের দেশ মাল্টা ইউরোপের একমাত্র দেশ, যেখানে আইনগতভাবে বিবাহবিচ্ছেদের প্রচলন নেই। সেখানকার প্রভাবশালী ক্যাথলিক চার্চ বিবাহবিচ্ছেদ আইনের ঘোর বিরোধী। নির্বাচন-পূর্ব জনমত জরিপ অনুযায়ী, এই স্পর্শকাতর বিষয়ে ৪০ শতাংশ নাগরিক সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।
গত বছরের জুলাইয়ে বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি আইনে পরিণত করার উদ্যোগ হিসেবে ক্ষমতাসীন মধ্য-ডানপন্থী ন্যাশনাল পার্টির সদস্য জেফরি পুলিসিনো অরল্যান্ডো এটি বিল আকারে পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন। এতে তাঁর নিজ দলের অনেক সদস্য মর্মাহত হন।
প্রস্তাবিত বিলে বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি রক্ষণশীল আকারে তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মূলত আইরিশ রীতি অনুসরণ করা হয়েছে। সেখানে বিবাহবিচ্ছেদের আগে দম্পতিদের চার বছর আলাদা থাকতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী লরেন্স গনজি স্বয়ং বিবাহবিচ্ছেদের ঘোর বিরোধী। কিন্তু পার্লামেন্টে তাঁর দল মাত্র একটি আসন বেশি পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। কাজেই তিনি চাইলেই তাঁর ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না। এ জন্য দেশব্যাপী জনমত যাচাইয়ে এই গণভোটের আয়োজন করা হয়।
বিরোধীদলীয় নেতা জোসেফ মাসকাট বিবাহবিচ্ছেদের জোরালো সমর্থক। অবশ্য তাঁর দলের কিছু নেতা-কর্মী অবশ্য এর বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তিনি বলেন, বিবাহিত জীবনের পাট চুকিয়ে যারা নতুন করে জীবন শুরু করতে সমর্থ, তাদের জন্য এই গণভোট একটি সুযোগ।

No comments

Powered by Blogger.