আলোচনা- 'পেট্রোবাংলার ভূমিকা এবং কিছু প্রশ্ন' by ড. এম শামসুল আলম

জ্বালানি নিরাপত্তা বিধানের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে গ্যাসের মূল্য সহনীয় রাখা আবশ্যক। তাই জাতীয় বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি করে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রয়োজন। এই বিবেচনায় সরকারের সম্মতি সাপেক্ষে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির কৌশলগত পরিকল্পনা জানানোর শর্তে গণশুনানির ভিত্তিতে পেট্রোবাংলার মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব যৌক্তিক প্রমাণিত না হওয়ায় বিইআরসি ৩০ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অর্থে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২৩ এপ্রিল ২০০৯ অর্থ মন্ত্রণালয় ২৪৩ নং পত্রে অবহিত করে যে গ্যাস উন্নয়ন তহবিলে প্রাপ্ত অর্থের প্রদত্ত করের সমপরিমাণ অর্থ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বিপরীতে বরাদ্দ রাখা হবে, যা গ্যাস উন্নয়ন তহবিলে অন্তর্ভুক্ত হবে।
এ তহবিলে আহরিত অর্থ যাতে কেবল গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়নকাজে ব্যবহার হয়, তা নিশ্চিতকল্পে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে বলা হয়। সরকারের এ সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে গ্যাস তথা জ্বালানি সংকট নিরসনে একটি দৃষ্টান্তমূলক মাইলফলক বলা যায়।
এরপর গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গঠনের জন্য ৩০ জুলাই বিইআরসি এক আদেশে ভোক্তাপর্যায়ে গ্যাসের গড় মূল্যহার ১১.২২ শতাংশ বৃদ্ধি করে। ৯ আগস্ট অপর এক আদেশে বিইআরসি উল্লেখ করে, গ্যাস উন্নয়ন তহবিলে আহরিত অর্থ কেবল গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়নকাজে ব্যবহার করার শর্ত পালন পেট্রোবাংলা নিশ্চিত করবে। ২৩ আগস্ট প্রদত্ত অপর এক আদেশে বিইআরসি বলেছে, গ্যাস খাতের ঝুঁকিপূর্ণ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন ব্যয় প্রক্ষেপণের মাধ্যমে দেশি কম্পানির উৎপাদন বৃদ্ধি এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও অর্জন সম্পর্কীয় পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বিইআরসিকে প্রেরণের জন্য ৩০ জুলাই প্রদত্ত আদেশে বলা হয়েছিল। কিন্তু ৩০ এপ্রিল ১৬৫৮ নং পত্রে পেট্রোবাংলা যে কৌশলগত পরিকল্পনা দাখিল করে, তা বিইআরসির ওই আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আজ অবধি ওই আদেশের সঙ্গে সংগতি ও সামঞ্জস্যপূর্ণ কৌশলগত পরিকল্পনা দাখিল করা হয়নি। তদুপরি গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্তের প্রায় দুই বছর পর এ তহবিলের অর্থ ব্যবহারের যে খসড়া নীতিমালা পেট্রোবাংলা দাখিল করে, তা বিইআরসির ওই সব আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন বলে প্রতীয়মান হয়। উপরন্তু পেট্রোবাংলা অযাচিতভাবে এই খসড়া নীতিমালা বিইআরসির পরিবর্তে মন্ত্রণালয়ে পেশ করে প্রতিমন্ত্রীর অনুমোদন গ্রহণ করে। যেহেতু বিইআরসির আইন অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের রেগুলেটরি তথা মূল্যহার নির্ধারণের ক্ষমতা বিইআরসির এবং নীতি প্রণয়নের ক্ষমতা সরকারের, সেহেতু প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক এই খসড়া নীতিমালা অনুমোদিত হওয়ায় পেট্রোবাংলা নীতিমালাটি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বলে বিইআরসিকে অবহিত করে। উলি্লখিত কারণে পেট্রোবাংলার এ বক্তব্য গৃহীত না হওয়ায় ৩১ অক্টোবর ও ৮ নভেম্বর ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত বিইআরসির উন্মুক্ত সভায় এ নীতিমালা উপস্থাপিত হয়। ১. যেহেতু রেগুলেটরি নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের একক এখতিয়ার বিইআরসির এবং যেহেতু ভোক্তাদের অর্থে বিইআরসি গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, সেহেতু ওই তহবিলের অর্থ ব্যবহারের নীতিমালা বা পদ্ধতি প্রণয়ন করা বিইআরসির রেগুলেটরি ক্ষমতার আওতাভুক্ত। ২. যেহেতু বিইআরসির আইনে যে নীতি প্রণয়নের ক্ষমতা সরকারের, সে নীতি কেবিনেট তথা মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হয়, কোনো প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক নয়, সেহেতু প্রতিমন্ত্রীর এই অনুমোদন আইনের দৃষ্টিতে অকার্যকর।
ওই খসড়া নীতিমালা পর্যালোচনায় দেখা যায় : ১. নীতিমালায় গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধিতে অনুসন্ধান ও উৎপাদনে সরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ এবং দেশি কম্পানির নিজস্ব বিনিয়োগের সঙ্গে গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের কোনো কৌশলগত সম্পর্ক উল্লেখ না থাকায় এ তহবিলের অর্থ ব্যয়ের স্বরূপ স্পষ্ট হয়নি। ফলে এ তহবিলের অর্থ পেট্রোবাংলার ইচ্ছামাফিক ব্যয় হবে। তাতে বিভ্রান্তি বাড়বে এবং তহবিল গঠনের লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত হবে। ২. গ্যাস অনুসন্ধানে নিয়োজিত বাপেঙ্ এবং উৎপাদনে নিয়োজিত বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড ও সিলেট গ্যাসফিল্ড। গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধিতে এ তিনটি কম্পানির একক অথবা যৌথভাবে গৃহীত কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কেবল ওই তহবিলের অর্থ ব্যয় হবে। নীতিমালায় এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি। উল্লেখ্য, এর আগে সাত বছর মেয়াদি যে কৌশলগত পরিকল্পনা পেট্রোবাংলা বিইআরসির কাছে দাখিল করে, তা বাস্তবায়নে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩.৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুসন্ধান ও উৎপাদনে নিয়োজিত তিনটি কম্পানির জন্য বিনিয়োগ ধরা হয় মাত্র ১.১ হাজার কোটি টাকা। অথচ এ সাত বছরে এ তহবিলে মজুদ অর্থের পরিমাণ হতে পারে কমপক্ষে সাত হাজার কোটি টাকা। তাতে বলা যায়, স্থলভাগে দেশি কম্পানির পাশাপাশি বিদেশি কম্পানির গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনের সুযোগ অব্যাহত থাকায় এ তহবিল গঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জন কঠিন হবে। ৩. নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রকল্পের সফল সমাপ্তির পর বিনিয়োগকৃত অর্থ ডিএসএল আকারে তহবিলে ফেরত দিতে হবে। যেহেতু গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ তহবিলের অর্থ বৃদ্ধি পাবে এবং যেহেতু এ তহবিল গঠনের উদ্দেশ্য গ্যাসের সরবরাহ ব্যয় সহনীয় রাখা, সেহেতু এ অর্থ ফেরত নেওয়া না হলে গ্যাসের সরবরাহ ব্যয় সহনীয় থাকবে। তাই এ অর্থ ফেরতের বিধান গ্যাসের মূল্য সহনীয় রাখার ক্ষেত্রে বড় বাধা হবে। ৪. নীতিমালার ৩ নং অনুচ্ছেদে রয়েছে, জাতীয় কম্পানিগুলোর মজুদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আর্থিক বিশ্লেষণে লাভজনক বিবেচিত হওয়া সাপেক্ষে এ তহবিলের অর্থ মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প প্রস্তাবগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা হবে। কিন্তু এ লাভজনক বিষয়টি অস্পষ্ট। কারণ দেশি কম্পানির গ্যাস উৎপাদন ব্যয় অথবা বিদেশি কম্পানির কাছ থেকে কেনা গ্যাসের দামের সঙ্গে এ লাভজনক বিষয়টির সম্পর্ক নীতিমালায় স্পষ্ট নয়। ৫. শুল্ক, ভ্যাট ও কর বাদে বিদেশি কম্পানির প্রতি একক গ্যাস যদি ২২৫ টাকায় কেনা লাভজনক হয়, তাহলে দেশি কম্পানির গ্যাস কর বাদে কত টাকায় কেনা লাভজনক তা স্পষ্ট হওয়া দরকার। দেশি কম্পানির গ্যাস কেনা হয় সাত টাকায়। বাপেঙ্রে গ্যাস ২৫ টাকায়। এখানেই লেভেল প্লেইং ফিল্ডের ধারণা অচল। ফলে বিদেশি ও দেশি কম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতা স্বচ্ছ ও সুষম নয়। এ প্রতিযোগিতা স্বচ্ছ ও সুষম করার ব্যাপারে এ নীতিমালা মোটেও উপযোগী নয়। ৬. যেহেতু অনুসন্ধানে দেশি কম্পানির বিনিয়োগ সক্ষমতা না থাকায় গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধিতে তার অবদান দ্রুত কমে আসছে, সেহেতু ওই তহবিলের সিংহভাগ অর্থ অনুসন্ধানে বিনিয়োগ হতে হবে। উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকৃত অর্থের আনুপাতিক পরিমাণও উল্লেখ থাকতে হবে। কিন্তু সেসব না থাকায় এ তহবিল গঠনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এ নীতিমালা অকার্যকর। ৭. নীতিমালার ৩.৩ উপানুচ্ছেদে বিদেশি বিশেষজ্ঞ বা পরামর্শক নিয়োগ, গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও জরুরি কার্যক্রমে এ তহবিলের অর্থ ব্যয় হবে বলা হয়েছে। এসব ব্যাপারে অর্থ ব্যয়ের এমন ঢালাও সুযোগ থাকায় এ তহবিলের অর্থের স্বচ্ছ ব্যবহার বিঘি্নত হবে। ৮. সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন নির্মাণের ব্যাপারে এ নীতিমালায় অর্থ বরাদ্দের সুযোগ রয়েছে। যেখানে এসব কম্পানির মালিকানা শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে জনগণের হাত থেকে ব্যক্তির হাতে যাচ্ছে, সেখানে ওই তহবিলের অর্থে এসব কম্পানির সম্পদ বৃদ্ধির সুযোগ থাকায় এ নীতিমালা জনস্বার্থবিরোধী বলে প্রতীয়মান হয়। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট গ্যাসফিল্ড বিদেশি কম্পানির কাছ থেকে কিনে এবং শেয়ার কিনে গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ কম্পানিকে সরকার তথা জনগণের মালিকানায় নিয়ে আসে। ৯. নীতিমালার ৪ নং অনুচ্ছেদের বিধানমতে এই তহবিল পরিচালনায় থাকবে পেট্রোবাংলা। পিএসসির আওতায় গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে বিদেশি কম্পানির ব্যয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পেট্রোবাংলার ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে এ তহবিল পরিচালনার ব্যাপারে পেট্রোবাংলার সক্ষমতা নিয়ে জনগণের সংশয় রয়েছে। তাই এ তহবিলের অর্থ ব্যবহারের ব্যাপারে এ নীতিমালা যথাযথ নয়। এরপর ওই নীতিমালা নিচের সুপারিশের ভিত্তিতে পুনর্গঠনের জন্য বিইআরসির কাছে প্রস্তাব করা হয়।
তহবিল পরিচালনায় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে ৯ সদস্যের একটি সম্মিলিত ব্যবস্থাপনা কমিটি হবে। সে কমিটিতে বিইআরসি মনোনীত ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের প্রতিনিধি থাকবে। তা ছাড়া কৌশলগত পরিকল্পনা এবং এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত কর্মপরিকল্পনা অনুসন্ধান ও উৎপাদনে নিয়োজিত কম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে এ কমিটি কর্তৃক প্রণীত হবে। তা কমিটির কর্মপরিধিতে উল্লেখ থাকবে। এ তহবিলের অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা ও কর্মপরিকল্পনা বিইআরসির উন্মুক্ত সভায় অনুমোদিত হতে হবে। কৌশলগত পরিকল্পনার বিপরীতে খাতওয়ারি বাজেটে অর্থ বিভাজন দেখাতে হবে। এ বাজেটের সুস্পষ্ট রূপরেখা নীতিমালায় থাকবে। বাজেট এ কমিটি কর্তৃক প্রণীত হবে। তদুপরি খাতভিত্তিক এ তহবিলের অর্থ বিভাজনের আনুপাতিক সম্পর্ক হবে এরূপ : অনুসন্ধান : উৎপাদন : বিবিধ = ৮০ : ১৫ : ৫; পাশাপাশি এসব খাতে সরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ এবং দেশি কম্পানির নিজস্ব সম্ভাব্য বিনিয়োগের আনুপাতিক অংশও বাজেটে অন্তর্ভুক্তির বিধান নীতিমালায় থাকবে; বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত নেওয়া হবে না। তা জ্বালানি খাতের ভর্তুকি হিসেবে গণ্য হবে; অনুসন্ধান ও উৎপাদন কম্পানির প্রয়োজনে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন নির্মাণ যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে কেবল এসব কম্পানির মালিকানায় এসব লাইন নির্মাণে ওই তহবিলের অর্থ ব্যয় হবে। তবে কোনোভাবেই সঞ্চালন ও বিতরণ কম্পানির প্রয়োজনে এ অর্থ ব্যয় হবে না এবং এ কমিটির বার্ষিক প্রতিবেদন বিইআরসি অবহিত হবে।
বিনিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত রিটার্নের নিশ্চয়তা থাকতে হয়। দেশি কম্পানির গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির প্রত্যাশায় প্রায় দুই বছর আগে ভোক্তাদের অর্থে এ গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গঠিত হলেও ভোক্তারা আজও কোনো রিটার্ন কেন পাননি, উন্মুক্ত সভায় ভোক্তাদের এমন প্রশ্নের জবাব মেলেনি। বরং যেসব প্রশ্নে পেট্রোবাংলা সমালোচিত হয়েছে, সেসব প্রশ্নের জবাব পেট্রোবাংলাকে দিতে বলা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত সভা পেট্রোবাংলার প্রতিনিধি জনৈক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুরোধে মুলতবি হয়। ৮ নভেম্বর সে সভা অনুষ্ঠিত হলেও তিনি বা তাঁর পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত হননি। তাঁর পরিবর্তে এমন এক কর্মকর্তা উপস্থিত হন, বিইআরসি যাঁকে কার্যকর প্রতিনিধি গণ্য করেনি। ফলে আক্ষেপে বলা হয়েছে, অতীতে এসব সভায় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আসতেন। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়ে উপস্থিত ব্যক্তিদের সন্তুষ্ট করতেন। আজ এ কী অবস্থা! সার্বিক পর্যালোচনায় আজকের গ্যাস সংকট সমাধানে পেট্রোবাংলার আন্তরিকতার ব্যাপারে বিইআরসি সংশয় ব্যক্ত করেছে। তদুপরি গত ৯ নভেম্বর জ্বালানি উপদেষ্টা গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধিতে শেভরনের উৎপাদন বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। বাপেঙ্রে বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অর্থ বরাদ্দের কথা বলা হলেও দেশি কম্পানির উৎপাদন বৃদ্ধিতে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল কোনো গুরুত্ব পায়নি। তাহলে গ্যাসের মূল্য সহনীয় থাকবে কিভাবে? ফলে ভোক্তাদের প্রত্যাশা হতাশায় পর্যবসিত হয়েছে এবং পেট্রোবাংলার ভূমিকায় ভোক্তারা সংশয়ে আছেন। এ অবস্থায় পেট্রোবাংলা জনগণের সহায়ক কি না এমন সংশয় নিরসনে পেট্রোবাংলা যেন আন্তরিক হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।
===========================
আন্তর্জাতিক- 'যুক্তরাষ্ট্রের ইরাকনীতি ইরানকে বিজয়ী করছে' by ফয়সাল আমিন ইস্ত্রাবাদি  আলোচনা- 'ইভ টিজিং : দায়ী কে?' by ফখরে আলম  কল্প গল্প- '...আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে!' by আলী আলী হাবিব  রাজনৈতিক আলোচনা- ''উচিত কথায় ননদ বেজার, গরম ভাতে ভাতে বিলাই (বিড়াল)' by আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী  প্রকৃতি- 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষশত্রু' by মেহেদী উল্লাহ  ইতিহাস- 'ইতিহাসে মওলানা ভাসানীর আসন' by সৈয়দ আবুল মকসুদ  ইতিহাস- 'টিকে থাকুক ‘টেগর লজ’' by আশীষ-উর-রহমান  আলোচনা- 'কর্মশক্তি ও টাকার অপচয়!' by রোজিনা ইসলাম  রাজনৈতিক আলোচনা- 'আশির দশকে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন' by আবুল কাসেম ফজলুল হক  আলোচনা- 'বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব আকাশচুম্বী' by ড. নিয়াজ আহম্মেদ  ইতিহাস- 'প্রত্যন্ত জনপদে ইতিহাস-সঙ্গী হয়ে' by সাযযাদ কাদির  আন্তর্জাতিক- 'জাতিসংঘ বনাম যুক্তরাষ্ট্র' by শহিদুল শহিদুল ইসলাম  গল্পালোচনা- 'দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ?' by মহসীন মহসীন হাবিব  স্বাস্থ্য আলোচনা- 'প্রসূতিসেবায় পিছিয়ে দেশ' by শেখ সাবিহা আলম  রাজনৈতিক আলোচনা- 'বন্দিত কান্না, নিন্দিত হরতাল আর রাজকীয় অশ্রুপাতের গল্প' by ফারুক ওয়াসিফ  খবর- উত্তর কোরিয়ার নতুন পরমাণু প্ল্যান্ট দেখে 'তাজ্জব' মার্কিন বিজ্ঞানীরা


কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ ড. এম শামসুল আলম
শিক্ষাবিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.