চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত ১

(আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সামনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুিলবিদ্ধ হন তাপস পাল নামের এক শিক্ষার্থী। পরে তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সহপাঠীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তাপস পাল নামের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সামনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় তাপস পাল গুলিবিদ্ধ হন। পরে তিনি মারা যান। নিহত তাপস পাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, কথা-কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ড উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স)মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গোলাগুলি হয়েছে। নিহত তাপস ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের সদস্য ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অহিদুল আলম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। এর আগে ছাত্রলীগ ও শিবিরের সংঘর্ষে দুজন মারা যাওয়াসহ কয়েকটি ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৭৩ দিন বন্ধ ছিল। সর্বশেষ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কোন্দলে গত ৯ ও ১০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। এখানে ছাত্রলীগের কোন্দল এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। এই উত্তেজনার রেশ কাটতে না কাটতেই একটি ছাত্রাবাসের নিয়ন্ত্রণ নিতে সংগঠনটির তিনটি পক্ষের তৎপরতায় আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। এরপরে আবার আজ এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ ও শিবিরের সংঘর্ষে দুজন মারা যাওয়ার ঘটনায় ৫৮ দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল।

No comments

Powered by Blogger.