সেনা তত্ত্বাবধানে অন্তর্বর্তী সরকার মিশরে

প্রায় আড়াই বছরের মধ্যে দ্বিতীয় অভ্যুত্থানে বিলীন হয়েছে মিশরের গণতন্ত্র। প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে কার্যত দেশটি ফিরে গেছে সামরিক শাসনে।
সেনাবাহিনী ক্ষমতায় বসিয়েছে তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে। স্থগিত করা হয়েছে সংবিধান। নতুন যে সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে দৃশ্যত এর নেপথ্যে ক্ষমতার চাবি রয়েছে সেনাবাহিনী, বিশেষ করে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি। ফলে আগামী দিনগুলোতে মিশরের ভবিষ্যৎ কি তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী তার দল মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি মারাত্মক এক আঘাত হেনেছে। এখন অনেকেই বলছেন, পরিস্থিতির শিকার হয়ে এই সংগঠনটি বাধ্য হয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে। যদি তারা তা-ই করে তাহলে মিশরে অস্থিরতা কমবে না বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। তারা মনে করেন, মিশরের সেনাবাহিনী ভয়াবহ একটি বিষয়ে হাত দিয়েছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের মুখপাত্র জেহাদ আল হাদ্দাদ বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত মোহাম্মদ মুরসিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তার সরকারে যারা ছিলেন তাদের সবাইকে করা হয়েছে আটক। এর মধ্যে রয়েছেন জেহাদ হাদ্দাদের পিতা এসাম আল হাদ্দাস, মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখার প্রধান সাদ আল তাকাতনি। রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদপত্র আল আহরাম বলেছে, মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা ও সদস্য মিলে প্রায় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মুরসি বিরোধী ও তার সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দিন ধরে চলমান বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী বুধবার গভীর রাতে মুরসিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি ঘোষণা দেন, মুরসি এখন মিশরের কোন নেতা নন। তিনি দেশের জনগণের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এরপরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় মিশরের সুপ্রিম কনস্টিটিউশনাল কোর্টের প্রধান বিচারপতি আদলি মানসুরের। গতকাল তাকে শপথ পড়ানো হয়। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সরকারের যাত্রা হলো মিশরে। মাত্র চারদিন আগে এই বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট মুরসি। কিন্তু নিয়তির বিধান অনুসারে এখন তিনিই মুরসির স্থান দখল করলেন। ওদিকে মুরসি আর মিশরের প্রেসিডেন্ট নন- সেনাপ্রধানের এমন ঘোষণা দেয়ার পর ঐতিহাসিক তাহরির স্কয়ার আনন্দে ফেটে পড়ে। রাতের তাহরির স্কয়ার আলোয় আলোয় ঝলসে যায়। আতশবাজির আলোয়, লেসার রশ্মিতে অন্য এক আবহ ধারণ করে। কিন্তু মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর এই অভ্যুত্থান পরিকল্পনা ছিল অনেকটা আগে থেকেই। অনেক দিন ধরেই রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার বাসনা সেনাপ্রধান জেনারেল সিসির মনে ছিল। তিনি বুধবার রাতে সংবিধান স্থগিত করে মুরসিকে গ্রেপ্তার করান। গ্রেপ্তার করা হয় মুসলিম ব্রাদারহুডের অনেক নেতাকর্মীকে। বন্ধ করে দেয়া হয় কয়েকটি ইসলামী টেলিভিশন চ্যানেল। ২০১১ সালের আরব বসন্তের পর মিশরে ও ওই অঞ্চলে মুসলিম ব্রাদারহুড বেশ ভাল করছিল। এর কারণ, এ সংগঠনটি অত্যন্ত সুসংগঠিত। তাদের রয়েছে সততার সুনাম। ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোর ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে তারা এগিয়ে গেছে। কিন্তু এখন তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যে সংঘাত তৈরি হলো এর সমাধান কোথায় বা কতদিন পরে মিটবে নাকি আদৌ মিটবে না- এ প্রশ্নের কোন উত্তর আপাতত নেই। ওদিকে মুরসির ক্ষমতা গ্রহণের ১ম বর্ষপূর্তি ছিল ৩০শে জুন। এ উপলক্ষে তার সমর্থকরা মাঠে নামে। মাঠে নামে বিরোধী পক্ষও। দু’পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। এ অবস্থায় ১লা জুলাই সেনাবাহিনী মুরসিকে সঙ্কট সমাধানের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। তারা বলে, ওই সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে তারা দেশের স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে। মুরসি এ সময়সীমাকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তিনি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। কারও রক্তচক্ষুকে ভয় করেন না। কেউ তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না। ৩রা জুলাই স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে চারটায় শেষ হয় সেনাবাহিনীর সময়সীমা। এরপরই সেনাবাহিনীর দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে যায়। রাজনীতিবিদ, ধর্মীয় নেতা ও যুব সমাজের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জেনারেলরা। তখনই গুজব ছড়িয়ে পড়ে মিশরে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটতে যাচ্ছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতারা বলে দেন, অভ্যুত্থান প্রক্রিয়া চলছে। ততক্ষণে রাজপথে নেমেছে সেনা সদস্যরা। নামানো হয় ট্যাংক। সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সামনে মোতায়েন করা হয় সেনা ও ট্যাংক। বিশ্বের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল দর্শকদের টেনে নিয়ে যায় মিশরে, তাহরির স্কয়ারে। তারা নিয়মিত সমপ্রচার বাদ দিয়ে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে একটানা মিশরের সংবাদ পরিবেশন করতে থাকেন। বাংলাদেশে গভীর রাত পর্যন্ত বলা হয়, সেনাবাহিনী অল্পক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেবে। আরও গভীর রাতে দেখানো হয়, সেনাপ্রধান সিসি বিবৃতি দিচ্ছেন। সেখানে তিনি  ঘোষণা করছেন, মুরসি এখন আর মিশরের কোন নেতা নন। তিনি প্রেসিডেন্ট নেই। এ সময় তিনি ঘোষণা করেন ভবিষ্যতের রোডম্যাপ। বলেন, নতুন প্রেসিডেন্ট আদলি মানসুরকে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দেশ পরিচালনা করার দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি এ কাজ করবেন যতদিন নির্বাচিত একজন প্রেসিডেন্ট না আসেন। সুপ্রিম কনস্টিটিউশনাল কোর্ট প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন আয়োজন করবে। একটি ‘সম্মান সনদ’ তৈরি করে তা জাতীয় মিডিয়ায় প্রচার করা হবে। জেনারেল সিসির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সাঁজোয়া যান রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ছুটতে শুরু করে। মুসলিম ব্রাদারহুডের টেলিভিশন স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মিনা বলেছেন, ব্রাদারহুডের মিশর ২৫ চ্যানেলের ম্যানেজারদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০১১ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি মিশরে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। সেবার ক্ষমতাচ্যুত হন প্রায় ৩০ বছরের স্বৈরশাসক হোসনি মুবারক। তার প্রায় এক বছর পর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মোহাম্মদ মুরসি। তিনি ক্ষমতায় আসেন ২০১২ সালের ৩০শে জুন। কিন্তু এক বছর ক্ষমতায় থাকায় তাকেও সেনাদের রোষানলে পড়তে হলো। ঘটলো অভ্যুত্থান।
মুরসির পতনে বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া: যত দ্রুত সম্ভব মিশরে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত একটি বেসামরিক সরকার দেখতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি একই সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ও তার সমর্থকদের খেয়ালখুশি মতো গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া ও সংবিধান স্থগিত করায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ মিশর পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। সব পক্ষকে তিনি সহিংসতা পরিহার করে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, যুক্তরাজ্য কোন সামরিক হস্তক্ষেপে সমর্থন করে না। মিশরে সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিশ্বের অন্যান্য নেতা। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইডো ওস্টোরওয়েলে বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব মিশরে সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা জরুরি। তা না হলে মিশরে গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সব পক্ষকে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানান। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন মিশরে চলমান চরম উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তার প্রেক্ষিতে সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, সহিংসতা এড়িয়ে আলোচনার পথে যেতে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথারিন অ্যাশটন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি সব পক্ষকেই দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে আহ্বান জানাচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে অবাধ ও সুষ্ঠু প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট নির্বাচন ও সংবিধান অনুমোদন দেয়া। তা হতে হবে ব্যাপ্ত অর্থে। সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহ মিশরের সঙ্কটময় সময়ে নতুন নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আপনাদের দায়িত্ব পালনে সফলতা দিতে। গাজা থেকে হামাসের এমপি ইয়াহিয়া মুসা বলেছেন, মিশরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হামাস কোন হস্তক্ষেপ করবে না। তাই তারা প্রেসিডেন্ট মুরসির কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয়া নিয়ে কোন মন্তব্য করবেন না। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান পূর্ণাঙ্গ আস্থা প্রকাশ করে বলেন, যে সঙ্কটের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে মিশর তা থেকে উত্তরণে সফল হবে মিশরবাসী। তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, মিশরে যা হচ্ছে তাহলো রাজনীতিতে ইসলাম ব্যবহারের ফল। বিশ্বে যে কেউ যদি রাজনৈতিক বা ব্যক্তিস্বার্থে ধর্মের ব্যবহার করে তার পরিণাম এমনই হয়।
এক নজরে আদলি মানসুর: মিশরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন সুপ্রিম কনস্টিটিউশনাল কোর্টের প্রধান বিচারপতি আদলি মাহমুদ মানসুর। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিসমাপ্তি ঘটলো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির ক্ষমতা। এখন তার নামের আগে যুক্ত হয়ে গেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট। তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। মিশরে এবার উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠার পরই আদলি মানসুরকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে সেনাবাহিনী। এতে সমর্থন দেন আল আজহার মসজিদের গ্রান্ড ইমাম ড. আহমেদ আর তায়েব, কপটিক পোপ দ্বিতীয় তাওয়াড্রোস, মোহাম্মদ আল বারাদি। এরপরই সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এরই মধ্যে আদলি মানসুরকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ পড়ানো হয়েছে। তিনি ১৯৬৭ সালে কায়রো ইউনিভার্সিটি ল’ স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। ১৯৬৯ সালে আইনে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেন। পড়াশোনা করেন অর্থনীতিতে। ১৯৭৭ সালে তিনি ফ্রান্সের ইকোলিন ন্যাশনালে ডি’এডমিনিস্ট্রেশন থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তিনি বিবাহিত। রয়েছে এক ছেলে ও দু’মেয়ে। আদলি মানসুরকে সুপ্রিম কনস্টিটিউশনাল কোর্টে নিয়োগ দেয়া হয় ১৯৯২ সালে। পরে তিনি এ মাসের ১লা জুলাই পর্যন্ত মিশরের সুপ্রিম কনস্টিটিউশনাল কোর্টের উপ-প্রধান বিচারপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মিশরে যখন রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে, সামরিক অভ্যুত্থান ঘটতে যাচ্ছে এমন এক সময় ৩রা জুলাই তার নাম অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয় প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে। আদলি মানসুরের নাম অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে টেলিভিশনে ঘোষণা দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আবদুল ফাতাহ খলিল আল সিসি। তবে সরকার প্রধান হিসেবে আরও দু’একজনের নাম লোকমুখে ফিরছিল। তাদের মধ্যে ছিলেন সুপ্রিম কনস্টিটিউশনাল  কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহের আল বেহেইরি। তবে সে জল্পনাকে অসত্য প্রমাণ করে শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হলেন আদলি মানসুর। ৪ঠা জুলাই স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় তাকে শপথ পড়ানো হয়।

No comments

Powered by Blogger.