মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ তুলে নিল পাকিস্তান-অ্যামনেস্টির সমালোচনা

মৃত্যুদণ্ডের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এখন থেকে সব মৃত্যুদণ্ডের রায় মামলার গুরুত্বের ভিত্তিতে কার্যকর করা হবে। তবে পিএমএল-এনের (পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ) নেতৃত্বাধীন সরকারের এ সিদ্ধান্তের
সমালোচনা করেছে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
২০০৮ সালে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকারের আমলে প্রেসিডেন্টের এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত করা হয়। ওই সময়ে শুধু সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান ছিল। এ ছাড়া অন্য রায়গুলো কার্যকরের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। এই বিধানের মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। গত ১১ মের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে পিএমএল-এন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উমর হামিদ বলেন, 'নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডের সব রায় মামলার গুরুত্ব অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে। সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি মামলা যেন গুরুত্বের ভিত্তিতে বিচার-বিবেচনা করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কেউই সাধারণ ক্ষমার আওতায় থাকবে না।'
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত বুধবার পাকিস্তান সরকারের প্রতি মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের আহবান জানিয়েছে। সংস্থাটির প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপপরিচালক ট্রাসকোট বলেন, 'পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ড চালু করার পদক্ষেপ অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও পশ্চাৎমুখী।'
অ্যামনেস্টির হিসাবে, পাকিস্তানে বর্তমানে আট হাজারের মতো আসামি মৃত্যুদণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। অনেকেরই উচ্চ আদালতে আপিল করারও সুযোগ নেই। তাদের মৃত্যুদণ্ড যেকোনো সময় কার্যকর হতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, প্রায় ৪৫০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের মামলাগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া নারী ও বয়স্কদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো হবে। সূত্র : এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.