পিয়ংইয়ংয়ের সংলাপের প্রস্তাবে সিউলের সম্মতি

পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনায় বসতে উত্তর কোরিয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার পিয়ংইয়ং (উত্তর কোরিয়ার রাজধানী) থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইতিবাচক সাড়া দেয় সিউল (দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী)।
আলোচনার সময়, স্থান ও আলোচ্য বিষয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে সিউলের ইউনিফিকেশন মন্ত্রণালয় (উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনবিষয়ক মন্ত্রণালয়)।
গত ফেব্রুয়ারিতে তৃতীয়বারের মতো পরমাণু পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে দক্ষিণ কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র সিউলের সঙ্গে সুর মেলানোয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় পিয়ংইয়ং। সিউল-ওয়াশিংটন যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিবাদ জানায় তারা। গত এপ্রিলে দুই কোরিয়ার যৌথ শিল্পাঞ্চল কিয়াসংয়ে দক্ষিণ কোরীয় শ্রমিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তারা। কিয়াসংয়ে কর্মরত ৫৩ হাজার উত্তর কোরীয় শ্রমিককে প্রত্যাহার করে নেয় তারা। কিয়াসংয়ের দক্ষিণ কোরীয় প্রায় সাড়ে ৮০০ শ্রমিকের সর্বশেষ দলটি গত মাসে উত্তর কোরিয়া ছেড়ে যায়। কিয়াসং আবারও চালু এবং সেখানে দক্ষিণ কোরীয় শ্রমিকদের কাজের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনার জন্য বেশ কয়েকবার পিয়ংইয়ংকে আহবান জানিয়েছে সিউল। তবে পিয়ংইয়ং প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
গতকাল সিউলকে অনেকটা চমকে দিয়েই আলোচনার প্রস্তাব দেয় উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনবিষয়ক কমিটি (কমিটি ফর পিসফুল রিইউনিফিকেশন অব কোরিয়া- সিপিআরকে) এ প্রস্তাব পাঠায়। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, কিয়াসং ও সীমান্ত পারাপারের সুযোগ আবারও চালুর ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে দুই দেশের মধ্যে। এতে উত্তর কোরিয়া সীমান্তে কুমগাং অবকাশকেন্দ্রে দুই কোরিয়ার নাগরিকরা তাদের প্রতিবেশী দেশের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুবিধা পেতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। পিয়ংইয়ং থেকে প্রস্তাব পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিউল আলোচনায় বসতে সম্মতি জানায়। প্রস্তাবটিকে 'ইতিবাচক' উল্লেখ করে সিউলের ইউনিফিকেশন মন্ত্রণালয়। সূত্র : এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.