দাম বাড়তে পারে

বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে ওই সব পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে। এর মধ্যে ২২টি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক আরোপ বা বাড়ানো হয়েছে। ছয়টি শিল্প পণ্যে সুনির্দিষ্ট আমদানি শুল্ক পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে ওইসব পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ভোজ্যতেল। অপরিশোধিত সয়াবিন, পাম ও সূর্যমুখী তেলের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ছাড়ের মেয়াদ ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চাল, ডাল, গম ও পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। সে সুবাদে এসব পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে। শুল্ক/কর বাড়ানোর ফলে যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে সেগুলো হল :
সিগারেট ও বিড়ি : প্রস্তাবিত বাজেটে সব স্তরের সিগারেটের ভিত্তিমূল্য বাড়ানো হয়েছে। প্রিমিয়াম থেকে শুরু করে একেবারে নিম্নস্তর পর্যন্ত সিগারেটের ভিত্তিমূল্য যথাক্রমে ২১.২১, ১৯.৩২, ১৩.১৩ ও ১৫.৭০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে সিগারেটের দাম বাড়বে। এ ছাড়া ফিল্টারবিহীন বিড়ির করসহ দাম (২৫ শলাকার প্যাকেট) চার টাকা ৩৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ টাকা ৮০ পয়সা ও ফিল্টারযুক্ত বিড়ির দাম (২০ শলাকার প্যাকেট) চার টাকা ৯৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ছয় টাকা ৩০ পয়সা করা হয়েছে।
বিদেশি চিপস্ : দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে বাজেটে বিদেশি চিপস্রে ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। বিদেশি আলুজাত চিপস্রে ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করায় এসবের দাম বাড়তে পারে।
শিল্পে ব্যবহৃত গুঁড়ো দুধ : দেশে দুধ উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে বাল্কে গুঁড়ো দুধ আমদানির ওপর আমদানি শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। তবে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক পাঁচ শতাংশই থাকছে। খুচরা পর্যায়ে যারা প্যাকেটজাত গুঁড়ো দুধ বিক্রি করেন তাদের প্রায় সবই ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। ফলে খুচরা পর্যায়ে গুঁড়ো দুধের দাম বাড়ার কারণ নেই। তবে বেকারিসহ বিভিন্ন খাদ্য শিল্পে ব্যবহারের জন্য যারা ২৫ কেজির ব্যাগে গুঁড়ো দুধ আমদানি করেন তাদের খরচ বাড়বে বলে জানিয়েছে গুঁড়ো দুধ বিক্রির প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিদেশি ফুল : গোলাপ, অর্কিড, লিলিসহ বিভিন্ন ধরনের বিদেশি ফুলের আমদানি শুল্ক ১২ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে আমদানি করা এসব ফুলের দাম বাড়তে পারে।
বিদেশি জাহাজ : কম ক্ষমতার জাহাজ দেশে তৈরি হয় বলে এগুলো আমদানি শুল্ক ছাড় সুবিধা তুলে নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এখন থেকে পাঁচ হাজার বা তার চেয়ে বেশি ডিডাব্লিউটি ক্ষমতার জাহাজ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকবে। তবে এর কম ক্ষমতার জাহাজ আমদানিতে শুল্ক দিতে হবে। এতে কম ক্ষমতার বিদেশি জাহাজের দাম বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে দেশীয় উৎপাদনকারীরা সুফল পাবেন।
অন্যান্য : প্রস্তাবিত বাজেটে মাছ, স্ট্রবেরি, বিভিন্ন ধরনের বিদেশি ফল, মশার কয়েলের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

No comments

Powered by Blogger.