চোখের জল থেকে উৎপাদিত আলো by মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম,

বাংলাদেশে জ্বালানি সমস্যা সমাধানের নিমিত্ত একাধিক বিকল্প নিয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিরা লেখালিখি ও বলাবলি করছেন। বাংলাদেশের একাধিক কয়লাখনি আছে; এই কয়লাগুলো ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব- এটি একটি বিকল্প।


বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করে ওই কয়লা ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব- এটি আরেকটি বিকল্প। মূল প্রস্তাব হচ্ছে, কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা; উপ-প্রস্তাব হচ্ছে, নিজেদের খনির কয়লা দিয়ে, নাকি আমদানি করা কয়লা দিয়ে? যেই উপ-প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হোক না কেন, তার সঙ্গে সম্পর্কিত হবে বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ভৌগোলিক অবস্থান। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলাটি বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত। সাম্প্রতিককালে একটি প্রস্তাব পত্র-পত্রিকায় আলোচিত হয়েছে বা হচ্ছে যে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে পাঁচ-সাত কিলোমিটারের মধ্যেই কয়লাভিত্তিক একটি বিশাল ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। মিডিয়ায় এর বিপক্ষে প্রচুর লেখালেখি ও বলাবলি হচ্ছে (আমি বিস্তারিত বললাম না)। কারণ, ওই স্থানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীরও একটি ঘাঁটি বটে (নাম বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক- সংক্ষেপে বিএএফ বেইজ জহুর)। এই অনুচ্ছেদের বক্তব্য দিয়ে আমি বোঝাতে চাচ্ছি, দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য কোনো না কোনো বিকল্প ব্যবস্থা প্রয়োজন এবং প্রতিটি বিকল্প ব্যবস্থায় সুবিধা-অসুবিধা থাকবেই থাকবে। কিন্তু এখন যেমন সুবিধা-অসুবিধাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা সম্ভব বা বাস্তবেই পর্যালোচনা করা হয়, পঞ্চাশ-ষাট বা সত্তর বছর আগে কি এ রকম নিবিড় পর্যালোচনার পরিবেশ ছিল? উত্তর হলো, 'না'।
অতএব, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত কাপ্তাই নামক নিভৃত গ্রামটিতে যখন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের নিমিত্তে প্রথম দিনের প্রথম কাজ শুরু হয়েছিল, তখন ওই আমলের দেশবাসী বা ওই আমলের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী এর সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে সচেতন ছিল না বা সচেতন হওয়ার সুযোগ পায়নি। পাঁচ-ছয় বছর লেগেছিল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে। সংগত ও স্বাভাবিক কারণেই চট্টগ্রাম শহর থেকে কাপ্তাই যাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল কর্ণফুলী নদী তথা জলপথ। অতএব, বিকল্প যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলা অপরিহার্য ছিল। তাই ১৯৫৩ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত সাত বছর লাগিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত সড়ক বা মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়। সড়কটি ২৭ মাইল দীর্ঘ। এটি আমাদের গ্রামের বুকের ওপর দিয়ে যায় এবং আমাদের গ্রামের পাশেই হালদা নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজ পার হয়ে সড়কটি পূর্ব দিকে কাপ্তাইয়ের দিকে যায়। আমাদের গ্রামে, সেই পঞ্চাশের দশকে সড়ক নির্মাণের জন্য অনেক পরিবারের কৃষিজমি অ্যাকোয়ার বা অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। আমাদের পরিবারও একইভাবে কৃষিজমি হারিয়েছিল। কিন্তু ভালো হোক মন্দ হোক বা কম হোক বেশি হোক, এক দশকের বেশি সময় লাগিয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছিল। আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেলেও আমাদের পরিবার এবং আরো অনেক পরিবার ওই প্রাপ্ত অর্থের কোনো লাভজনক ব্যবহার করতে পারেনি। কারণ, পঞ্চাশের দশকের শেষ অংশে আমাদের অঞ্চলে এ রকম লেখাপড়া ও সচেতনতা ছিল না যে আমাদের পূর্বপুরুষরা কোনো বিনিয়োগের রাস্তা আবিষ্কার করতে পারত। তার মানে হলো, আমি সড়কটির সঙ্গে নিবিড়ভাবে পরিচিত।
বর্তমান চট্টগ্রাম মহানগরের উত্তর সীমানা বা সিটিগেট থেকে তিন মাইল উত্তরে অবস্থিত ফৌজদারহাট। সমুদ্রের পানি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। ১৯৬৩ সালে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় কোনো এক ছুটিতে আমি প্রথমবার বেড়াতে গিয়েছিলাম কাপ্তাই। উদ্দেশ্য ছিল, আমাদেরই গ্রামের বাড়ি থেকে মাত্র ২৩-২৪ মাইল দূরে অবস্থিত জগদ্বিখ্যাত (তৎকালীন) কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্র দেখা। আমাদের কয়েকজন মামাতো-ফুফাতো ভাইবোনকে নিয়ে গিয়েছিলেন আমাদের প্রিয় ফুফা মাওলানা ফয়েজ আহমেদ। তিনি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। দ্বিতীয়বার কাপ্তাই যাই ১৯৭৮ সালের জানুয়ারি মাসে। তখন আমি মেজর ইবরাহিম এবং সপ্তম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিবাহিনী কর্তৃক সৃষ্ট রাষ্ট্রবিরোধী বিদ্রোহ দমনের কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশ হিসেবে সাময়িকভাবে নিয়োজিত হয়েছিলাম তৎকালীন ফারুয়া-রাজস্থলী থানা এলাকায়। সপ্তম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সদর দপ্তর ছিল কাপ্তাই শহরে। পার্বত্য চট্টগ্রামে দ্বিতীয়বার দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলাম ১৯৮৭ সালের জানুয়ারিতে, ২৫ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক হিসেবে। এবার সপ্তম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের অপারেশনাল সদর দপ্তর ছিল কাপ্তাই থেকে পাঁচ-সাত কিলোমিটার দূরে বিলাইছড়ি উপজেলা হেডকোয়ার্টারে; কিন্তু মূল সদর দপ্তর ছিল কাপ্তাইয়ে। দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ছিল বিলাইছড়ি থানা এলাকা ও কাপ্তাই থানার দক্ষিণ অংশ। ১৯৮৭ সালের জুলাই মাসে প্রমোশন পেয়ে, ব্রিগেড কমান্ডার হয়ে রাঙামাটি শহরে দায়িত্ব পালন শুরু করেছিলাম। এই দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ছিল রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বেশির ভাগ থানা যথা- মারিশ্বা বা বাঘাইছড়ি, মহালছড়ি, কাউখালী, লংঘদু, নানিয়ারচর, রাঙামাটি সদর, বরকল প্রভৃতি। এই অনুচ্ছেদের বর্ণনার উপসংহার হলো- কাপ্তাইয়ের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক। আমার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মধ্যে চলাচলের অন্যতম বা তুলনায় বেশি ব্যবহৃত মাধ্যম ছিল পানির পথ। কাপ্তাই শহর থেকে উত্তর দিকে আংশিকভাবে উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং আংশিকভাবে উত্তর-পূর্ব দিকে বিস্তৃত জলাধারকে একাধিক নামে ডাকা হয় যথা- কাপ্তাই লেক বা কর্ণফুলী লেক বা রাঙামাটি লেক। ইংরেজি শব্দ 'লেক'-এর বাংলা অনুবাদ 'হ্রদ' হলেও বাংলা শব্দটি ওই এলাকায় ব্যবহৃত নয়।
কাপ্তাইয়ে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের কারণেই এই কাপ্তাই লেকের সৃষ্টি। ১৯৫২-৫৩ সালের দিকের কথা। কাপ্তাই নামক নিভৃত গ্রাম থেকে পাঁচ-সাত মাইল উজানে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার সদর দপ্তর এবং চাকমা সার্কেলের প্রধানের (সাধারণভাবে চাকমা রাজা নামে পরিচিত) সদর দপ্তর। সদর দপ্তর বলতে ঐতিহাসিক রাজবাড়ি। ১৯৫৩ সালে নির্মাণ শুরু হয়ে ১৯৫৮ সালের দিকে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে চলে আসে। যখনই কর্ণফুলী নদীর পানিকে ভাটির দিকে যাওয়ার স্বাভাবিক পথ বন্ধ করে দেওয়া হলো, তখনই পানি জমতে শুরু করল এবং কাপ্তাই থেকে পেছনের দিকে বা উজানের দিকে প্রায় ১০ মাইল পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে যত সমতল ভূমি ছিল, তা প্লাবিত হয়ে গেল। রাঙামাটি শহর পার হয়ে একটু উত্তরে গেলেই বাঁয়ে চলে যায় চেঙ্গি নদী, কর্ণফুলীর একটি শাখা বা উপনদী। চেঙ্গির দুই তীর প্লাবিত হয়ে গেল প্রায় ছয়-সাত মাইল পর্যন্ত উজানে। রাঙামাটি শহর থেকে তিন-চার মাইল উত্তরে গেলেই শুভলং নামক স্থানে একটি গিরিপথ আছে, যার মধ্য দিয়ে কর্ণফুলী নদী উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে আসে। শুভলং পার হলেই সোজা উত্তর দিকে চলে যায় মাইনী নদী, কর্ণফুলীর আরো একটি শাখা বা উপনদী। এই স্থান থেকে উত্তর দিকে প্রায় ২৫ মাইল মাইনী নদীর উভয় তীরে বিস্তৃত সমতল ভূমি প্লাবিত হয়ে যায়। ক্রমে পানির উচ্চতা বাড়ে এবং সৃষ্টি হয় কাপ্তাই লেকের। কাপ্তাই লেকের আয়তন কম-বেশি ৩৪০ বর্গমাইল।
সেই পঞ্চাশের দশকে কাপ্তাই লেক সৃষ্টির কারণে হাজার হাজার উপজাতীয় পরিবার উদ্বাস্তু হয়। কারণ, তাদের বসতি ছিল কর্ণফুলী, মাইনী, চেঙ্গি নদীগুলোর তীরে। ছিমছাম ও পরিপাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ঐতিহাসিক রাঙামাটি শহর পানিতে ডুবে যায়। ওই লেকের পানিতে নিশ্চিতভাবেই হাজার হাজার মানুষের চোখের পানিও মিশে ছিল। কে চায় তার বসতবাড়ি ডুবে যাক? এবং কেনই বা ডুবে গেল এর একটি গ্রহণযোগ্য হৃদয়গ্রাহী ব্যাখ্যা নিয়ে কোনো দিন কেউ জনগণের কাছে উপস্থিত হয়নি। ওই আমলে সরকার ডুবে যাওয়া বসতবাড়ি ও কৃষিজমিগুলোর জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট ছিল কি না বা ক্ষতিপূরণ সঠিকভাবে বিতরণ হয়েছে কি না, এ প্রশ্নগুলোর উত্তর সহজলভ্য নয়। সবচেয়ে বড় কথা, বস্তুর ক্ষতিপূরণ অর্থ দিয়ে হয়; কিন্তু হৃদয়ের ব্যথার ক্ষতিপূরণ অর্থ দিয়ে হয় না- এই কথাটি সেই পঞ্চাশের দশকের রাষ্ট্র বা প্রশাসন বা সমাজের কর্তাব্যক্তিরা যে উপলব্ধি করেননি, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। হৃদয়ের ব্যথার ক্ষতিপূরণ স্নেহ, মায়া-মমতা, সম্মান ও আস্থা সৃষ্টির মাধ্যমেই সম্ভব। যা-ই হোক, পাঠককুলকে নিয়ে আমি সেই ষাটের দশকের গোড়ায় ফেরত যাই।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সুউচ্চ টাওয়ারের মাধ্যমে, প্রথম ধাপে আমাদের গ্রামে আমাদের নিজস্ব বসতবাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত মদুনাঘাট গ্রিড সাব-স্টেশনে সাময়িকভাবে অবস্থান নেয়। অতঃপর আবার এই বিদ্যুৎ যাত্রা শুরু করে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। কাপ্তাইয়ে উৎপাদিত বিদ্যুতের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের গ্রামগুলো বা নিদেনপক্ষে কাপ্তাইয়ের চারপাশে পাঁচ-সাত মাইলের মধ্যের গ্রামগুলো ১৫-২০ বছরেও আলোকিত হয়নি। আমাদের বসতবাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত গ্রিড সাব-স্টেশন এবং হাইটেনশন পাওয়ার লাইন আমাদেরই বসতবাড়ির ছাদের ওপর দিয়ে চলে গেলেও কাপ্তাইয়ের বিদ্যুৎ থেকে আমাদের গ্রাম বিদ্যুৎ পেয়েছে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝিতে। এ ঘটনা দুটিকে ইংরেজিতে বলা যেতে পারে আইরনি অব ফেইট তথা ভাগ্যের পরিহাস বা পরিস্থিতির পরিহাস।
ডুবে যাওয়া রাঙামাটি শহর আবার গঠিত হয়েছে লেকের পারে, পাহাড়ের টিলায় টিলায়। প্রায় সর্বাংশেই সরকারি খরচে। ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পত্তিতে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে দালানকোঠা ইত্যাদি ব্যক্তি উদ্যোগে। আজকে যারা রাঙামাটি শহরে বেড়াতে যান বাংলাদেশ বা বিদেশ থেকে, তারা কি পঞ্চাশের দশকের বসতবাড়ি-হারানো মানুষগুলোর কান্না শুনতে পান? উত্তর হলো, না। শুধু কাপ্তাই বা পার্বত্য চট্টগ্রাম বা বাংলাদেশে নয়, এ ধরনের পরিস্থিতির বাস্তবতা বিশ্বব্যাপী। এটা হলো উন্নয়ন-প্রক্রিয়ার অপরিহার্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এরূপ উন্নয়ন-প্রক্রিয়াগুলোর পরিকল্পনাকারীরা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কতটুকু সচেতন, সেটি একটি আলোচনাযোগ্য প্রশ্ন। অতীতে সচেতনতা কম ছিল, বর্তমানে সচেতনতা প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে- এটা সত্য। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সত্য হলো, অতীতের ভালো কাজের বাহবা নেওয়ার জন্য কর্ম-পরবর্তী প্রজন্ম যতটুকু উদগ্রীব, তারা অতীতের ভুলের দায়দায়িত্ব নিতে তার থেকেও বেশ অনিচ্ছুক। বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রেই এই বাক্যটি গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি
www.kallyan-ibrahim.com

No comments

Powered by Blogger.