সম্পত্তি অবমুক্তির জন্য ৪৭ জেলা কমিটি চূড়ান্ত

অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তির জন্য ৪৭টি জেলা কমিটি চূড়ান্ত করেছে সরকার। বাছাই চূড়ান্ত করতে না পারায় ঢাকাসহ আরো ১৪ জেলায় কমিটি এখনো গঠন করা সম্ভব হয়নি। তিন পার্বত্য জেলা এ আইনের বাইরে রয়েছে। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনে প্রতি জেলায় সাত সদস্যের কমিটির বিধান রাখা হয়েছে।


অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটিতে দুজন সাধারণ সদস্য রাখার বিধান রয়েছে। তাঁদের বাছাই করার দায়িত্ব ভূমিমন্ত্রীর ওপর। এ দুজনের একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের অর্পিত সম্পত্তি-সংক্রান্ত স্টেকহোল্ডারদের মধ্য থেকে বাছাই করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মনোনয়ন দিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় তিনটি আলাদা অফিস আদেশ জারি করেছে।
সাত সদস্যের কমিটিতে অন্যরা হচ্ছেন : জেলা রেজিস্ট্রার, জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত অর্পিত সম্পত্তি-সংক্রান্ত মামলা পরিচালনাকারী একজন আইনজীবী ও রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি)। এ ছাড়া জেলার সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে ভূমিমন্ত্রী একজনকে কমিটির উপদেষ্টা নিয়োগ করবেন।
বিভিন্ন জেলায় মনোনীতদের নাম শরীয়তপুর জেলায় স্টেকহোল্ডারদের মধ্য থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলার নড়িয়া পৌরসভার শুভগ্রামের সুধীর কুমার সেনকে। অন্য সদস্য হলেন জাজিরা থানার হরিয়াসা গ্রামের মাস্টার মজিবুর রহমান। মাদারীপুর জেলায় মনোনয়ন পেয়েছেন রাজৈরের অ্যাডভোকেট চিত্তরঞ্জন মণ্ডল এবং কালকিনি উপজেলার সাহেব রামপুর গ্রামের মো. মিয়াজউদ্দিন খান। কক্সবাজারে বৌদ্ধ মন্দির সড়কের রণজিত দাশ ও চৌফলদণ্ডীর মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। ভোলা জেলার ওয়েস্টার্ন পাড়ার প্রফেসর দুলাল চন্দ্র ঘোষ ও বিএভিএস রোডের আবদুল মমিন টুলু। বরগুনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট কমলকান্তি দাস ও হাই স্কুল সড়কের মো. জাহাঙ্গীর কবীর। ঠাকুরগাঁও জেলায় মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট বলরাম গুহঠাকুরতা ও মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী। রংপুরে জেলা জজকোর্টের অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ও কোতোয়ালি থানার রেজিনা বেগম। কুড়িগ্রামে অ্যাডভোকেট কমল ব্যানার্জি ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ম সা আ আমিন। পঞ্চগড়ে রওশানাবাগের শিবেন্দ্রনাথ রায় ও কায়েতপাড়ার অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক। চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুরাতন বাজারের বাবুল কুমার ঘোষ ও শান্তিবাগের মইনুদ্দীন মণ্ডল। জয়পুরহাটে বারিধারা মাস্টারপাড়ার অ্যাডভোকেট গকুল চন্দ্র মণ্ডল ও আরাফাতনগরের এস এম সোলায়মান আলী। মেহেরপুরে সদর উপজেলার শ্যামসুন্দর আগরওয়ালা ও সার্কিট হাউস রোডের অ্যাডভোকেট মো. মিয়াজান আলী।
বগুড়া জেলায় অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি-সংক্রান্ত জেলা কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছেন সদর উপজেলার নারায়ণ চন্দ্র তালুকদার ও ডা. মো. মকবুল হোসেন। গাইবান্ধা জেলায় সাঘাটা উপজেলার ডা. দ্বিজেন্দ্রনাথ পাল ও সাদুল্যাপুর রোডের সৈয়দ শামস-উল আলম হীরু। বরিশালে কলেজ রোডের অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বটব্যাল ও ১১৩ সদর রোডের ডা. মোখলেছুর রহমান। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার চন্দ্র শেখর হালদার ও ২৫ ডাক্তার পট্টি রোডের সরদার মো. শাহ আলম। খুলনায় বার সদস্য অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী ও বটিয়াঘাটা উপজেলার শেখ হারুনুর রশিদ। বাগেরহাটে আমলাপাড়ার সমরেন্দ্র মজুমদার ও সদর উপজেলার শেখ কামরুজ্জামান টুকু।
নীলফামারী জেলায় কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছেন সদর উপজেলার সান্তনা চক্রবর্তী ও বাবুপাড়ার অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক। নওগাঁ জেলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল ও সদর উপজেলার এ কে এম ফজলে রাব্বী। রাজশাহী জেলায় অ্যাডভোকেট অনিল চন্দ্র কুমার সরকার ও বোয়ালিয়া থানার সাহবুব জামান ভুলু। পাবনায় জেলা জজকোর্টের অ্যাডভোকেট অহিন্দ্র কুমার দাস ও ট্যাংকপাড়ার এম সাইদুল হক চুন্নু। কুষ্টিয়ায় জজকোর্টের অনুপ কান্তি নন্দী ও কুমারখালী উপজেলার জাহিদ হোসেন জাফর। ঝিনাইদহের শেরে বাংলা সড়কের কৃষ্ণ পদ দত্ত ও পাগলা কানাই সড়কের অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার। মাগুরার বাসুদেব কুণ্ডু ও সদর উপজেলার সৈয়দ শরিফুল ইসলাম। নড়াইলে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সদর উপজেলার মো. হাসানুজ্জামান। পটুয়াখালীর জজকোর্টের অ্যাডভোকেট জহর লাল চক্রবর্তী ও নতুনবাজারের খান মোশারফ হোসেন। পিরোজপুর জেলায় জেলা বারের অ্যাডভোকেট গবিন্দ কুমার রায় চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট মো. আকরম হোসেন। টাঙ্গাইলে পাঁচ আনী বাজারের জয়কালী কমপ্লেক্সের স্বপন ঘোষ ও থানাপাড়া প্রিন্স রোডের ফজলুর রহমান খান ফারুক। জামালপুরের আমলাপাড়ার প্রফেসর প্রদীপ কান্তি মজুমদার ও মধুপুর রোডের কৃষিবিদ মোখলেসুর রহমান। শেরপুর জেলায় বার সদস্য অ্যাডভোকেট নিতাই চন্দ্র হোড় ও শ্রীবর্দী উপজেলার মো. আবদুল হালিম। ময়মনসিংহ জেলায় অ্যাডভোকেট মনোজ চন্দ্র ভাদুড়ী ও ৩৮ বাগমারা রোডের অ্যাডভোকেট জহিরুল হক। নেত্রকোনার মালানি রোডের সীতাংশু বিকাশ আচার্য ও নেত্রকোনা পৌরসভার মো. মতিউর রহমান। কিশোরগঞ্জ জেলার অ্যাডভোকেট জ্যোতিলাল রায় ও নগুয়া প্রথম মোড়ের (বিন্নগাঁও) অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান। মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার নীল কমল মজুমদার ও ৪ নম্বর গার্লস স্কুল রোডের অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন। মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর কোর্ট ভবন রোডের অ্যাডভোকেট সলিল চন্দ্র সরকার ও মধ্য কোটগাঁওয়ের মো. মহিউদ্দিন।
নরসিংদীর ৬৭/১ মধ্যকান্দাপাড়ার অহিভূষণ চক্রবর্তী ও ১৪০ পশ্চিম কান্দাপাড়ার মো. আসাদুজ্জামান। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার অ্যাডভোকেট সুখচান্দ সরকার ও ৮/সি মার্ক টাওয়ার চাষাঢ়ার মো. আবদুল হাই। রাজবাড়ী জেলায় জেলা বার সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গণেশ নারায়ণ চৌধুরী ও ভবানীপুরের আকবর আলী মর্জি। সুনামগঞ্জের জেলা বারের সদস্য অ্যাডভোকেট দীলিপ কুমার দাস ও ১৩ হাছননগরের ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন। সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিপ্লব কান্তি দে (মধাব) ও ৮৭ সাগরদীঘির পাড়ের আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কলেজ রোডের ভুবনেশ্বর পুরকায়স্থ ও সদর থানার আজিজুর রহমান। হবিগঞ্জে অ্যাডভোকেট অহিন্দ্র দত্ত চৌধুরী ও পুরান মুন্সেফ কোয়ার্টারের ডা. মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অ্যাডভোকেট সঞ্জীব ভট্টাচার্য ও ৭৫৫ গোকর্ণ রোড কাজীপাড়ার অ্যাডভোকেট সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল বারী। চাঁদপুরে শহীদ মুক্তযোদ্ধা সড়কের অ্যাডভোকেট বিনয় ভূষণ মজুমদার ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার লে. কর্নেল (অব.) মো. আবু ওসমান চৌধুরী। চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট হরিপদ চক্রবর্তী ও হাটহাজারী উপজেলার মোহাম্মদ আবদুস সালাম। নোয়াখালী জেলায় তপন মজুমদার ও বেগমগঞ্জের ডা. এ বি এম জাফর উল্লাহ।

No comments

Powered by Blogger.