পটিয়ার উন্নয়নে চাই ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী উপজেলা পটিয়া। পেয়ারা চাষের জন্য বিখ্যাত এই অঞ্চলটির অবস্থান কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে। পটিয়ার ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম-টেকনাফ-মিয়ানমার সড়ক যা এশিয়ান হাইওয়ে হিসেবে খ্যাত। অচিরেই এই অঞ্চল দিয়ে নির্মিত হবে এশিয়ান রেলওয়ে এবং ডিপ সী পোর্ট।
এ ভূমিতে যুগে যুগে জন্ম নিয়েছে অনেক মনীষী। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন হলেন মুন্সী আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ, শরৎচন্দ্র দাশ, ড. নুরুল ইসলাম, সতীশ চন্দ্র খাস্তগীর, ড. আব্দুল গফুর ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে প্রধান নারী শহীদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।
পটিয়া উপজেলায় ছোট বড় প্রায় ৭১১২টি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। নির্মিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম কোরিয়ান ইপিজেড। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিক প্রযুক্তিবিদের অভাবে হুমকির সম্মুখীন। অর্ধেকেরও বেশি শিল্প রুগ্ন হয়ে মৃত্যুবরণ করে। পণ্যভিত্তিক ডিপ্লোমা প্রযুক্তিবিদের অভাবে কোরিয়ান ইপিজেড এ বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসছে না। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন তথা শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে একটি ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড নির্মাণ করা হলে সমাজসেবক রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি ও সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নিজ উদ্যোগে তাঁত, লেদার, টেক্সটাইল, মোবাইল, চশমা, জেনারেটর, এয়ারকন্ডিশন, সিরামিকস, গ্লাস, মেডিক্যাল ও ডেন্টাল ইনস্ট্রুমেন্ট, অটোমোবাইল, মেরিন, কেমিক্যাল, ফিশারিজ, গার্মেন্টস ডিজাইন এ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং ফুড এ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবট তৈরি, অস্ত্র তৈরি প্রভৃতি বিষয়ের ওপর ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট নির্মাণ করতে পারবেন।
এসএসসি পাস তরুণরা এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা শিক্ষা গ্রহণ করে মৃতপ্রায় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচল রাখতে পারবে। এতে দেশের বেকার সমস্যা দূর হবে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এজন্য চট্টগ্রামে একটি সম্মিলিত ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

মিথুন দাশ (মুন্না)
সুচক্রীদন্ডী, পটিয়া,পটিয়া, চট্টগ্রাম

No comments

Powered by Blogger.