অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কা ৮০টি পরিবারের

ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের চণ্ডীপুরে অবস্থিত ৫০ কেভি বিদ্যুৎকেন্দ্রে রেলওয়ে ওয়াগনের তেলের নিরাপত্তার জন্য দেয়াল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। যাতায়াতের জন্য দেয়ালের ১০ ফুট অংশের নির্মাণকাজ এলাকাবাসী এখনো ঠেকিয়ে রেখেছে।


ওই অংশে দেয়াল তুলে দিলে চণ্ডীপুর গ্রামের ৮০টি পরিবারের চার শতাধিক লোক অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু হলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এলাকাবাসী ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে এর বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে নির্মীয়মাণ পাকা দেয়ালে কমপক্ষে দুটি গেট রাখার দাবি জানায় তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের উত্তর পাশ ঘেঁষে ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যের দেয়ালের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের পথে। তবে এর মাঝামাঝি অংশে এলাকাবাসী যাতায়াতের জন্য ১০ ফুটের মতো অংশের কাজ ঠেকিয়ে রেখেছে। এলাকাবাসী ওই ১০ ফুট জায়গায় গেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দাদের পূর্ব ও দক্ষিণ পাশ দিয়ে বের হওয়ার কোনো পথ নেই। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের কারণে পশ্চিম দিক দিয়ে বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এখন উত্তর দিকে কোনো পকেট গেট না রেখে রেললাইনের পাশ দিয়ে দেয়াল নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসী পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে।
স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ কুমার হালদার বলেন, তাঁরা এই রেলরাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে থাকেন। এই পথটুকু বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়বেন। সন্তোষ হালদার বলেন, স্থানীয় চণ্ডীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিবরামপুর আরডি একাডেমী, ঈশান গোপালপুর ইনস্টিটিউটে তাঁদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। ফরিদপুর শহরে যাওয়ার জন্য এটাই একমাত্র পথ।
দেয়াল নির্মাণের কাজটি করছেন ঠিকাদার আফসারউদ্দীন। কাজ দেখাশোনা করছেন তাঁর ভাতিজা রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এই ১০ ফুট অংশে দেয়াল নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসী অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো গেট করতে রাজি নয়। গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে কাজ করতে পারছি না।’
রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. রিয়াদ আহমেদ বলেন, দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে নিরাপত্তার জন্য। ওই দেয়ালের মাঝে একটি পকেট গেট থাকলে দেয়াল নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। ফরিদপুর জেলা প্রশাসক হেলালউদ্দিন আহমদ বলেন, এলাকাবাসী ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.