রংপুর বিভাগে ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড নেই

অনেক জেল-জুলুম নির্যাতনের ফসল রংপুর বিভাগ। রংপুরবাসীর প্রত্যাশা ছিল নবগঠিত বিভাগ ছোঁয়ায় রংপুরবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। রংপুর বিভাগে শিল্প-কারখানা, হাসপাতাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা হবে। বেকার সমস্যা চিরতরে দূর হবে। বাস্তবে দেখা গেল অন্যরকম চিত্র।
এই বিভাগ থেকে প্রতিবছর ৪০/৫০ হাজার ছাত্র এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ডিপ্লোমা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবে হতভাগ্য এসএসসি পাস শিক্ষার্থীরা সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারে না। ডিপ্লোমা শিক্ষার অভাবে বেকার জীবন কাটায়।
রংপুর বিভাগে একটি স্বতন্ত্র ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হলে বিদ্যোৎসাহী, সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ, উচ্চপদস্থ সরকারী আমলারা নিজ উদ্যোগে কৃষি, পলিটেকনিক, ভেটেরিনারি, জার্নালিস্ট, লাইব্রেরি বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট নির্মাণ করার সুযোগ পাবেন। এসএসসি পাস তরুণরা নিজ বাড়িতে বসে ডিপ্লোমা শিক্ষা অর্জন করে নিজ গ্রামে শিল্প, খামার, হাসপাতাল, ক্লিনিক গড়ে তুলতে পারবে। ডিপ্লোমাধারীদের মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে নবগঠিত বিভাগের সুফল রংপুরবাসী ভোগ করবে। রংপুর থেকে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মোজাফফর হোসেন
পীরগঞ্জ, রংপুর


বসয়সীমা ৩৫ বছর করা হোক

আমরা যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছি, তাদের সেশনজটের কারণে অর্নাসসহ মাস্টার্স শেষ করতে ২৮-২৯ বছর লেগে যায়। একবার কিংবা ২ বার বিসিএস পরীক্ষা বা অন্যান্য পরীক্ষা দিতেই চাকরির বয়স শেষ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে নিয়োগ স্থগিত থাকার কারণে চাকরির বয়স শেষ হয়ে যায়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো যেমন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় চাকরির বয়স ৩৫ বছর। এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর। সেজন্য আমাদের দেশের চাকরির বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি। যেহেতু সরকার সরকারী চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা ২ বছর বাড়িয়েছে, সেহেতু চাকরিতে নিয়োগের বয়সসীমাও ৫ বছর বাড়ানো হোক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার কাছে এটাই আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা।

মাহবুুবুল আহসান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়


লোকশিল্পের বেহালদশা ...

আগে গ্রামগঞ্জে মেলা বসত। নদীর তীরের গ্রামগুলোতে বেশি। মেলায় বাসন কোসন, তৈজসপত্র ইত্যাদি পাওয়া যেত। আরও পাওয়া যেত খেলনা, মাটির হাঁড়ি, নাগরদোলা, মুড়ি-মুড়কি ইত্যাদি বাড়িতে বানানো হতো নকশিকাঁথা। তাছাড়াও হাতির হাড় কিংবা দাঁত দিয়ে বোনা পাটি।
গোয়াল ভরা থাকত গরু এবং গোলা ভরা ধান। চাঁদনী রাতে বাড়িতে বাড়িতে বসত কবিগানের পালা। দুপুরের কড়া রোদে গাছের ছায়ায় বসে রাখাল বাজত বাঁশি। কই গেল এসব দৃশ্য? ভাবতে অবাক লাগে। আমরা বাঙালী জাতি এখন শুধু নামে, কারণ উল্লেখ্য, একটি সংস্কৃতিও আমাদের মাঝে আর বিরাজমান নেই। আমি চাই সরকারী পক্ষ থেকে এসব ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

দেওয়ান ফাহিম ফয়সাল
কচুয়া, সখীপুর, টাঙ্গাইল

No comments

Powered by Blogger.