বুড়োদের ইউরো

এবারের ইউরোয় অংশ নিয়ে একটা রেকর্ডই গড়েছেন আয়ারল্যান্ডের ইতালিয়ান কোচ জিওভান্নি ত্রাপাত্তোনি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সবচেয়ে বয়সী কোচ তিনি। এখানে টুর্নামেন্টে অন্যান্য বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্পর্কেও জেনে নিন


চ্যাম্পিয়ন
আরনল্ড মুরেন, হল্যান্ড
৩৭ বছর ২৩ দিন
মার্কো ফন বাস্তেনের দর্শনীয় ভলির জন্য চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে ইউরো ১৯৮৮ ফাইনাল। তবে বাস্তেন ভলিটি করেছিলেন সতীর্থ আরনল্ড মুরেনের বাড়িয়ে দেওয়া বলেই। ডাচদের সেই ফাইনাল জয়ে এএফসি আয়াক্স, এফসি টুয়েন্টে, ইপসউইচ টাউন ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা মিডফিল্ডার মুরেন গড়েন এক রেকর্ড। হয়ে যান সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ইউরোজয়ী ফুটবলার।

খেলোয়াড়
লোথার ম্যাথাউস, জার্মানি
৩৯ বছর ৯১ দিন
২০০০ ইউরোয় যখন পর্তুগালের বিপক্ষে খেলতে নামেন, তখনই লোথার ম্যাথাউস হয়ে যান ইউরোয় খেলা বয়োজ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়। সেটি ছিল জার্মানির পক্ষে তাঁর ১৫০তম ম্যাচও। বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখ, বায়ার্ন মিউনিখ ও ইন্টার মিলানের এই সাবেক খেলোয়াড় ছাড়িয়ে যান ডেনমার্কের মরটেন ওলসেনকে। ৩৮ বছর ৩০৮ দিন বয়সে ওলসেন তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ইউরো ম্যাচ খেলেছিলেন ১৯৮৮ সালে, ইতালির বিপক্ষে।

ফাইনালিস্ট
জেন্স লেম্যান, জার্মানি
৩৮ বছর ২৩২ দিন
২০০৮-এ স্পেনের বিপক্ষে জার্মানি জিতলেই একটা নতুন রেকর্ড হয়ে যেত, সবচেয়ে বেশি বয়সে ইউরো জেতার রেকর্ড করতেন জার্মান গোলরক্ষক জেন্স লেম্যান। ফার্নান্দো তোরেসের গোলে স্পেন জার্মানির শিরোপা স্বপ্ন ভেঙে দেওয়ায় সেটা অবশ্য হয়নি। তবে সবচেয়ে বেশি বয়সে ফাইনাল খেলার রেকর্ড ঠিকই নিজের করে নিয়েছেন এফসি শালকে, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও আর্সেনালের এই সাবেক খেলোয়াড়।

গোলদাতা
ইভিচা ভাসটিচ, অস্ট্রিয়া
৩৮ বছর ২৫৭ দিন
২০০৮ ইউরোয় অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে পোল্যান্ড তখন পিছিয়ে। ম্যাচটা হেরে যাওয়াই যখন পোলিশদের নিয়তি মনে হচ্ছিল, অতিরিক্ত সময়ে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ইভিচা ভাসটিচ। হয়ে যান ইতিহাসের অংশও। ইউরোয় সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল করা স্কোরার।

No comments

Powered by Blogger.