খালেদার নেতৃত্বে ২০ মে ঢাকায় গণ-অনশন-এমপিদের প্রতীকী অনশন স্থগিত

বিএনপির নেতৃত্বে রাজধানীতে ১৮ দলীয় জোটের গণ-অনশন কর্মসূচি পালিত হবে আগামী ২০ মে। এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অনশন চলবে।


এ কর্মসূচিতে ১৮ দলীয় জোটের নেতারা ছাড়াও বিএনপির সঙ্গে যাঁরা যুগপৎ আন্দোলন করতে চান, তাঁরাও শরিক হবেন বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে প্রথমে বিএনপির সিনিয়র নেতা এবং পরে ১৮ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। এসব বৈঠকে আলোচনার পর গণ-অনশন কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় সংসদ প্লাজায় শনিবার বিএনপির এমপিদের প্রতীকী অনশন পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও রাতে তা স্থগিত করা হয়েছে। রবিবার গণ-অনশন কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়ায় এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয় বলে জানান সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
এদিকে গত রাতে জোট নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকের একপর্যায়ে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের জানান, রবিবার গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে। এতে নেতৃত্ব দেবেন খালেদা জিয়া। গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক এবং পরে জোট নেতাদের সঙ্গে যেসব কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, তা চূড়ান্ত করতেই গতকালের বৈঠক হয় বলে তিনি জানান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'আমরা গণ-অনশনের জন্য প্রশাসনের কাছে রাজধানীর তিনটি স্থান চেয়েছি। এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ, মহানগর নাট্যমঞ্চের সামনের খোলা চত্বর ও রমনা গ্রিনে উন্মুক্ত স্থানে এই কর্মসূচি পালনের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। সরকার কোথাও স্থান না দিলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই গণ-অনশন করতে হবে।'
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নিখোঁজ ইলিয়াস আলী, গাড়িচালক আনসার, শিবিরকর্মী মোকাদ্দেস ও অলিউরের সন্ধান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৩৪ নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও মুক্তির দাবিতে এ গণ-অনশন কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয় বলে তিনি জানান।
গতকালের বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, সহসভাপতি এম মোরশেদ খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মিজানুর রহমান মিনু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, মহানগর সদস্যসচিব আবদুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ। পরে ১৮ দলীয় জোট নেতাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, জামায়াতে ইসলামীর হামিদুর রহমান আযাদ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, বিজেপির শামীম আল মামুন, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, আলমগীর মজুমদার, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুসলিম লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, ইসলামিক পার্টির আবদুল মবিন, ন্যাপ ভাসানীর শেখ আনোয়ারুল হক, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, পিপলস লীগের গরীব নেওয়াজ, জাগপার খোন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির ফরিদুর রহমান ফরহাদ, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি ও জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম।

No comments

Powered by Blogger.