রাজবাড়ী-ফরিদপুর রেলপথ-পথে পথে নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী

রাজবাড়ী-ফরিদপুর এবং রাজবাড়ী-ভাটিয়াপাড়া রেলপথ সংস্কার হওয়ার খবর দিয়েছে সমকাল। শুক্রবার 'রাজবাড়ী-ভাটিয়াপাড়া-ফরিদপুর : আবারও চলবে রেল' শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৭ সালে লোকসানের অজুহাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভাটিয়াপাড়া ও ফরিদপুর রুটের ট্রেন।


এক যুগ বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইনের সংস্কার কাজ এখন চলছে পুরোদমে। একই সঙ্গে হাতে নেওয়া হয়েছে ফরিদপুর থেকে ভাঙা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ স্থাপনের প্রকল্প। রাজবাড়ী-ভাটিয়াপাড়া-ফরিদপুরের দুটি রুটে ট্রেন চলাচল নতুন করে শুরু হলে কয়েকটি জেলার বিপুলসংখ্যক অধিবাসী উপকৃত হবে, তাতে সন্দেহ নেই। তবে এটা নির্ভর করবে দিনে কতটা ট্রেন চলছে এবং সময়সূচি মানা হচ্ছে কি-না তার ওপর। প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ বিকল্প বেছে নেয়। কয়েকটি রুটে ট্রেন বন্ধ থাকায় বাস এবং আরও কয়েক ধরনের মোটরযান যাত্রী পরিবহনে যুক্ত হয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগ তেমন আরামদায়ক। ব্যয়ও বেশি পড়ে এবং জীবনের ঝুঁকিও রয়েছে। কিন্তু গন্তব্যে মোটামুটি সময়মতো পৌঁছার নিশ্চয়তা তাতে থাকে। এই নতুন প্রতিযোগীদের সঙ্গে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে টিকে থাকতে হবে। অন্যথায় বিপুল অর্থ ব্যয়ে সংস্কার করা লাইন ফের ধুঁকতে থাকবে এবং আবার লোকসানের যুক্তি দেখিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিতে হবে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ফরিদুপর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করছেন। এ লাইনটি ভবিষ্যতে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পদ্মায় সেতু নির্মিত হলে ঢাকা থেকে এ সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথও নির্মিত হওয়ার কথা। এর ফলে অপেক্ষাকৃত কম দূরত্ব অতিক্রম করেই ট্রেনে ঢাকা থেকে মাওয়া-ভাঙ্গা হয়ে ফরিদপুর যাওয়া সম্ভব। তবে পদ্মায় সেতু নির্মাণ প্রকল্পই যে চরম অনিশ্চয়তায়! এ ক্ষেত্রে যে জট বেধেছে তা যদি দ্রুত খুলে যায় তাহলে ফরিদপুর-ভাঙ্গা রেলপথ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিপুলসংখ্যক মানুষের কাছে প্রকৃতই আশার আলো হয়ে উঠবে। তাদের জন্য নতুন এক কানেকটিভিটি তৈরি হবে, যার আর্থ-সামাজিক প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেছেন।

No comments

Powered by Blogger.