জাপানে নেইমারের চমক

স্প্রিন্টার ওসাইন বোল্টের উৎসব করার একটা নিজস্ব স্টাইল রয়েছে। প্রতিযোগিতায় সাফল্য ধরা দিলে আকাশের দিকে তীর ছোড়ার ভঙ্গি করেন তিনি। কাল সে ভঙ্গি দেখা গেল জাপানের টয়োটা স্টেডিয়ামে। সেখানে বোল্ট ছিলেন না, ছিল না কোনো দৌড় প্রতিযোগিতা। ছিল ফুটবল ম্যাচ। সে ম্যাচে স্যান্তোসের নেইমার বোল্টের এ ভঙ্গিমা করলেন। স্যান্তোসের এ স্ট্রাইকার প্রমাণ করলেন, রিয়াল মাদ্রিদসহ একাধিক নামি ক্লাব কেন তাকে দলভুক্ত করার জন্য


উঠেপড়ে লেগেছিল। গতকাল ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নেইমারের অসাধারণ নৈপুণ্যে স্যান্তোস ৩-১ গোলের জয় নিয়ে ফাইনালে পেঁৗছেছে। হারিয়েছে স্বাগতিক কাশিওয়া রেসলকে। স্যান্তোসের হয়ে নেইমার, বোর্গেস ও ডানিলো গোল করেন।
সেমিফাইনাল এ ম্যাচের আগে সব আলোচনা ছিল নেইমারকে ঘিরে। ১৯ বছর বয়সী এ ব্রাজিলিয়ান দর্শকদের হতাশ করেননি। দর্শকদের মনে স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দিতে মোটেও সময় নেননি। ১৯ মিনিটে অসাধারণ এক গোল করেন তিনি। পেনাল্টি বক্সের বেশ বাইরে সতীর্থের বাড়িয়ে দেওয়া থ্রু নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েই কয়েক পা এগিয়ে যান নেইমার। বাঁ-দিক থেকে রেসলের এক ডিফেন্ডার তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নেইমার চমৎকার এক ডজে তাকে ফেলে দিয়ে বাঁ-পায়ে দূরের পোস্টে যে শট নেন তা জালে আছড়ে পড়ে। প্রায় ২০ মিটার দূর থেকে নেওয়া নেইমারের এ শটে রেসলের গোলরক্ষকের কিছুই করার ছিল না। ২৪ মিনিটের মধ্যে নিশ্চিত হয়ে যায় আগামী ১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালে কারা খেলছে। বোর্গেস ২৪ মিনিটে গোল করে স্যান্তোসকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন। তবে বিরতির পরপরই সাকাই ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচে একটু হলেও উত্তেজনা ফিরিয়ে এনেছিলেন। ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ২-১-এ। জাপানিরা একটু হলেও স্বপ্ন দেখতে শুরু করে; কিন্তু সে স্বপ্ন বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র ৯ মিনিটেই শেষ হয়ে যায় তাদের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। ৬৩ মিনিটে ডানিলোর গোল যেমন স্যান্তোসকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেয়, তেমনি রেসলের বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে যায়।

No comments

Powered by Blogger.