বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে পিলখানা হত্যার তুলনা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক সাংবাদিকসহ দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল; ঠিক একইভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পিলখানায় ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, 'আমরা যেমন বুঝতে পারিনি কোন গ্রহ থেকে কারা


এসে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করল, ঠিক তেমনি বুঝিনি কোন গ্রহ থেকে কারা এসে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করল। এ রহস্য আজও উদ্ঘাটন করতে পারিনি। অথচ দেশে অনেক কিছুরই বিচার হচ্ছে।'
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাহবুবুর রহমান। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধকালে তাজউদ্দীন গোপন চুক্তি করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করেন : নোমান
এদিকে গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, 'অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও বীর শহীদদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। কিন্তু একাত্তর থেকে পঁচাত্তর সাল পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালে ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের গোলামি চুক্তি করে এবং যুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সাত দফা গোপন চুক্তি করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যদি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সর্বনাশ হয়ে যাবে।'
নোমান আরো বলেন, 'স্বাধীনতার পর নিখিল বাংলা লুটপাট সমিতি গঠন করে আওয়ামী লীগ জনগণের সম্পদ লুটপাট করেছে। বর্তমান সরকারও লুটপাট, নির্যাতন, নিপীড়ন ও ফ্যাসিবাদী আচরণ চালিয়ে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে যখন আমরা আন্দোলন করছি, তখনই আমাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে।'
ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি জাফর আহমেদ জয়। অন্যদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.