পা খ পা খা লি-ঘুম ভাঙানিয়া

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করে নানা ধরনের পাখি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত একটি পাখির নাম কাদাখোঁচা। ইংরেজিতে এ পাখিটিকে বলা হয় স্লাইপ। এর মাংস নাকি খুবই সুস্বাদু। তাই প্রায়ই এ পাখিটি শিকারিদের কবলে পড়ে। কাদাখোঁচা সচরাচর দেখা যায় না। মাঝে মধ্যে দেখা যায় গ্রামাঞ্চলে; পুকুর-বিল-ডোবা-নালা থেকে ছোট ছোট পোকা-মাকড় ধরে পেটে চালান করে দিতে। কাদা-পানি থেকে খাবার সংগ্রহ করার কারণেই সম্ভবত এ পাখিকে


কাদাখোঁচা বলা হয়। কারও কারও কাছে অবশ্য পাখিটি 'চাহা পাখি' বলেও পরিচিত। কাদাখোঁচার বৈজ্ঞানিক নাম এধষষরহধমড় এধষষরহধমড়. এ পাখিটির উচ্চতা খুব বেশি নয়। গড়ে ২৬ সেন্টিমিটারের মতো হয়। সাধারণত কাদাখোঁচা পাখির মাথার দু'পাশ থাকে সাদা আর গলা ও পিঠ হয় খয়েরি রঙের। কিন্তু পা দুটি হয় সবুজ এবং ঠোঁটটি থাকে বেশ লম্বা। খাল-বিল, নদী-নালা থেকে এ পাখিরা যখন খাবার সংগ্রহ করে তখন দূর থেকে দেখলেই এদের চেনা যায়।
খুব ভোরে যখন কাক-কোকিলও ঘুমিয়ে থাকে, তখন উঃ উঃ উঃ গম্ভীর শব্দে এক ধরনের পাখি একনাগাড়ে ডেকে চলে। পাখিটির ডাক শুনে মনে হয় এই বুঝি ভোর হলো। বিছানায় শুয়ে শুয়ে এ পাখির ডাক শুনতে তখন মোটেও খারাপ লাগে না। কারণ এরা মাঝরাতে ঘুমের ঘোরে কখনোই ডাকে না। পাখিটির নাম কুকো। এর বৈজ্ঞানিক নাম ঈবহঃৎড়ঢ়ঁং ঝরহবহরং. কুকোদের উচ্চতাও খুব বেশি নয়, গড়ে মাত্র ৪৮ সেন্টিমিটার। এর ডানা হয় খয়েরি রঙের। তবে শরীরের অন্যান্য জায়গার পালকের রঙ হয় কালো। ঠোঁট ও পায়ের রঙ কালো। কিন্তু চোখ দুটো টকটকে লাল। এরা কোকিলের বংশধর হলেও কোকিল বা পাপিয়ার মতো অন্যের বাসায় ডিম পাড়ে না।
কুকোরা বাসা বাঁধে নিরিবিলি ঘন জঙ্গল বা বাঁশঝাড়ের মাথার ওপর। এদের বাসার গড়নও ভিন্ন; কাক-কোকিলের মতো নয়। এদের বাসার ছাদ এবং ভেতরে প্রবেশ পথ একটাই থাকে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন লতাপাতা ঘেরা খড়কুটোর কুণ্ড। ডানা খুব লম্বা না হওয়ায় পাখিটি খুব বেশি দূর উড়ে যেতে পারে না।
ঋতা আলম

No comments

Powered by Blogger.