নেপালের মাওবাদীরা তাদের কর্মীদের সরকারবিরোধী

নেপালের মাওবাদীরা তাদের কর্মীদের সরকারবিরোধী ‘চূড়ান্ত যুদ্ধের’ প্রস্তুতি হিসেবে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে। অস্ত্র সমর্পণ করে মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার তিন বছর পর তারা এ প্রশিক্ষণদেওয়া শুরু করলো।
দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এটিকে আত্মরক্ষামূলক শিক্ষা হিসেবে দাবি করলেও মাওবাদী যুব সংগঠনের জেলা পর্যায়ের নেতারা স্বীকার করেছেন, শীর্ষস্থানীয় নেতারা তাঁদের চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। এর অংশ হিসেবে তাঁরা তরুণ সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
জানা গেছে, গত শনিবার থেকে নেপালের সিন্ধুলি জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাওবাদী দল ইউসিপিএনের যুব সংগঠন ওয়াইসিএল (ইয়ুথ কমিউনিস্ট লিগ) তাদের কর্মীদের রাজনৈতিক মতাদর্শ শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করেছে। ওয়াইসিএলের কমান্ডাররা রাইফেল ও খুকুড়ির (নেপালের স্থানীয় ছোরাজাতীয় ধারালো অস্ত্র) আদলে বানানো কাঠের ডামি অস্ত্র দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। সিন্ধুলি জেলার অন্যতম জ্যেষ্ঠ মাওবাদী নেতা রাজন দহল বলেছেন, চূড়ান্ত বিপ্লবের প্রস্তুতি হিসেবে তাঁদের জেলায় তাঁরা সাড়ে তিন হাজার কর্মীকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেবেন।
ইউসিপিএনের শিক্ষক সংগঠনের কয়েকজন নেতা বলেছেন, একই ধরনের প্রশিক্ষণ ইতিমধ্যে কয়েকটি জেলায় শুরু হয়েছে। শিগগিরই এই প্রশিক্ষণের কার্যক্রম ৭৫টি জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
মাওবাদী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা শান্তিচুক্তির শর্ত অনুযায়ী, আগামী ২৮ মের মধ্যে নতুন সংবিধান কার্যকর করা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আন্দোলন জোরদার করার প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে যুব সংগঠনগুলোর সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.