চেহারা নয়, হূদয়টাই আসল

সুন্দরকে কে না পছন্দ করে? কিন্তু সুদর্শন পুরুষকে কতজন নারী পছন্দ করেন? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেক নারী হাত ওঠালেও অন্তত মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার সাফ কথা ‘না’। তিনি বলেছেন, ‘চেহারায় মজে নয়। যাকে পছন্দ করব, তাঁর ভেতরের মানুষটাকে জানা চাই। তাহলেই জীবনে সুখী হওয়া যাবে।’
নারীদের উদ্দেশে চিরন্তন এই জানা কথাগুলো আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন মিশেল ওবামা। দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে চাইলে কেমন পুরুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়া চাই, সে সম্পর্কে বলতে গিয়েই তিনি এসব কথা বললেন। জনপ্রিয় গ্লামার ম্যাগাজিন মিশেলের এই কথাগুলো জানিয়েছে।
মিশেল বলেন, সঙ্গী হিসেবে সুদর্শন পুরুষ অবশ্যই ভালো। কিন্তু দিনের শেষে চেহারা নয়, ব্যক্তি হিসেবে সে কেমন, সেটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। মিশেল আরও একটা সত্য জানিয়ে দিলেন, টাকাপয়সায় সুখ মেলে না। তিনি বলেন, ব্যাংকে কী পরিমাণ অর্থ আছে, কে কত বড় পদে আসীন—স্বামী হিসেবে কাউকে পছন্দের ক্ষেত্রে নারীদের এ বিষয়গুলো অবশ্যই পরিহার করা উচিত। মিশেল আরও বলেন, পছন্দের পুরুষটার হূদয়টা কত বড়, সেটাই আগে দেখতে হবে।
দুই সন্তানের জননী মিশেল (৪৫) নারীদের একটা বিষয়ে স্পষ্ট সতর্ক করে দিয়েছেন, যাকে মনে হবে আপনাকে সুখী করতে পারবে না, তাকে অন্তত কখনোই বিয়ে করার মতো পাগলামি করা যাবে না।
এ ক্ষেত্রে বিয়ের আগে পছন্দের পুরুষ বাছাইয়ের একটা পথও বাতলে দিয়েছেন মিশেল। বলেছেন, ‘পছন্দের পুরুষটি তাঁর মায়ের সঙ্গে কেমন আচরণ করেন, নারীদের কোন দৃষ্টিতে দেখেন, শিশুদের সঙ্গে কেমন আচারণ করেন, তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আর সবচেয়ে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো তিনি আপনার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছেন, আপনাকে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন—এই জিনিসগুলো বিবেচনা করেই একজন নারীর জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়া উচিত।
মিশেল বলেন, ‘আপনি যখন কোনো পুরুষের সঙ্গে মধুর আবেশে একাকার হবেন, তখন অবশ্যই আপনারও কিছু দায়িত্ব আছে। আর তা হলো, আপনি যার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়েছেন, তিনি যেন আপনার সঙ্গ উপভোগ করতে পারেন, সেভাবেই আচরণ করতে হবে।’
মিশেল শুধু সুন্দর মনের মানুষের কথাই বলেননি। পুরুষদের গুণের কথাও বলেছেন। এ ক্ষেত্রে মিশেল তাঁর স্বামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কথা বলেছেন। তিনি জানান, ‘বারাক ওবামার যোগ্যতাই আমাকে টেনেছে।’
মিশেল ও ওবামার প্রথম সাক্ষাত্ ১৯৮৯ সালে শিকাগোর একটি আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে। এর পর থেকেই দুজনের মন দেওয়া-নেওয়া এবং প্রেম। অবশেষে ১৯৯২ সালে পরিণয়।
স্বামী সম্পর্কে বলতে গিয়ে মিশেল বলেন, ‘ওবামা সব সময়ই ছিল একটু অন্যরকম, একটু আলাদা। ওবামার বিশেষত্ব বলতে আমি তাঁর সততা, আন্তরিকতা ও মানুষের প্রতি সমবেদনার কথা বলছি।

No comments

Powered by Blogger.