মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা নিয়ে ওবামা ও নেতানিয়াহুর বৈঠক

মধ্যপ্রাচ্য শান্তিপ্রক্রিয়া আবার শুরু করার ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা করেছেন। গত সোমবার হোয়াইট হাউসে দুই নেতার মধ্যে এ বৈঠক হয়েছে। অধিকৃত এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপন কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি ওবামা প্রশাসন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে মতদ্বৈধতা বেড়েছে। মার্কিন ইহুদি গোষ্ঠীর একদল নেতাকে নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি এ ব্যাপারে একটি চুক্তি করতে রাজি।
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পরই তাঁদের মধ্যকার এ বৈঠক ঘোষণা করা হয়। তবে এর আগে হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাজি হয়নি। ওয়াশিংটনে একটি অনুষ্ঠানে মার্কিন ইহুদি নেতাদের নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসকে বলেছি; আসুন, একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। দ্রুত এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু করি। ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে দ্রুত একটি স্থায়ী শান্তিচুক্তি করাই আমার প্রধান লক্ষ্য।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টেরও ওই অনুষ্ঠানে থাকার কথা ছিল। তবে ফোর্ট হুডে এক শোকসভায় অংশ নেওয়ার কারণে তিনি সেখানে যেতে পারেননি।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে আলোচনা আবার শুরু করার বিষয়টিই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে ওবামা প্রশাসন। তবে এরই মধ্যে এ ব্যাপারে তাদের উদ্যোগ দুবার ধাক্কা খেয়েছে। প্রথমটি ছিল ইহুদি বসতি স্থাপন কার্যক্রম নিয়ে। ফিলিস্তিনিদের দাবি, শান্তি আলোচনা শুরু করার আগে ইহুদি বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। ওবামা প্রশাসনও তাদের দাবি সমর্থন করছিল। তবে গত সপ্তাহে ইসরায়েল সফরে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বসতি স্থাপন কার্যক্রম সীমিত করার প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানান।
দ্বিতীয় ধাক্কাটি আসে গত মাসে হঠাত্ করে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে। আব্বাস দাবি করেন, শান্তি আলোচনা নিয়ে অচলাবস্থা চলার কারণেই তিনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছে না।

No comments

Powered by Blogger.