মানুষের বর্জ্যচালিত প্রথম বাস

অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ ও কার্বন নিঃসরণ থেকে রেহাই পেতে মানুষের বর্জ্য দিয়ে বাস চলাচল শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যে। মনুষ্যবর্জ্য ছাড়াও উচ্ছিষ্ট খাদ্য থেকে শক্তি আহরণ করে চলছে এই ‘পু বাস’ বা ‘বায়োবাস’। পরিবেশবান্ধব এ ধরনের বাস ইতিহাসে এটাই প্রথম। ৪৬ আসনবিশিষ্ট বাসটি বৃহস্পতিবার প্রথম পথে নামানো হয়েছে। বিবিসি, টেলিগ্রাফ। প্রথম ধাপে ব্রিস্টল থেকে বাথ পর্যন্ত এই বাস চলাচল করছে। পরে অন্যান্য রুটেও চলাচল করবে। পরিবেশবান্ধব এই বাসটি এক ট্যাংক বায়োগ্যাস (মানুষের বর্জ্য থেকে তৈরি) দিয়ে ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারবে। পাঁচজন মানুষের বার্ষিক বর্জ্য থেকে এরকম এক ট্যাংক গ্যাস পাওয়া সম্ভব। একজন মানুষের বার্ষিক উচ্ছিষ্ট খাদ্য ও বর্জ্য থেকে বাসটির ৬০ কিমি. দূরত্ব অতিক্রমের বায়োগ্যাস পাওয়া যাবে। ডিজেলচালিত সাধারণ বাসের মতোই এর ইঞ্জিন।
তবে বায়োগ্যাসের ট্যাংকগুলো গাড়ির ডিজাইনের কথা ভেবে বাসের ছাদের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। বাসটির আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল ডিজেলচালিত বাসগুলোর চেয়ে এটি ৩০ শতাংশ কম কার্বন নিঃসরণ করবে। বাথ বাস কোম্পানি এই বাসের নিয়ন্ত্রণ করছে। আর মানুষের বর্জ্য থেকে গ্যাস তৈরি করে জেইনকো কোম্পানি। জেনইকোর জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের শহরগুলোর নির্মল বাতাসের জন্য গ্যাসচালিত গাড়ির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তবে বায়োবাস এর চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিচ্ছে। স্থানীয় জনতার বর্জ্য দিয়েই চলছে এ বাস। উপরন্তু বাসে বসেও কাজাটা সারা যাবে। বাথ বাস কোম্পানির কলিন ফিল্ড বলেন, উপযুক্ত সময়ে বায়োবাসটি যাত্রা শুরু করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী বছরের মধ্যেই ইউরোপের সবুজ রাজধানী হবে ব্রিস্টল।

No comments

Powered by Blogger.