বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ নারী নির্যাতনের শিকার: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ নারী বাসা-বাড়িতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এসব নির্যাতন বন্ধে বর্তমানে যেসব প্রচেষ্টা চালু আছে তা অপর্যাপ্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিরিজ গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। গতকাল সংস্থাটি এ ইস্যুতে তাদের গবেষণা প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, বিশ্বের ১০ থেকে ১৪ কোটি নারী যৌনাঙ্গ অঙ্গচ্ছেদের শিকার। আনুমানিক ৭ কোটি মেয়েদের বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই। প্রায়ই তা হয়ে থাকে তাদের মতের বিরুদ্ধে। প্রায় ৭ শতাংশ নারীর জীবদ্দশায় ধর্ষিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এসব সহিংসতা দ্বন্দ্ব আর মানবাধিকার সঙ্কটের সময় বৃদ্ধি পায়। আর নির্যাতনের শিকার মেয়ে ও নারীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর চরম প্রভাব পড়ে। গবেষণায় আরও বলা হয়, কঠোর এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন আইন আছে এমন জায়গাগুলোতেও নারীরা বৈষম্য, সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এমনকি তারা পাচ্ছে না পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ও আইনি সেবা। গবেষণাটির সহ-গবেষক এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এবং ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রফেসর শার্লোট ওয়াটস বলেন, কোন জাদুর ছড়ি নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে নির্যাতন নির্মূল করবে না। কিন্তু তথ্যপ্রমাণে ইঙ্গিত মেলে দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণে পরিবর্তন আনলে এটা সম্ভব। আর এক প্রজন্ম সময়ের আগেই তা অর্জন করা সম্ভব। গবেষকরা বলছেন, সরকারগুলোর উচিত নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অধিকতর পৃষ্ঠপোষকতা করা। তাদের এটা দেখতে পারা উচিত, এটা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও বিশ্ব নেতাদের উচিত বৈষম্যমূলক আইন পরিবর্তন করা। যেসব প্রতিষ্ঠান অসাম্যতা উৎসাহিত করে আরও সহিংসতার ক্ষেত্র তৈরি করে দেয় সেগুলোকে পরিবর্তন করা। সবশেষে গবেষকরা লিখেছেন, সরকারগুলোর উচিত গবেষণায় উৎসাহ দেয়া এবং যেসব পদক্ষেপ কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত সেগুলো দ্রুত প্রয়োগ করা।

No comments

Powered by Blogger.