বন্ধ হলো শ্রীলঙ্কার সব শরণার্থী শিবির

শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের সময়ে গড়ে ওঠা শরণার্থী শিবিরগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করেছে সরকার। সেনাবাহিনী গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে। জাতিসংঘ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বলেছে, শিবির বন্ধ করা হলেও কয়েক শ লোক তাদের বাড়িঘর ফেরত পায়নি। তারা অস্থায়ী ছাউনিতে বা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।


দেশের উত্তরাঞ্চলীয় ভাবুনিয়া জেলার মেনিক ফার্ম শরণার্থী শিবিরে থাকা অবশিষ্ট এক হাজার ১৮৬ জন শরণার্থীকে গত সোমবার তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্য দিয়ে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার তিন বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে শরণার্থী শিবির বন্ধ হলো। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কায় তামিলবিরোধী অভিযানের শেষ দিকে প্রায় তিন লাখ লোক ঘরবাড়ি হারিয়ে শিবিরটিতে আশ্রয় নেয়। ওই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির ছিল এটি। জাতিসংঘ এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, শরণার্থী শিবির ত্যাগ করলেও কয়েক শ শরণার্থী তাদের বাড়িঘর ফেরত পায়নি। কারণ যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনী তাদের ঘরবাড়িগুলো দখল করে নিয়েছে। এসব লোক অস্থায়ী শিবির বা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রুওয়ান ওয়ানিগাসেকেরা বলেন, বিশ্বের অন্যতম বড় শরণার্থী শিবির ছেড়েছে অবশিষ্ট ৩৬১টি পরিবার। এসব লোক মুল্লাইতিভু জেলার দুটি গ্রামের বাসিন্দা।
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মেনিক ফার্ম থেকে মুল্লাইতিভুর কেপাপিলাভু গ্রামে ফেরত যাওয়া ৩৪৬ জনকে নিয়ে তারা শঙ্কিত। এসব মানুষের বসতভিটা সেনাবাহিনীর দখলে থাকায় তারা সেখানে যেতে পারেনি। সরকারি জমিতে এসব মানুষের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.