দিনাজপুরে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা, ম্যানেজার সাসপেন্ড -৬২ লাখ টাকা আত্মসাত

দিনাজপুরের বিরামপুর সোনালী ব্যাংক শাখায় গত ২ বছরে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতাসহ বিভিন্ন দফতরের ৬২ লাখ ৪৩ হাজার ২৬৫ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা রজিবউদ্দীন সরকারকে আসামি করে সোনালী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় দুদক আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।


দিনাজপুর সোনালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) হুমায়ুন কবির জানান, বিরামপুর সোনালী ব্যাংক শাখার কর্মকর্তা রজিবউদ্দীন সরকার গত ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর থেকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিল। এ সময় তিনি ওই ব্যাংকের প্রেরিত বিভিন্ন সংগঠনের ৬২ লাখ ৪৩ হাজার ২৬৫ ভাতার টাকা বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাত করেছেন। এ বিষয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর শনিবার বিরামপুর সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মেহেরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে তাঁকে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে দিনাজপুর সোনালী ব্যাংকের এজিএম আবু হাসানকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি গত ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর বিরামপুর সোনালী ব্যাংক শাখা অনুসন্ধান চালিয়ে আসামি রজিবউদ্দীন সরকারের বিরুদ্ধে আত্মসাতকৃত অর্থের তথ্য উদ্ঘাটন করেন। এ ঘটনায় কর্মকর্তা রজিবউদ্দীন সরকারকে প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্তে ডিজিএম হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় দুদক আইনে এই মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই রজিবউদ্দীন সরকার পলাতক রয়েছে। সে হাকিমপুর উপজেলার ছাতনি গ্রামের সৈয়দ আলী সরকারের পুত্র।
এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে বিরামপুর সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মেহেরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে দিনাজপুর সোনালী ব্যাংক প্রিন্সিপাল অফিসে ক্লোজড করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.