যে খবর নাড়া দেয়-চর তুফানিয়া

চর তুফানিয়া। নামটা শুনলেই অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ নাকে এসে লাগে। পত্রিকার পাতায় স্রেফ ছবি হয়ে থাকা দ্বীপটাই যেন ‘আয় আয়’ বলে ডাকে। ভ্রমণপিয়াসীদের তো বটেই, এমনকি ঘরকুনো লোকদের পক্ষেও কৌতূহল সামলানো দায় হয়ে পড়ে। নতুন দ্বীপ মানেই রহস্য আর রোমাঞ্চের হাতছানি।


দূর সমুদ্রের বুকে একাকী জেগে উঠেছে একটা অজানা দ্বীপ। কোন ফাঁকে সবুজে-শ্যামলে ভরে উঠেছে দ্বীপটা। চরের বাসিন্দা বলতে এখন কেবল লাল কাঁকড়ার দল। শহুরে মানুষের কানে দ্বীপের খবর সদ্য পৌঁছালেও ইতিহাস বলছে, চর তুফানিয়ার জেগে ওঠা শুরু সেই গত শতকের ষাটের দশক থেকে( সূত্র: প্রথম আলো, ১৯ এপ্রিল, ২০১২)। দ্বীপের বুকে আছড়ে পড়া সুবিশাল ঢেউ থেকেই নাম তার ‘চর তুফানিয়া’।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফেরে বাংলাদেশ তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যখন হাওয়ায় ভাসছে, বাংলাদেশ নামের বদ্বীপটি যখন জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ, ঠিক এমন সময়ে নতুন দ্বীপ জেগে ওঠার খবর চমকপ্রদ তো বটেই। ‘নদীর এ-কূল ভাঙে ও-কূল গড়ে’ কথাটা তাহলে শুধুই গানের কথা নয়। নবীন দ্বীপ চর তুফানিয়া নতুন সম্ভাবনা আর নতুন দিনের বারতা নিয়ে আসবে, এই আশা করি।
সঙ্গে এই আশঙ্কাও করি, এই দ্বীপটাও হয়তো ‘নষ্ট’দের অধিকারে যাবে। আমাদের লোভ আর লালসার আগুনে পুড়ে খাক হবে চর তুফানিয়া। আশঙ্কাটা খুব মিছে—এ কথা বলতে পারছি না। এরই মধ্যে ‘অসচেতন’ মানুষের আনাগোনায় বিপদের মুখে দ্বীপের আদি বাসিন্দা কাঁকড়ার দল। তবু জেগো থেকো প্রিয় চর তুফানিয়া। —ইকবাল হোসাইন চৌধুরী

No comments

Powered by Blogger.