আবারও লঞ্চডুবি : নিখোঁজ অনেক-মরিচের বস্তায় ভাসছিল সাত মাসের শিশুটি

'রাত তখন ২টা প্রায়। হঠাৎ নদীর মধ্য থেকে অসংখ্য মানুষের কান্নার আওয়াজ ভেসে এলো। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। লঞ্চের সার্চ লাইটের আলো ফেলতেই দেখি, কিছু মানুষ নদীতে সাঁতার কাটছে। এ সময় আমরা জীবন রক্ষাকারী বেশ কিছু বয়া নদীতে ফেলে দিই। আর তা হাতের কাছে পেয়ে প্রাণে বেঁচে যান ৩০-৩৫ জন যাত্রী।'

বলছিলেন চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এমভি মিতালী-২ লঞ্চের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আনসার কমান্ডার আবদুল হালিম।
হালিম আরো জানান, নদীতে মানুষের সঙ্গে মরিচের অসংখ্য বস্তাও ভাসছিল। একটি বস্তার ওপর আঁকড়ে থাকা সাত মাসের এক শিশুকেও তাঁরা উদ্ধার করেন। পরে সদরঘাটে পেঁৗছে শিশুটিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন। জানা গেছে, লঞ্চডুবিতে নবদম্পতিসহ এক পরিবারের যে ১৩ জন ভেসে যায়, এই শিশুটি সেই পরিবারের একজন।
মিতালী লঞ্চের মাস্টার মো. কামালউদ্দিন জানান, বয়া ফেলে অন্তত ৫০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করার পর লঞ্চে করে তাঁদের সদরঘাটে পেঁৗছে দেন তাঁরা।
মিতালী লঞ্চের যাত্রী চাঁদপুরের নতুনবাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, 'রাত ২টার দিকে শরীয়তপুর-১ নামের লঞ্চটি নদীতে দুর্ঘটনার শিকার হয়। আমি নিজের চোখে লঞ্চটি নদীতে ডুবতে দেখেছি। এ সময় মিতালী লঞ্চের সহায়তায় প্রায় ৩০ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।' তিনি আরো জানান, জীবনরক্ষাকারী বয়ার কারণে এই মানুষগুলো বেঁচে গেছে।

No comments

Powered by Blogger.