ম্যানইউর নানি, বার্সার মেসি

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষের নাম বুরসাসপর। এ ম্যাচের ওপর কতটুকই আর আলো পড়তে পারত! তার পরও যেটুকু আলোচনা হওয়ার কথা তা-ও হলো না। সবকিছুর ওপর একটা আড়াল তুলে দিল ওয়েইন রুনির ম্যানইউ ছেড়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা।
রুনি চলে যাচ্ছেন, তাঁকে ছাড়া ম্যানইউ কী করতে পারবে এটাই বরং আলোচনায় এল বেশি। বুরসাসপরের বিপক্ষে সেটিরও একটা চটজলদি পরীক্ষা হয়ে গেল। ম্যানইউ উত্তীর্ণ হয়েছে পর্তুগিজ উইঙ্গার নানির ভেলায় চেপে। তাঁর একমাত্র গোলেই বুরসাসপরকে হারিয়েছে ‘রেড ডেভিল’রা। বার্সেলোনার নায়ক সেই লিওনেল মেসি। নিজেদের মাঠে এফসি কোপেনহেগেনের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানের জয়টা মেসিরই জোড়া গোলে।
নিজেদের মাঠে পাওয়া এই জয়ের পর ম্যানইউর নকআউট পর্বে ওঠাটা এখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট তাদের। ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রেঞ্জার্স। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্যালেন্সিয়ার পয়েন্ট ৪। বুরসাসপর নিজেদের নামের পাশে এখনো কোনো পয়েন্ট যোগ করতে পারেনি। নকআউট পর্বে যাওয়া নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না ম্যানইউ কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসনকে। কিন্তু তাঁর অতৃপ্তি বড় জয় না পাওয়ায়, ‘আমাদের আরও গোল পাওয়া উচিত ছিল।’
নানিসহ তাঁর খেলোয়াড়েরা যেমন খেলেছে তাতে আবার ফার্গুসন খুশি, ‘ও (নানি) ভালো করছে। এটা দারুণ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, গোলের অনুপাতটা ওর বাড়ছে। আর পুরো ম্যাচেই আমাদের কতৃত্ব ছিল। ডিফেন্ডাররাও খুব মনোযোগী ছিল এদিন।’
এদিকে ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনা ছিল না বার্সেলোনার মতো। যে অসাধারণ পাসিং ফুটবল কাতালানরা খেলে, এফসি কোপেনহেগেনের বিপক্ষে সেটা তারা খেলতে পারেনি। তবে নকআউট পর্বের প্রান্তে ঠিকই পৌঁছে গেছে পেপ গার্দিওলার দল। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারাই। কোপেনহেগেনের পয়েন্ট ৬। গ্রুপের অন্য দুই দল রুবিন কাজান ও প্যানাথিনাইকসের পয়েন্ট ২ ও ১।
নজরকাড়া পাসিং ফুটবলটা এদিন খেলতে পারেনি ঠিক, তবে বার্সার প্রথম গোলটি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার দুর্দান্ত এক পাসেরই ফল। কোপেনহেগেনের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে মেসিকে পাহারাহীন দেখে বাঁ দিক থেকে ডিফেন্স-চেরা এক পাস দিয়েছিলেন ইনিয়েস্তা। বাঁ পায়ের ফ্লিকে বলটি জালে পাঠিয়ে দেন মেসি। ৩৭ মিনিটে আরেকবার কোপেনহেগেনের জালে বল পাঠিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। কিন্তু অফসাইডের দায়ে গোল বাতিল করে দেন রেফারি। মাত্র এক গোলে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনাকে শেষ দিকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখেই ফেলেছিল ড্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু কিছুতেই গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারছিল না বার্সা। ডেভিড ভিয়া ও মেসিকে দুবার গোলবঞ্চিত করেন কোপেনহেগেনের গোলরক্ষক। দানি আলভেজের শট ফিরে যায় পোস্টে লেগে। খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে মেসিই করেন দ্বিতীয় গোল।

No comments

Powered by Blogger.