নতুন রঙেও পুরোনো চেহারা: রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ

সম্প্রতি নতুন রং করা হয়েছে রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি
 কলেজ ভবনে। কিন্তু রাজনৈতিক সংগঠনের
দেয়াললিখন সেখান থেকে মুছা হয়নি -ছবি: প্রথম আলো
নতুন রঙেও বদলাল না পুরোনো চেহারা। রাজনৈতিক দেয়াল লিখনের কালিমামুক্ত হতে পারল না রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের দেয়াললিখন রেখেই রং করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
একটি রাজনৈতিক সংগঠনের আপত্তির মুখে দেয়াললিখন মোছা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি পুরো কলেজের সব দেয়ালে নতুন করে রং করা হয়েছে। কিন্তু তিনটি রাজনৈতিক সংগঠনের দেয়াললিখন রয়ে গেছে অবিকল। মূল ভবনের সামনে আগের মতোই আছে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দেয়াললিখন। বিষয়টি নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি প্রথম আলোতে ‘ভবন তুমি কার?’ শিরোনামে একটি ছবি ছাপা হয়েছিল। ছবিটি শহরে ব্যাপক আলোচিত হয়।
সম্প্রতি কলেজটির নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছেন এস এম জার্জিস কাদির। তিনি এসেই কলেজের সব ভবনে রং করার উদ্যোগ নেন। ইতিমধ্যে সেই রঙের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু সব ভবনের সব দেয়ালে নতুন রং লাগালেও প্রধান ভবনের সামনের অংশ আগের মতোই রয়ে গেছে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ভয়ে তাঁরা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, কলেজের দিকে তাকালেই প্রতিষ্ঠানের নামের চেয়ে রাজনৈতিক দেয়াললিখন আগে চোখে পড়ে। এটা ভালো লাগে না।
কলেজের অধ্যক্ষ জার্জিস কাদির বলেন, দেয়াললিখন মোছার জন্য তিনি ছাত্রনেতাদের সঙ্গে তিনবার বসেছেন। লিখন মুছতে ছাত্রমৈত্রীর নেতাদের আপত্তি বেশি। এ জন্য তাঁরা তা মুছতে পারেননি। তবে এক মাসের মধ্যে বিষয়টির একটা সুরাহা হবে বলে তাঁরা কথা দিয়েছেন।
জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতিটি দলের ব্যানার টাঙানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট জায়গা দিতে হবে। সেটি দিলে তিনিই সবার আগে তাঁদের দেয়াললিখন মুছে ফেলবেন। তিনি এও বলেন, তিনি নিজে এই কলেজে পড়েছেন। কলেজের নামের চেয়ে দলের দেয়াললিখন বড়—এটা দেখতে সত্যিই খারাপ লাগে।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ বলেন, দুই মাস আগে কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি শিবির বাদ দিয়ে অন্য সব সংগঠনের বসার জন্য একটা ‘টেন্ট’ করে দেবেন। ওটা করার পর কলেজের পক্ষ থেকে দেয়াললিখন মুছে দিলে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.