গবেষণাগারে উল্লাসে ফেটে পড়লেন বিজ্ঞানীরা

 জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান গবেষণাগার। একটি সংকেত পেয়ে সেখানকার বিজ্ঞানীরা উল্লাসে ফেটে পড়লেন। ওই সংকেতটি পাঠানো হয়েছে সৌরজগতের সবচেয়ে দূরের গ্রহ প্লুটোর কাছ দিয়ে উড়ে যাওয়া মহাকাশ যান নিউ হরাইজন। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি আবেগ প্রকাশ করতে লিখলেন টুইটারে। এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এই মাত্র প্লুটো তার প্রথম পরিদর্শকের দেখা পেল। ধন্যবাদ নাসা। এটি একটি বড় ধরনের আবিষ্কারের ও আমেরিকার নেতৃত্বের দিন।
উল্লেখ্য, সাড়ে নয় বছর আগে পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করে নিউ হরাইজন। এরপর সেটি সৌরজগতের সবচেয়ে দূরের গ্রহ প্লুুটোর খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করছে সেটি। মঙ্গলবার গ্রিনিচ মান সময় দুপুর প্রায় ১২টায় মহাকাশযানটি বরফ ও পাথরে গঠিত প্লুটো ও এর পাঁচটি চাঁদ পার হয়ে যায়। এর ১৩ ঘণ্টা পর গ্রিনিচ মান সময় গতকাল মহাকাশযানটি থেকে পাঠানো একটি বেতার সংকেত স্পেনের মাদ্রিদের একটি বড় ডিশ অ্যান্টেনার মাধমে এসে পৌঁছায়। এই ডিশটি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার যোগাযোগ নেটওয়ার্কের একটি অংশ। মহাকাশযানটি প্লুটো থেকে ১২ হাজার চার শ ৭২ কিলোমিটার দূর দিয়ে (প্রায় নিউ ইয়র্ক থেকে মুম্বইয়ের দূরত্ব) যাওয়ার সময় মহাশূন্যে ভাসমান কণার আঘাতে নিউ হরাইজন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। এমনটা হওয়ার আশঙ্কা ছিল ১০ হাজার ভাগে একভাগ। কিন্তু সংকেত পাওয়ার মাধ্যমে নিউ হরাইজন ধ্বংস হয়নি পরিষ্কার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়েন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানী ও কর্মীরা। প্রথমবারের মতো মানুষের পাঠানো যানের প্লুটো অভিযানে সংগ্রহ করা তথ্যের ৯৯ শতাংশ এখনো নিউ হরাইজনের ভাণ্ডারেই সংরক্ষিত আছে। এই অবস্থায় মহাকাশযানটি ধ্বংস না হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সংগ্রহ করা তথ্যগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীতে এসে পৌঁছবে। ওই দূরত্ব থেকে আলোর গতিতে পৃথিবীতে বেতার সংকেত আসতে সাড়ে চার ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়। তাই আগামী কয়েকদিনে অজানা সব অমূল্য তথ্য পাওয়ার জন্য নিউ হরাইজনের বেঁচে থাকাটা জরুরি।

No comments

Powered by Blogger.