‘সেতু অবরোধ করে রাখলে চলাচল করব কীভাবে?’

শরীয়তপুর যাবেন বলে সায়েদাবাদ থেকে বাসে উঠেছিলেন আনোয়ার হোসেন। কিন্তু বাসটি বাংলাদেশ চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর কাছে যেতেই পরিবহন শ্রমিকেরা তিনিসহ যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেন। তাঁদের বক্তব্য অবরোধ চলছে, যানবাহন যেতে দেওয়া হবে না। হেঁটে যেতে হবে। কিন্তু যাত্রী আনোয়ার হোসেনের প্রশ্ন, ‘এভাবে দিনের পর দিন অবরোধ করে সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখলে আমরা কীভাবে চলাচল করব? ’
গত শনিবার থেকে পরিবহন শ্রমিকেরা বাংলাদেশ চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু টোলমুক্ত করার দাবিতে অবরোধ করে রেখেছেন। গত তিন দিনের মতো তাঁরা আজও সেতুর দুই পাশে ট্রাক এনে ব্যারিকেড দেন। এ সময় শ্রমিকেরা সেতুতে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেননি। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের কেরানীগঞ্জ, দোহার, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, খুলনা, শরীয়তপুর ও মাওয়া রুটের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের স্বীকার হতে হয়।
সিরাজুল ইসলাম নামে এক ট্রাকচালক বলেন, তিনি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে ইট আনতে পাগলা থেকে রওনা হয়েছেন। কিন্তু ট্রাকটি সেতুর কাছে আসতেই অবরোধকারীরা বাধা দেয়। তিনি বলেন, এই বিষয়গুলো সরকারের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
বুড়িগঙ্গা ১ম সেতু টোলমুক্ত সংগ্রাম ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক এমদাদুল হক দাদন বলেন, যত দিন পর্যন্ত সেতু টোলমুক্ত না হবে, তত দিন পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
এ প্রসঙ্গে কেরানীগঞ্জ সড়ক উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এসএম খায়রুল ইসলাম বলেন, সেতুর সমস্যাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা টানা চতুর্থ দিনের মতো বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু অবরোধ করে রাখলে আজ মঙ্গলবারও দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা

No comments

Powered by Blogger.