বাঁধ ভেঙে ১৫০ পরিবার পানিবন্দী

অধিক উচ্চতার জোয়ারের তোড়ে বরগুনার সদর উপজেলার মাঝেরচর রক্ষা বাঁধের ৫০ ফুট ভেঙে যাওয়ায় চরের ১৫০টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রবল জোয়ারের চাপে মাঝের চরের উত্তর পাশের বাঁধে আকস্মিক ভাঙন দেখা দেয়। পরে জোয়ারের চাপে ধীরে ধীরে ভাঙন বাড়তে থাকে। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে ফসল খেত ও ভেসে গেছে বেশ কয়েকটি মাছের ঘের। মাঝেরচর গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন, গত তিন দিন ধরে প্রবল জোয়ারের চাপে চরের রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে ছিল। কিন্তু আজ দুপুরে হঠাৎ করে অনেকখানি অংশ জুড়ে ভেঙে যায়।  বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় কোমেনের পর জেলার বিভিন্ন এলাকায় তিন কিলোমিটার বাঁধ সম্পূর্ণ ও দশ কিলোমিটার বাঁধ আংশিক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল মাঝের চর ও পাথরঘাটার কাঁঠালতলী এলাকার বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। আজ জেলার নদ-নদীতে জোয়ারের উচ্চতা ছিল তিন মিটার যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে।  অস্বাভাবিক জোয়ারে বরগুনা শহরের গোলাম সরোয়ার রোড, পশু হাসপাতাল রোড, চরকলোনিসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।  পাউবোর বরগুনা জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। জোয়ারের চাপ কমলে মেরামত কাজ শুরু করা হবে।  বরগুনা জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘বরগুনার বিভিন্ন ভাঙন কবলিত এলাকা আমি পরিদর্শন করেছি। এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি শিগগিরই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

No comments

Powered by Blogger.