সাড়ে ১২ হাজার একর বনভূমি জবর দখল

গাজীপুরে ১২ হাজার ৬৮৪ একর সরকারি বনভূমি জবর দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এমনটি ঘটেছে বলে ধারণা করছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বিষয়টি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিতে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে কমিটির পক্ষ থেকে গাজীপুর বন এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অতিদ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবিলম্বে দখলকৃত ভূমিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর তাগিদ দেয়া হয়েছে। গতকাল সংসদ সচিবালয়ে কমিটির বৈঠকে এ তাগিদ দেয়া হয়। বৈঠকে বন অধিদপ্তরের কাছে বনভূমির পরিমাণ, প্রকৃত বনের পরিমাণ, প্রজাতি অনুযায়ী বৃক্ষের সংখ্যা ও কাঠের পরিমাণ ইত্যাদি সংক্রান্ত হালনাগাদ এবং সম্পূর্ণ বন ইনভেনটরি নেই বলে জানানো হয়। এ সময় অবৈধভাবে কাঠ পাচারের পরিধি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ এবং বিশ্বাসযোগ্য তথ্য নেই বলেও জানায় বন অধিদপ্তর। কমিটি বনভূমির পরিমাণ, প্রকৃত বনের পরিমাণ, প্রজাতি অনুযায়ী বৃক্ষের সংখ্যা এবং কাঠের পরিমাণ সংক্রান্ত চলমান ইনভেনটরি অব্যাহত রাখার সুপারিশ করে। একইসঙ্গে বন বিভাগ থেকে কেন্দ্রীয় এবং বিভাগীয় পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠনের মাধ্যমে নিবিড় তদারকি, পরিদর্শন ও সব পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং অনিষ্পন্ন বন মামলাগুলো নিবিড় তদারকি ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার সুপারিশ করে। বৈঠকে উপকারভোগী নির্বাচনে সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ অনুসরণ করা হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটিতে এক তৃতীয়াংশ মহিলা সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে কমিটি। মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আবদুস শহীদ, পঞ্চানন বিশ্বাস, বেগম রেবেকা মমিন, মো. শামসুল হক টুকু, মঈন উদ্দীন খান বাদল, এ,কে,এম, মাঈদুল ইসলাম এবং  রুস্তম আলী ফরাজী অংশ নেন। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, অডিট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

No comments

Powered by Blogger.