জঙ্গিবাদ নয়, ঘরোয়া শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদই আমেরিকার বড় হুমকি

জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদ নয়, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি এখন ঘরে জন্ম নেয়া শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদ। ২০০১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের দরুন যত আমেরিকান নিহত হয়েছে, তার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ঘরোয়া উগ্রবাদীদের হাতে। শুধু তাই নয়। ঘরোয়া এসব অমুসলিম চরমপন্থীরা ইসলামি জঙ্গিদের চেয়েও বেশি সংখ্যাক হামলা চালিয়েছে আমেরিকানদের ওপর। নিউ আমেরিকা নামে ওয়াশিংটনের একটি গবেষনা প্রতিষ্ঠানের  প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে এসব তথ্য। এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। আজ থেকে ১৪ বছর আগে নিউ ইয়র্ক ও পেন্টাগনে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সে থেকে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দেখা গেছে, সন্ত্রাসবাদ বা জঙ্গিবাদ নয়, নিজেদের ঘরোয়া উগ্রপন্থীরাই হয়ে উঠেছে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। কয়েকদিন পরপরই ছোটখাট হত্যাকা- ঘটাচ্ছে এসব অমুসলিম শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থীরা। গত ১৪ বছরে প্রায় ৪৮ জন আমেরিকা নিহত হয়েছে অমুসলিমদের উগ্রপন্থী বা উগ্র-জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা। এর মধ্যে রয়েছে চার্লেস্টনে সাম্প্রতিক হত্যাকা-। অপরদিকে আত্মস্বীকৃত জিহাদিদের দ্বারা নিহত হয়েছে ২৬ জন। গত সপ্তাহে এক শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী যুবকের হাতে চার্লেস্টন চার্চে ৯ কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান-আমেরিকান নিহত হয়েছে। এটি কেবলমাত্রই একটি সভ্যতা-বিবর্জিত অপরাধ। এরকম আরও বহু হামলা গত ১৪ বছরে হয়েছে।
সরকার-বিরোধী, বর্ণবাদী ও বিশেষ ধর্ম-বিরোধী এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা, বিশেষ বর্ণের বা ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানুষজন ও অন্যান্যরা। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের পর এ ধরণের মোট ১৯টি হামলা চালিয়েছে অমুসলিম উগ্রবাদীরা। একই সময় আমেরিকানদের ওপর ইসলামি জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে ৭টি। এ ধরণের পরিসংখ্যান অনেক আমেরিকানের কাছে বিস্ময়কর হলেও, পুলিশের কাছে নয়। এ সপ্তাহে একটি জরিপ চালানো হয়েছে। নিজেদের এলাকার শীর্ষ ৩টি ভয়াবহ সহিংস চরমপন্থা নির্ধারনে দেশব্যাপী প্রায় ৩৮২ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৭৪ শতাংশই সরকার-বিরোধী সহিংসতাকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। অন্যদিকে ৩৯ শতাংশ পুলিশ কর্মকর্তা ‘আল কায়েদা অনুপ্রাণিত’ চরমপন্থাকে তালিকাত রেখেছেন।

No comments

Powered by Blogger.