ড. ইউনূসের জন্মদিন পালিত

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন পারিবারিকভাবে পালন করা হয়েছে। গতকাল ২৮শে জুন পারিবারিকভাবে এ জন্মদিন পালন করা হয়। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস জন্মদিন পালনে বড় কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেননি। তা ছাড়া জন্মদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হোক মুহাম্মদ ইউনূস এটা ব্যক্তিগতভাবে চান না বলে পরিবার সূত্র জানায়। তবে ঘটা করে পালন করা না হলেও দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই টেক্সট, ইমেইল ও চিঠির মাধ্যমে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ ছাড়া তার অফিস থেকে একটি প্রতিনিধি দল তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকেও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ ১৯৪০ সালে ২৮শে জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর এবং মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিণী ড. আফরোজী ইউনূস। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যার পিতা। ড. ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এ পুরস্কার লাভ করেন। ড. ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারসহ আরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া। গতকাল ড. ইউনূসের কাছে বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে ফুল ও শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে যান তার উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় ড. ইউনূসও খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানান। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান মানবজমিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুহাম্মদ ইউনূসের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন’, ‘পথের বাধা সরিয়ে নিন’, ‘মানুষকে এগোতে দিন’, ‘দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্বের জন্য’, ‘সামাজিক ব্যবসা’, ‘যোগ্য প্রার্থী আন্দোলন’,
‘থ্রি ফারমার্স অব জোবরা’ ও ক্রিয়েটিং অ্যা ওয়ার্ল্ড উইদাউট প্রভার্টি: সোশ্যাল বিজনেজ অ্যান্ড দ্র ফিউচার অব ক্যাপিটালিজম’ নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে বেস্ট সেলার বই।
তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫০টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পুরস্কার হলো- রাষ্ট্রপতি পুরস্কার (১৯৭৮), কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুরস্কার (১৯৮৫), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৮৭), বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (১৯৯৪), গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০০৬) ও প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম (২০০৯)।

No comments

Powered by Blogger.