বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানিতে মূল্য বাড়িয়েছে ভারত

ভারত সরকার বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানিতে মূল্য বাড়িয়েছে। প্রতি টন পিয়াজের মূল্য এক ধাপ বেড়ে ২৫৫ মার্কিন ডলার থেকে ৪৩০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে পিয়াজের আমদানি মূল্য বাড়ার কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল সকাল থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে ভারত অভ্যন্তরে পাইপ লাইনে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য কয়েক শত পিয়াজের ট্রাক আটকা পড়ে আছে।
কাচা পণ্য আমদানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক হারুন উর রশিদ জানান, ভারতীয় সরকার কোন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া হঠাৎ পিয়াজের আমদানি মূল্য বৃদ্ধি করেছে, আমদানি মূল্য বৃদ্ধি করায় শনিবার থেকে পিয়াজের আমদানি বন্ধ রয়েছে। পিয়াজের মতো পচনশীল এসব পণ্য দ্রুত সময়ের মধ্যে আমদানি না করতে পারলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
গতকাল বাংলাদেশে ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে এলসির  ডলার বৃদ্ধি করে অ্যামারমেন্ট  করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে ভারত থেকে পিয়াজের আমদানি বন্ধ রয়েছে। রোববার (আজ) নতুন মূল্যে এলসি করা হলে বাংলাদেশে পিয়াজের আমদানি শুরু হবে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ গাড়ি পিয়াজ আমদানি হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়।
ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হক ও মোবারক হোসেন বলেন, ভারত থেকে ২৫৫ মার্কিন ডলারে প্রতি মে. টন পিয়াজ আমদানি করে পাইকারি ২২-২৩ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। নতুন মূল্যে পিয়াজ ৪৩০ মার্কিন ডলারে আমদানি শুরু হলে প্রতিকেজি পিয়াজের আমদানি মূল্য দাঁড়াবে ৩৫ টাকা। ফলে বাংলাদেশের বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তারা বলেন, দেশী পিয়াজ পর্যাপ্ত পরিমাণে  মজুত রয়েছে, সরকার সঠিকভাবে মনিটরিং করলে ভারতে পিয়াজের দাম বাড়লেও দেশে এর প্রভাব পড়বে না।
ভারত প্রতি বছর রমজান মাস শুরু হলে বন্যা, খরা, ঘাটতি ও মজুতের অভাব দেখিয়ে  বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানিতে মূল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা শুরু করে। এ প্রতিযোগিতায়  বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ডলার যায় ভারতে।

No comments

Powered by Blogger.