ইঁদুরের পেটে ৭২৩ কোটি টাকার ফসল

চলতি অর্থবছরে সারা দেশে ৭২৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার ফসল ইঁদুরের পেটে গেছে। এ সময়ে ইঁদুরে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪৪ টন ধানের ক্ষতি করেছে। যার বর্তমান বাজার মূল্যে ৪৩৯ কোটি ৮২ কোটি টাকা। গতকাল সংসদে লিখিত প্রশ্নোত্তর পর্বে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এ তথ্য জানান। এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, একই সময় ৬২ হাজার ৭৬৪ টন চাল নষ্ট করেছে ইঁদুরে। যার বাজার মূল্য ২০০ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া গম নষ্ট করেছে ২৯ হাজার ৬৬০ টন। যার বাজার মূল্য ৮৩ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ধান প্রতি টন ১৮ হাজার ৫০০, গম ২৮ হাজার এবং চাল ৩২ হাজার টাকা টন মূল্য ধরে এ ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী জানান, সরকার উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ওপর ভর্তুকি দেয় না। তবে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তার জন্য কৃষি উপকরণ তথা সার, বিদ্যুৎ, ডিজেল ইত্যাদিতে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরে সার ও সেচ কার্যক্রমে ৫ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৫১ জেলায় কৃষক পর্যায়ে কৃষিযন্ত্র ক্রয়ে আগ্রহী কৃষক/কৃষক গ্রুপকে সর্বোচ্চ শতকরা ৩০ ভাগ হারে উন্নয়ন সহায়তা (ভর্তুকি) দেয়া হচ্ছে। এদিকে প্রশ্নোত্তরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, যারা সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের সবাকেই চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্তসহ বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, এ রকম অপরাধের সঙ্গে জড়িত কতিপয় কর্মকর্তার বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে স্ব-স্ব পদে বহাল তবিয়তে পুরনো কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগটি সঠিক নয়।
বিশাল সমুদ্রসীমার নিরাপত্তায় প্রকল্প: সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ‘নৌবাহিনীর গোল ২০২০’ প্রকল্প নামে কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। তবে বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র সীমানা, বিদ্যমান সমুদ্র সম্পদ সুরক্ষাসহ সমুদ্রপথে নিরবচ্ছিন্ন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ‘ফোর্সেস ২০৩০’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, এ প্রকল্পের আওতায় নৌবাহিনীকে একটি শক্তিশালী ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয়সংখ্যক জাহাজ, সাবমেরিন, ফ্রিগেট, লার্জ পাট্রোল ক্রাফটসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় ও নির্মাণ করা হবে। যুদ্ধসক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিসাইল, টর্পেডোসহ আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সংযোজন, নতুন ঘাঁটি ও স্থাপনা নির্মাণ, জাতীয় স্বার্থে ন্যাশনাল মেরিটাইম পলিসি প্রণয়ন ও ন্যাশনাল মেরিটাইম কমিশন গঠন এবং মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি চালুর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.