সৌদির পাঁচ লাখ গোপন নথি প্রকাশ করছে উইকিলিকস!

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি আরবের প্রায় পাঁচ লাখ গোপন নথি ফাঁস করতে যাচ্ছে সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকস। এর মধ্যে ৬০ হাজার নথি প্রকাশ করা হয়েছে বলে উইকিলিকস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। এসব নথির বেশির ভাগই আরবি হরফের। শুক্রবার বিস্ফোরিত উইকিলিকসের নতুন এ তথ্যবোমা বিশ্বগণমাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল ফেলেছে। তাৎক্ষণিকভাবে এসব নথির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে উইকিলিকস যেহেতু সরকারি নথি ফাঁস করে আলোচিত হয়েছে, তাই ধরে নেয়া যায় ফাঁস হওয়া নথিগুলোর সত্যতা আছে। এসব নথিগুলোর বেশির ভাগেই সবুজ কালিতে ‘কিংডম অব সৌদি আরাবিয়া’ ও ‘মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স’ লেখা ছিল। কিছু নথির ওপরে ‘জরুরি’ ও ‘গোপন’ লেখা ছিল।
একটি নথি ছিল ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাসের। নথিগুলো যদি সঠিক হয়, তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের প্রতি এবং মিসরের সেনাসমর্থিত সরকারের প্রতি সৌদি সরকারের সমর্থনের নানা তথ্য পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফাঁস হওয়া ২০১২ সালে আবুধাবিতে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস থেকে পাঠানো এক নথিতে দেখা গেছে, মিসরের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারককে সহায়তা না করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত মিসরের সরকারের ওপর ‘প্রচণ্ড চাপ’ দিয়েছে। বার্তা সংস্থা এপি দাবি করেছে, তারা নথিতে থাকা অনেক টেলিফোন নম্বরে কল করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পেয়েছে। এ থেকে তারা ঁফাস হওয়া নথিগুলোর সত্যতা সম্পর্কে অনেকটাই নিশ্চিত। উইকিলিকসের মুখপাত্র ক্রিস্টিন রাফসন এপিকে বলেছেন, ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো যে সঠিক,
এ ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। উইকিলিকস কীভাবে এসব নথি পেয়েছে, এটা স্পষ্ট না। উইকিলিকসের মুখপাত্রও এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানাতে চাননি। তিনি বলেন, তথ্যের উৎস না জানানোটা তাদের নীতি। ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাসও এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। এদিকে উইকিলিসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেয়ার তিন বছর পূর্ণ হয়েছে শুক্রবার। ব্রিটিশ সরকার যেন যৌন অপরাধের মামলায় তাকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর না করে সেজন্য দূতাবাসটিতে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কূটনৈতিক তথ্য ফাঁস করা শুরু করে উইকিলিস। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্নন দেশের লাখ লাখ গোপন তথ্য ফাঁস করেছে ওয়েবসাইটটি।

No comments

Powered by Blogger.