কলেজছাত্রী ধর্ষণ- ফেসবুকে পরিচয়, প্রেম অতঃপর...

‘মাত্র আড়াই মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় ওই কলেজ ছাত্রীর। সেই পরিচয় গড়ায় প্রেমে। এরপর ভাবের আদান-প্রদান হতো মোবাইল ফোনে। এরপর সুযোগ বুঝে প্রেমিক সাবিক কলেজছাত্রীর সর্বনাশের পরিকল্পনা করে। শনিবার মিরপুর থানাধীন পশ্চিম শেওড়াপাড়ার একটি বাসায় ধর্ষণের শিকার হন। সাকিবের এক বন্ধু তাকে ধর্ষণ করে আর অন্য দুইজন ওই দৃশ্য ভিডিও করে ওই ছাত্রীর কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে ওই ছাত্রীর অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছেন। ওই কলেজছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করবেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওই কলেজছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি আছেন। ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের এক সদস্য জানান, ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে সাকিব নামের এক যুবকের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মোবাইলে ফোনে প্রায় কথা হতো। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি ওই কলেজছাত্রীর খালা মাতুয়ারা বেগম জানতেন। তাকে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার জন্যও তিনি বলেন। কিন্তু, ওই কলেজছাত্রী এতে রাজি হয়নি। বরং তার সঙ্গে আরও বেশি যোগাযোগ বাড়িয়ে দেয়। শনিবার কলেজের ক্লাসের কথা বলে ওই কলেজছাত্রী খালার বাড়ি থেকে বের হন। তার সঙ্গে ছিল একটি ল্যাপটপ, দুইটি মোবাইল ফোন, দুই হাজার টাকা। দুর্বুত্তরা ওই ছাত্রীর কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নেয়। মিরপুর থানার এসআই মোক্তারুজ্জামান জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা নেয়া হবে। পরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.