তিন মামলায় ফখরুলের জামিন

নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এখন তার কারামুক্তিতে কোন আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বিচারপতি মো. রেজাউল হক এবং বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ জামিন মঞ্জুর করে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট জয়নুল আবেদীন। এ সময় আবেদনকারীর পক্ষে ব্যরিস্টার রফিক-উল হক, এ  জে মোহাম্মদ আলী, রাগীব রউফ চৌধুরী, সগীর হোসেন লিওন, এহসানুর রহমান প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। জয়নুল আবেদীন পরে বলেন, মির্জা ফখরুল তার বিরুদ্ধে থাকা সবকটি মামলাতেই জামিন পেয়েছেন। এখন তার মুক্তিতে আর কোন আইনি বাধা নেই। স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় নিয়েই আদালত মির্জা ফখরুলকে জামিন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এ তিন মামলায় কেন ফখরুলকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত রুলও জারি করেছেন। ঢাকার  জেলা প্রশাসককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আলী জিন্নাহ। উল্লেখ্য, গত ৬ই জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মির্জা আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে ফখরুলকে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ)-এর প্রিজন সেলের ৬১৯ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন  মির্জা আলমগীর। তিন মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না তিনি। শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আপাতত তাকে হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে। সম্প্রতি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৩ই এপ্রিল তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি প্রফেসর সজল ব্যানার্জির অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতরাতে ৬১৯ নম্বর কেবিনে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচজন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। ডাক্তার কিংবা নার্স ছাড়া কাউকেই ওই কেবিনে প্রবেশ করতে দেননি তারা। আত্মীয়স্বজন কিংবা দলীয় নেতাদের সাক্ষাতেও বেশ কড়াকড়ি। কাউকেই তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেননি তারা। ওই কেবিনে দায়িত্বরত নার্স জানান, মির্জা আলমগীর ডায়াবেটিস, হার্ট, করোটিড ব্লকসহ অনেকগুলো রোগে ভুগছেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় আজ (রোববার) কলোনস্কপি পরীক্ষা করা যায়নি। সোমবার আবার পরীক্ষাটি করানো হবে। ওই পরীক্ষার ফলাফলের ওপর তার ডিসচার্জের বিষয়টি নির্ভর করছে। ডাক্তার তাকে এখনও ডিসচার্জ দেননি। তিনি আরও বলেন, প্রায়ই মির্জা আলমগীরের প্রেশার বেশি থাকে। দিন দিন তার ওজন কমে ৬২ কেজিতে ঠেকেছে। কয়েকদিন ধরে তিনি পেটের পীড়ায় ভুগছেন। শক্ত কোন খাবার খেতে পারছেন না। প্রতি বেলায় তাকে নরম খাবার দেয়া হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.