বাণিজ্যমেলা নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ থাকার পরও ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায়। ব্যবসায়ীরাও কয়েক দিনের হতাশা কাটিয়ে বিকিকিনি শুরু করলেও প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। তাই সরকার ও বিরোধী দলের প্রতি ব্যবসায়ীদের দাবি- দেশের স্বার্থে তারা যেন ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করে। মেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি স্টল ও প্যাভিলিয়নে মানুষের সমাগম বেড়েছে। ইরানের প্যাভিলিয়নে কথা হয় মুক্তা আক্তারের সঙ্গে। মেলায় এসেছেন এমিটেশনের গহনা কিনতে। তিনি বলেন, বাণিজ্যমেলায় আসার অন্যতম কারণ হচ্ছে বিদেশী গহনার জন্য। অন্য কোথাও অরজিনাল বিদেশী গহনা পাওয়া দুষ্কর। তাই প্রতি বছর বাণিজ্যমেলায় বিদেশী গহনা কেনার অপেক্ষায় থাকি। পাকিস্তান প্যাভিলিয়নে কথা হয় রাবেয়া ইসলামের সঙ্গে। তিনি তার বান্ধবী, ছোট বোন নিয়ে মেলায় এসেছেন। তিনি বলেন, এবার মেলার মাঝখানে জায়গা কিছুটা কম। তবে নতুনভাবে সেজেছে বলে ভাল লাগছে। ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে ম্যানেজার আকরামুজ্জামান অপু জানান, গত কয়েক দিন মেলাতে লোকসমাগম কম হলেও দ্বিতীয় দফার প্রথম ছুটির দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা জমে উঠেছে। বেচা-বিক্রিও হচ্ছে আশানুরূপ। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভাল হলে মেলা আরও ভালভাবে জমে উঠতো। ক্রেতা-দর্শনার্থীসহ বেচা-বিক্রি অনেক বাড়তো। সনি-র‌্যাংগসের ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার সারওয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, আমাদের ব্র্যান্ড ইমেজের কারণে প্রচুর মানুষ আসছে নতুন নতুন পণ্য দেখতে। সব নতুন পণ্য একসঙ্গে প্রচারের জন্য এ মেলার কোন বিকল্প হয় না। তবে রাজনীতিতে যে অস্থিরতা চলছে তা দ্রুত সমাধানের দাবি জানান তিনি। রানার গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ আলেক খন্দকার বলেন, কয়েক দিনের খরা কেটে ছুটির মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। এদিকে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের প্যাভিলিয়নে গতকাল উদ্বোধন করা হয়েছে প্রিমো জেড নামের একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট। এটির মূল্য পড়ছে ২৪ হাজার ৪৯০ টাকা। প্যাভিলিয়নের মোবাইল উইংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন জানান, এটি ছাড়াও আরও তিনটি সেট এবারের মেলায় এসেছে। এগুলো হলো প্রিমো জিএম মিনি। দাম আট হাজার ৮৯০ টাকা, প্রিমো আরএইচ ১৩ হাজার ৬৯০ টাকা এবং প্রিমো ওয়ালপ্যাড জি ১১ হাজার ৯৯০ টাকা। মেলা উপলক্ষে সব মোবাইল সেটে দুই শতাংশ ছাড় এবং শুধু প্রিমো আরএইচ সেটে পাঁচ শতাংশ ছাড় দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে সনির প্যাভিলিয়নে ইলেকট্রনিকস পণ্যের বেশ বিক্রি হয়েছে এলজিডি ফ্রিজ। ফ্যুকর্ণারে হাজীর বিরানি খেতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দূরদূরান্ত থেকে আশা লোকজন লাঞ্চ সেরেছেন হাজীর বিরানি খেয়ে।

No comments

Powered by Blogger.