কার্টুনিস্ট–লেখকদের নিন্দা ও উদ্বেগ
ফ্রান্সের শার্লি এবদো সাময়িকীর অফিসে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কার্টুনিস্ট ও লেখকেরা বাক্স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তবে ইসলামসংক্রান্ত বিতর্কিত লেখার জন্য লুকিয়ে আছেন বা পুলিশি নিরাপত্তায় থাকেন, এমন লেখকেরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। খবর রয়টার্সের। শার্লি এবদোর কার্যালয়ে বুধবারের হামলায় পুলিশ, সাংবাদিক, শিল্পীসহ ১২ জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ফ্রান্সের প্রথম সারির কয়েকজন কার্টুনিস্ট রয়েছেন। তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি ছিল। প্রাণনাশের হুমকি আছে এমন আরেকজন কার্টুনিস্ট সুইডেনের লার্স ভিকস। তিনি বলেন, ‘যখন আপনার মত প্রকাশের অধিকার থাকে না, তখন কে সাহস করবে সবকিছু প্রকাশ করার?’ নরওয়েজীয় প্রকাশক উইলিয়াম নাইগার্ড বলেন, ‘স্বেচ্ছা আরোপিত বিধিনিষেধ একটা ভয়ংকর বিষয়।’
তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার দাবি করেন। লেখক-কার্টুনিস্টদের মতো হলিউডের অভিনেতা ও কলাকুশলীরাও ফ্রান্সের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন। একাধিকবার ইসলামের জন্য অবমাননাকর বিষয় প্রকাশের জন্য বিতর্কিত হয়েছিল ব্যঙ্গধর্মী পত্রিকা শার্লি এবদো। পত্রিকাটি ২০০৬ সালে ডেনিশ এক পত্রিকায় প্রকাশিত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর একটি ব্যঙ্গচিত্র পুনর্মুদ্রণ করে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয়। এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ২০১২ সালেও তারা মহানবী (সা.)-এর অবমাননাকর ছবি ছাপে। এ ছাড়া পত্রিকাটির সর্বশেষ একটি টুইটে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির ব্যঙ্গচিত্র প্রচার করা হয়।
No comments